জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এই খাবারে নাপাকির কোনো গন্ধ বা চিহ্ন পাওয়া না গেলে, আর নাপাক হাত ব্যবহৃত হয়েছে এসম্পর্কে নিশ্চিত না হলে সেই খাবার খাওয়া যাবে।
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
তবে পরামর্শ থাকবে, এক্ষেত্রে আপনি আপনার মাকে পবিত্রতা সম্পর্কে মাসয়ালা ভালো করে বুঝাবেন।
আপনার মা তাহা না মানলে সেক্ষেত্রে বলবেন যে কাপড় হাত মুছে সেই হায় না ধুয়ে যেনো রান্নার জিনিস স্পর্শ না করে।
এই বিষয়টিও যদি না মানে,সেক্ষেত্রে আপনি আলাদা ভাবে খাবার প্রস্তুত করে সেই খাবার খাবেন।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ عَمِّهِ، عِمْرَانَ بْنِ طَلْحَةَ عَنْ أُمِّهِ، حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْتَفْتِيهِ وَأُخْبِرُهُ فَوَجَدْتُهُ فِي بَيْتِ أُخْتِي زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَثِيرَةً شَدِيدَةً فَمَا تَأْمُرُنِي فِيهَا قَدْ مَنَعَتْنِي الصِّيَامَ وَالصَّلاَةَ قَالَ " أَنْعَتُ لَكِ الْكُرْسُفَ فَإِنَّهُ يُذْهِبُ الدَّمَ " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَتَلَجَّمِي " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ قَالَ " فَاتَّخِذِي ثَوْبًا " . قَالَتْ هُوَ أَكْثَرُ مِنْ ذَلِكَ إِنَّمَا أَثُجُّ ثَجًّا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " سَآمُرُكِ بِأَمْرَيْنِ أَيَّهُمَا صَنَعْتِ أَجْزَأَ عَنْكِ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَيْهِمَا فَأَنْتِ أَعْلَمُ " . فَقَالَ " إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ أَوْ سَبْعَةَ أَيَّامٍ فِي عِلْمِ اللَّهِ ثُمَّ اغْتَسِلِي فَإِذَا رَأَيْتِ أَنَّكِ قَدْ طَهُرْتِ وَاسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً أَوْ ثَلاَثًا وَعِشْرِينَ لَيْلَةً وَأَيَّامَهَا وَصُومِي وَصَلِّي فَإِنَّ ذَلِكِ يُجْزِئُكِ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ وَكَمَا يَطْهُرْنَ لِمِيقَاتِ حَيْضِهِنَّ وَطُهْرِهِنَّ فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءَ ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ فَافْعَلِي وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ وَكَذَلِكِ فَافْعَلِي وَصُومِي إِنْ قَوِيتِ عَلَى ذَلِكِ " . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَهُوَ أَعْجَبُ الأَمْرَيْنِ إِلَىَّ "
হামনা বিনত জাহশ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি খুব ভীষণভবে ইস্তিহাযায় আক্রান্ত ছিলাম। একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এই বিষয়ে ফতওয়া জানতে এলাম। তাঁকে আমার বোন উম্মুল মু’মিনীন যয়নাব বিনত জাহাশের ঘরে পেলাম। বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো ভীষণভাবে ইস্তিহাযা আক্রান্ত। এ বিষয়ে আপনি কি করতে বলেন? এ তো আমাকে সালাত ও সওম থেকে ফিরিয়ে রাখছে। তিনি বললেনঃ তোমাকে আমি তুলা ব্যবহার করতে পরামর্শ দিচ্ছি। এতে রক্ত শুষে নিবে। আমি বললামঃ রক্তের পরিমান এর থেকেও বেশি। তিনি বললেনঃ তবে তা দিয়ে লাগমের মত বেধে নাও। আমি বললামঃ না, রক্তের পরিমাণ তো আরো বেশি। তিনি বললেন তবে এর নীচে আর একটি কাপড়ের পট্টি লাগিয়ে নাও। বললাম, রক্ততো আরো বেশি। স্রোতের মত তা ধেয়ে বেরুচ্ছে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাকে আমি দু’টো বিষয়ের কথা বলছি। এ দু’টোর যে কোন একটি করতে পারলে তোমার জন্য যথেষ্ট। আর উভয়টি করতে তোমার শক্তি হলে তুমিই ভাল জান কোনটি তুটি গ্রহণ করবে। শোন, এ হলো শয়তানের গুতো।
যা হোক, ছয়দিন বা সাতদিন আল্লাহর জ্ঞানে বা তোমার জন্য নির্ধারিত সেদিনগুলো হায়েয হিসাবে ধরবে পরে তা অতিক্রান্ত হয়ে গেলে গোসল করে নিবে। যখন তুমি দেখবে যে, তুমি পাক হয়ে গেছ এবং পরিচ্ছন্ন হয়ে গেছ তখন চব্বিশ দিন বা তেইশ দিন সালাত ও সিয়াম পালন করবে। আর এ-ই তোমার জন্য যথেষ্ট। সাধারণভাবে মহিলারা হাযেয ও তুহরের (পাক থাকার) নির্ধারিত দিনগুলোতে যা করে তুমিও সেদিনগুলোতে তা করবে।
আর পাক থাকার নির্ধারিত দিনগুলোতে তোমার জন্য যুহরের সালাত পিছিয়ে এবং আছরের সালাত কিছুটা এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের একবার গোসল করেলে দুই ওয়াক্তের সালাত আদায় করা সম্ভব হলে তা করবে। এমনিভাবে মাগরিবের সালাত পিছিয়ে এবং ’ইশার সালাত এগিয়ে নিয়ে উভয় ওয়াক্তের জন্য একবার গোসল করে দু’টো আদায় করো এবং ফজরের সময় গোসল করে তা আদায় করা সম্ভব হলে তদ্রম্নপভাবে সালাত ও সিয়াম পালন করবে। হ্যাঁ, তোমার শক্তিতে কুলালে তা-ই করো। আর দুটো বিষয়ের মধ্যে এই বিষয়টই আমার নিকট অধিক পছন্দের।
(তিরমিজি ১২৮. ইবনু মাজাহ ৬২৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কুরসুফ রাখার স্থান হল, মাসিকের রাস্তার প্রবেশ মূখ। কিন্তু লজ্জাস্থানের ভিতরে কুরসুফ প্রবেশ করানো মাকরুহ।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার জন্য এমন অবস্থাতেও মেন্সট্রুয়াল কাপ ব্যবহার করা মাকরুহ হবে।
এটা মাকরুহে তাহরিমির অন্তর্ভুক্ত হবে।
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন-
(ويكره وضعه) وضع جميعه (فى الفرج الداخل)لأنه يشبه النكاح بيدها محيط-
সমস্ত কুরসুফ কে লজ্জাস্থানের ভিতরে প্রবেশ করানো মাকরুহ।কেননা ইহা হস্তমৈথুনের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
মাজমু'আতু রাসাঈলে ইবনে আবেদীন-১/৮৪-৮৫
এক্ষেত্রে সেনিটারি ন্যাপকিন প্রয়োজনে অনলাইনে অর্ডার করবে,যেটি তারা একেবারে বাসায় এসে দিয়ে যাবে।
পাইকারি অর্ডার করবে,যাতে ৬ মাস বা এক বছরের মধ্যে আর অর্ডার করতে না হয়।
ব্যবহৃত ন্যাপকিন ফেলে দেয়ার সুযোগ না হলে মাটিতে পুতে দিবে।
(অথবা কাপড় ব্যবহার করবে,যাহা পরে ধুয়ে দিবে।)