আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়াবারা কাতুহু শাইখ,

১।কোনো এক মেয়ে যদি কখনো বিয়ে না করে,সে কিভাবে ইসলামে অবদান রাখতে পারে?

২।সে কি বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ইসলামে অবদান রাখতে পারে?
৩।সেই মেয়ে যদি সারাজীবন চুল ঘাড় পর্যন্ত রেখে দেয় মানে যখনই চুল বড় হবে কেটে ঘাড় পর্যন্ত রেখে দেয় তা কি হবে?

৪।এমন কি কি বিধান আছে যা তাকে মেনে চলতে হবে?

৫।সাধারণত কোন কাজগুলো মেয়েদোর জন্য ফরজ?

৬।যদি কোনো ব্যক্তির জান্নাতে যাওয়ার জন্য নূন্যতম গুণ থাকে অর্থাৎ পরকালে সে জান্নাতে যাবেই,তবে যদি সেই ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিকাব পড়তে না দেয় শুধু কি সেই কারণেই সে ব্যক্তির জান্নাত মিস হওয়ার কোনো সম্ভাবনা আছে? এ ব্যাপারে ইসলামে মতামত কি?

৭।একটি মেয়ের হয়তোবা বিয়ে সামর্থ ছিলো কিন্তু তার বিয়ে প্রতি অনাগ্রহ থাকা, নানারকম ভয় ভীতি,মানসিক রোগ ইত্যাদির কারণে সে ইচ্ছে করে এমন একটা কাজ করে যা তার বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।সে আর বিয়ো করতে পারবে না।এখন কি করণীয়?

৮।সে আর বিয়ে করবেও না,করতেও পারবে না,সে ইসলামে দৃষ্টিতে এখন কি করবে?

৯।দয়া করে কোনো নেগেটিভ কিছু বলবেন না।পরবর্তী জীবনে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে কি করতে পারবে সেটাই please বলুন
by (13 points)
assalamualaikum...bon!! kichu mone na korle ami ki apnar sathe ektu kotha bolte pari!?
by (10 points)
আপনাকে private massage দিয়েছি

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
সে অন্যন্য নারীদের মতোই শরয়ী পর্দা, নামাজ,রোযা, হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব আদায়,যাকাত ফরজ হলে যাকাত আদায় করবে।
তার যাবতীয় বিধান অন্যন্য নারীদের মতোই।
ব্যতিক্রম শুধু এতটুকু যে তার যেহেতু স্বামী ও সন্তান নেই,তাই স্বামী ও সন্তানের হক তাকে আদায় করতে হবেনা।

(০২)
হ্যাঁ, পারবে।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাহারো থেকে জেনে নিতে হবে।

(০৩)
https://ifatwa.info/28511 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
মেয়েদের চুল লম্বা রাখতে হবে,শরয়ী নীতিমালার বাহিরে কেটে ছোট করা যাবেনা।  
মেয়েদের জন্য চুল মুণ্ডন করা বা কেটে ছেলেদের মতো করে ফেলা নিষেধ। আবার এতো বড় রাখা উচিত নয় যে, গোছলের সময় পানি পৌঁছানো কষ্টকর হয়। বরং পিঠ বা কোমর পর্যন্ত রাখা ভালো। সেমতে কোমরের নিচের অংশ কেটে ফেলা জায়েয হবে। অবশ্য না কাটলেও কোনো সমস্যা নেই।

মহিলাদের চুলের ক্ষেত্রে শরীয়তের মৌলিক নীতিমালা হল : 
১. মহিলারা চুল লম্বা রাখবে। হাদীস শরীফ থেকে জানা যায় যে, উম্মাহাতুল মুমিনীন রাযি. চুল লম্বা রাখতেন। 
২. এ পরিমাণ ছোট করবে না যে, পুরুষের চুল (সুন্নতি বাবরি) এর  মতো হয়ে যায়। হাদীস শরীফে পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বনকারিনী মহিলার প্রতি অভিসম্পাত করা হয়েছে। 

ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ لَعَنَ الْمُخَنَّثِينَ مِنْ الرِّجَالِ، وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنْ النِّسَاءِ ، وَقَالَ: أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ
রাসূলুল্লাহ ﷺ ওই পুরুষদের লানত করেছেন, যারা মহিলাদের সাদৃশ্য গ্রহণ করে। এবং ওই মহিলাদের লানত করেছেন, যারা পুরুষদের সাদৃশ্য অবলম্বন করে৷ এবং তিনি আরও বলেন, তাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও। (বুখারী ৫৮৮৫)

৩. চুল কাটার ক্ষেত্রে বিজাতীয়দের অনুকরণ করবে না। কারণ হাদীসে বিজাতীয়দের অনুকরণ করতে নিষেধ করা হয়েছে। 

ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত হাদীসে এসেছে,
 مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। (আবু দাউদ ৪০৩১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মহিলাদের শুধুমাত্র মাথার কিছু অংশের চুল ছোট করা, যেমন সামনের চুল ছোট করা এবং অন্যগুলো রেখে দেওয়া– এটি ‘কুযা’ এর সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।
যাহা নাজায়েজ।  
,
সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে ইবনে উমর রাযি. থেকে সাব্যস্ত হাদীসে এসেছে যে, তিনি বলেন, نهى رسول الله ﷺ عن القزع রাসূলুল্লাহ্ ﷺ ‘কুযা’ করা থেকে তথা শিশুর মাথার একাংশের চুল কামাই করে অপর অংশের চুল রেখে দিতে নিষেধ করেছেন। (বুখারী ৫৯২১ মুসলিম ২১২০)

অতএব যে মহিলার চুল এত লম্বা যে, কিছু অংশ কাটলে পুরুষের চুলের সাথে সাদৃশ্য হবে না তার জন্য ঐ পরিমাণ কাটা জায়েয হবে। 

তবে সর্বাবস্থায় ফ্যাশনের অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা জরুরি।
কারন এভাবে চুল কাটা বেদ্বীন ও বিধর্মীদের বৈশিষ্ট্য; কোন রুচিশীল, সুষ্ঠ চরিত্রের মানুষের বৈশিষ্ট্য নয়। তাই কোন মুসলামানের এ শ্রেণীর লোকেদের সাথে সাদৃশ্য গ্রহণ করা উচিত নয়।

উপরোক্ত মূলনীতির আলোকে মহিলারা তাদের চুল খাটো করতে পারবে। 

আরো জানুন

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মেয়েদের জন্য চুল ঘাড় পর্যন্ত রেখে বাকি অংশ কেটে ফেলা জায়েজ নেই।
এতে পুরুষদের বাবরি চুলের সাথে সাদৃশ্যতা হয়ে যাবে।

(৪.৫)
তার যাবতীয় বিধান অন্যন্য নারীদের মতোই।
ব্যতিক্রম শুধু এতটুকু যে তার যেহেতু স্বামী ও সন্তান নেই,তাই স্বামী ও সন্তানের হক তাকে আদায় করতে হবেনা।

সে অন্যন্য নারীদের মতোই শরয়ী পর্দা, নামাজ,রোযা, হজ্ব ফরজ হলে হজ্ব আদায়,যাকাত ফরজ হলে যাকাত আদায় করবে।
গায়রে মাহরাম মেইনটেইন করবে।

নারীদের আহকাম,ফরজ সংক্রান্ত জানতে "আহকামুন নিসা" বইটি পড়ার পরামর্শ রইলো। 

(০৬)
হ্যাঁ সম্ভাবনা আছে।
তবে বিষয়টি আল্লাহর ইখতিয়ারধীন।
তার তওবা আল্লাহ তায়ালা কবুল করে তাকে মাফ করে দিলে সে জান্নাতে যেতে পারবে।

(০৭)
এখন সে পরিবারকে বুঝিয়ে বিবাহের জন্য যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে যাবে।

(৮.৯)
সে গুনাহ মুক্ত জীবন যাপন করতে পারলে,শরীয়ত মেনে চলতে পারলে ইসলামের দৃষ্টিতে সমস্যা নেই।
সে এভাবেই মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামী শরীয়ত মেনে থাকতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...