بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
হিজামা হলো এমন প্রাচীন চিকিৎসা
পদ্ধতি, যাতে মানুষের সব ধরনের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বিদ্যমান। রাসুল সাঃ হিজামা গ্রহন করেছেন, তাই এই চিকিৎসা গ্রহনকে সুন্নাতও বলা হয়।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْهُ
قَالَ : كَانَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يَكْتَحِلُ
قَبْلَ أَنْ يَنَامَ بِالْإِثْمِدِ ثَلَاثًا فِي كُلِّ عَيْنٍ قَالَ : وَقَالَ : " إِنَّ خَيْرَ مَا
تَدَاوَيْتُمْ بِهِ : اللَّدُودُ ، وَالسَّعُوطُ ، وَالْحِجَامَةُ ، وَالْمَشِيُّ
. وَخَيْرَ مَا اكْتَحَلْتُمْ بِهِ الْإِثْمِدُ ، فَإِنَّهُ يَجْلُو الْبَصَرَ ،
وَيُنْبِتُ الشَّعْرَ ، وَإِنَّ خَيْرَ مَا تَحْتَجِمُونَ فِيهِ يَوْمُ سَبْعَ
عَشْرَةَ ، وَيَوْمُ تِسْعَ عَشْرَةَ ، وَيَوْمُ إِحْدَى وَعِشْرِينَ "
وَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حَيْثُ عُرِجَ
بِهِ ، مَا مَرَّ عَلَى مَلَأٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ إِلَّا قَالُوا : عَلَيْكَ
بِالْحِجَامَةِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ ، وَقَالَ : هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ
غَرِيبٌ
[‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি
বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রে শোয়ার পূর্বে প্রত্যেক চোখে তিন
তিন শলাকা ইসমিদ সুরমা লাগাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আরো বলেছেনঃ যে সব জিনিস দ্বারা তোমরা চিকিৎসা গ্রহণ করো তন্মধ্যে
সবচেয়ে উত্তম-লাদূদ, সাঊত, শিঙ্গা লাগানো
এবং জোলাপ নেয়া। যে সব সুরমা তোমরা ব্যবহার করো তার মধ্যে ইসমিদ সর্বোত্তম। তাতে চোখের
দৃষ্টিশক্তি সতেজ হয় এবং চোখের পলকের চুল অধিক জন্মায়। আর শিঙ্গা লাগানোর জন্য উত্তম
দিন হলো চাঁদের সতের, ঊনিশ ও একুশ তারিখ। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যখন মি‘রাজ হয়েছিল, তখন তিনি মালায়িকাহ্’র
(ফেরেশতাদের) যে দলের নিকট দিয়ে অতিক্রম করেছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই
বলেছিলেন যে, আপনি অবশ্যই শিঙ্গা লাগাবেন। (তিরমিযী ২০৫৩, ২০৪৮;
ইবনু মাজাহ ৩৪৯৫, ৩৪৯৭, ৩৪৯৯;
য‘ঈফুল জামি‘ ১৮৫৫, মিশকাতুল মাসাবিহ ৪৪৭৩)
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ
عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، وَجَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا
قَتَادَةُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
يَحْتَجِمُ فِي الأَخْدَعَيْنِ وَالْكَاهِلِ وَكَانَ يَحْتَجِمُ لِسَبْعَ عَشْرَةَ
وَتِسْعَ عَشْرَةَ وَإِحْدَى وَعِشْرِينَ .
আবদুল কুদ্দুস ইবন মুহাম্মদ
(রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম ঘাড়ের দুই পাশের রগে এবং কাঁধে রক্ত মোক্ষম করাতেন। আর তিনি মাসের সতের, উনিশ এবং
একুশ তারিখ রক্ত মোক্ষন করাতেন। সহীহ, ইবনু মাজাহ ৩৪৮৩,
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৫১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
حَدَّثَنَا
أَحْمَدُ بْنُ بُدَيْلِ بْنِ قُرَيْشٍ الْيَامِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا
مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ
الْقَاسِمِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، هُوَ ابْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ
عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه
وسلم عَنْ لَيْلَةَ، أُسْرِيَ بِهِ أَنَّهُ لَمْ يَمُرَّ عَلَى مَلإٍ مِنَ
الْمَلاَئِكَةِ إِلاَّ أَمَرُوهُ أَنْ مُرْ أُمَّتَكَ بِالْحِجَامَةِ
আহমাদ ইবন বুদায়ল ইবন কুরায়শ
ইয়াসী কুফী (রহঃ) ...... ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মি‘রাজ-এর ঘটনা প্রসঙ্গে
বলেছেন যে, তিনি তখন ফিরিশতাগণের যে দলের পাশ দিয়েই গেছেন সে
দলই তাঁকে বলেছেঃ আপনি আপনার উম্মাতকে রক্ত মোক্ষণের নির্দেশ দিবেন। (সহীহ,
ইবনু মাজাহ ৩৪৭৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০৫২ )
حديث ابْنِ بُحَيْنَةَ رضي الله عنه، قَالَ: احْتَجَمَ النَّبِيُّ صَلَّى
اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَهُوَ مُحْرِمٌ، بِلَحْيِ جَمَلٍ، فِي وَسَطِ
رَأْسِهِ
ইবনু বুহাইনাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায়
‘লাহইয়ে জামাল’ নামক স্থানে তাঁর মাথার মধ্যখানে সিঙ্গা লাগিয়েছিলেন। (সহীহুল বুখারী,
পৰ্ব ২৮ ; ইহরাম অবস্থায় শিকার এবং অনুরূপ কিছুর
বদলা, অধ্যায় ১১, হাঃ ১৮৩৬; মুসলিম, পর্ব ১৫ : হাজ্জ, অধ্যায়
১১, হাঃ ১২০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই
বোন,
জ্বী হিজামা সুন্নাহ
সম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি। পুরুষদের জন্য যেই হুকুম নারীদের জন্যও একই হুকুম। এই চিকিৎসা গ্রহণের জন্য নারীরা মহিলা চিকিৎসকের
স্বরণাপন্ন হবেন। হিজামা স্পেশালিস্ট নারী চিকিৎসকও আছে। এ সম্পর্কে জানতে এই বিষয়ে
যারা অভিজ্ঞ তাদের বা নিকটস্থ কোন নির্ভরযোগ্য হিজামা সেন্টারের স্বরণাপন্ন হোন তারাই
আপনাকে দিকনির্দেশনা দিবেন। সুতরাং চেষ্টা
করতে হবে কোন নারী চিকৎসকের নিকট থেকেই চিকিৎসা নেওয়ার।
আরো বিস্তারিত
জানুন: https://ifatwa.info/34184/