আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
68 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
গতবারের হায়েজের কথা বলছি। আমার ৫ দিন হায়েজ ছিল। এরপর রক্ত দেখতে না পেয়ে  আমি ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় শুরু করি।কিন্তু পরে নামাজ আদায় করে পেশাব করতে গিয়ে দেখি লজ্জা- স্থান শুকনো। কিন্তু পেশাবের সাথে সামান্য এক ফোঁটা রক্ত।
এরপর আমি আবার  গোসল করে নামাজ আদায় করি। এভাবে নামাজ আদায় করছিলাম কিন্তু আবার ১-২ ওয়াক্ত পর   পেশাবের সাথে এক ফোঁটা রক্ত দেখতে পাই । তখন আমার গোসল করে নামাজ আদায় করি।
এরপর আমার মনে হচ্ছিল আমি যদি আবার পেশাব করি তাহলে আবার হয়তো এক দুই ফোঁটা রক্ত  দেখতে পাবো। এভাবে বারবার পেশাব করতে গেলে হয়তো বারবারই এক দুই ফোটা রক্ত দেখতে পাবো। আবার আমি যে নামাজ না পড়ে অপেক্ষা করে দেখব তাতেও ভয় লাগছে,, যদি রক্ত  না আসে তাহলে তো নামাজ কাজা হয়ে যাবে। এভাবে বারবার গোসল করে নামাজ আদায়ও তো সম্ভাব না।
এজন্য আমি ইচ্ছা করে নামাজের আগে পেশাব করছিলাম না। পেশাব না  করে ৩-৪ ওয়াক্ত মতো নামাজ আদায় করেছিলাম যেন ব্লাড না আসে।  দুই তিন ওয়াক্ত পরে একবার পেশাব করে দেখি এক ফোঁটা রক্ত। আমি যতদূর জানি রক্ত যদি লজ্জাস্থানের  বাইরে না আসে তাহলে তো সেটা হায়েজ হিসাবে ধরা হবে না।

 সেজন্য আমি ভাবছিলাম রক্ত যেহেতু লজ্জাস্থানের বাইরে আসছে না তাই জন্য সমস্যা নেই। ওইভাবে নামাজ আদায় করি। কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে এতে গুনাহ হলো নাকি?? এখন কি আমাকে তওবা করতে হবে???? এটা কি ভুল হয়ে গেছে??।
২.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
গতবার হায়েজের  শেষের দিকে আমি পেশাবের পরে সামান্য স্রাব দেখতে পাই। কিন্তু ওর সাথে কোন রক্ত মিশ্রিত  ছিল না। কিন্তু এ স্রাব সামান্য হলদেটে ছিল কিনা  সেটা আমি টের পাচ্ছিলাম না।  একবার মনে হচ্ছিল স্রাবটা হালকা হালকা হলদেটে হতেও পারে আবার নাও  হতেও পারে। আমি কোনোটাই নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। কারোর স্বাভাবিকভাবে দেখে এভাবে৷ নিশ্চিতভাবে  বোঝা যাচ্ছিল না সঠিকভাবে রংটা কি। যাই হোক আমার কাছে মনে হয়েছিল এ ধরনের স্রাব  স্বাভাবিক সময় আমি  দেখেছি হয়তো। এটা হয়তো সাদাস্রাব। ওই জন্য আমি আর ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় করিনি। কিন্তু আমার মনের মধ্যে এখন খুঁতখুত করছে। আমি বুঝতে পারছি না আমার সিদ্ধান্তটা সঠিক হয়েছে নাকি??  এখন আবার কি করনীয়?? একবার মনে হচ্ছে ঠিক আছে একবার মনে হচ্ছে না ঠিক নেই।
৩.আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
নামাজের পরে অথবা ফরজ গোসল করার 1-2 ঘন্টা পরে  যদি কোনো ময়লা দেখি তবে ময়লাটা সাধারণত  বাহ্যিকভাবে পড়া কোনো ময়লা না তবে মানুষের কপালে সাধারণত ফোট হলে ফোটের উপরে শাল জাতীয় যে ময়লা থাকে ওই রকম ময়লা। এটা ওযু করার সময় খেয়াল করিনি,, ফরজ গোসলের সময় খেয়াল করিনি। এবং ময়লাটা কখন লেগেছে তাও জানিনা। তারপরে যখন দেখলাম ময়লাটা তখন কি পুনরায় আগের সালাত গুলো পড়তে হবে অথবা ফরজ গোসল করতে হবে। এটা একটু পরিষ্কার করে জানাবেন দয়া করে। আসলে আমি তো জানিই না যে ময়লাটা কখন লেগেছে। তাহলে আমি কোন ওয়াক্তের সালাত পড়বো। আর ময়লাটার কথা আরেকবার বলি,, ময়লাটা মূলত বাহ্যিক কোনো ময়লা না মানুষের ত্বকের ফোটের উপর যেরকম ময়লা থাকে সেইরকম ময়লা।  আমার কোন দিকেই প্রবল ধারণা নেই।

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(৬)মাসআলাঃ 
যে মেয়েলোকের হামেশা তিন বা চারি দিন হায়েয আসার অভ্যাস ছিল, তাহার যদি কোন মাসে রক্ত বেশী আসে, কিন্তু দশ দিনের বেশী না হয়, সব কয় দিনকেই হায়েয গণ্য করিতেই হইবে, কিন্তু দশ দিন দশ রাতের চেয়ে বেশী আসিলে পূর্ব অভ্যাসের কয় দিন হায়েয হইবে, বাকী কয় দিন ইস্তেহাযা। যেমন, হয়ত কোন মেয়েলোকের বরাবর তিন দিন জারি হওয়ার অভ্যাস ছিল, হঠাৎ এক মাসে তাহার নয় দিন দশ রাত্রের চেয়ে এক মুহূর্তও বেশী রক্ত দেখা গিয়া থাকে, তবে তাহার তিন দিন তিন রাতের রক্তকে হায়েয গণ্য করিতে হইবে, অতিরিক্ত দিনগুলির রক্তকে ইস্তেহাযা বলিতে হইবে এবং ঐ দিনগুলির নামায কাযা ওয়াজিব হইবে।

(৭) মাসআলাঃ
একজন মেয়েলোকের হায়েযের কোন নিয়ম ছিল না। কোন মাসে চারি দিন, কোন মাসে সাত দিন, কোন মাসে দশ দিনও হইত। ইহা সব হায়েয, কিন্তু হঠাৎ এক মাসে দশ দিন দশ রাতের চেয়ে বেশী স্রাব দেখা গেল, এখন দেখিতে হইবে, ইহার পূর্বের মাসে কয় দিন রক্ত আসিয়াছিল, এই মাসেও সেই কয় দিন হায়েয হইবে, বাকী দিনগুলি ইস্তেহাযা হইবে।

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রতি নামাযের পূর্বে প্রস্রাব করে দেখবেন রক্তস্রাব যাচ্ছে কি না? যদি প্রতি ওয়াক্তে নামাযের পূর্বে রক্তস্রাব নির্গত হয়, তাহলে দেখুন কতদিন পর্যন্ত এমন রক্তস্রাব যাচ্ছে, যদি ১০ দিনের অতিরিক্ত দিন এভাবে রক্তস্রাব যেয়ে থাকে, তাহলে ৫ দিন হায়েয আর অতিরিক্ত দিনসমূহ ইস্তেহাযা। কিন্তু যদি ১০ দিনের ভিতরেই রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে এই সব ক'দিন হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...