আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in পবিত্রতা (Purity) by (38 points)
১.যাদের ইজতেহাজার সমস্যা তাদের  নামাজের মাঝে সাদাস্রাব নির্গত হলে ঠিক কতটুকু স্থান পর্যন্ত সাদাস্রাব টা আসলে অজু ভেঙ্গে যায়।

মেয়েদের প্রসাবের রাস্তা এবং জরায়ুর রাস্তা পাশাপাশি থাকে।জরায়ুর রাস্তার মুখ থেকে স্রাব  বের হয়ে গেলে অজু ভেঙ্গে যাবে নাকি জরায়ুর মুখ থেকে বের হয়ে  গোপনঅঙ্গের বাইরে  বের হয়ে আসলে ওযু ভঙ্গ হবে।এখানে গোপন অঙ্গের বাইরে বলতে ওই জায়গাটাকে বোঝাতে চাচ্ছি যে জায়গা হতে সামান্য একটু দূরত্বেই আমাদের বায়ুর পথ।

এখানে আসলে আমার প্রশ্নই হচ্ছে সাদাস্রাব ঠিক কোন স্থান পর্যন্ত এসে পড়লে অজু ভেঙ্গে যায়।
২.হায়েজ অবস্থায় রক্ত জরায়ুর মুখ থেকে বের হয়ে গড়িয়ে গোপনাঙ্গের বাইরে এসে পড়ে। সাদাস্রাবের ক্ষেত্রেও কি এই একই রকম হতে হবে মানে জরায়ুর মুখ থেকে স্রাব বের  হয়ে গড়িয়ে গোপন অঙ্গের  বাইরে এসে পড়বে তখনই কি ওযু ভঙ্গ হবে। নাকি জরায়ুর  মুখ থেকে  স্রাব বের হলেই ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত,  নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّمَا الْوُضُوءُ مِمَّا خَرَجَ ، وَلَيْسَ مِمَّا دَخَلَ
শরীর থেকে যা কিছু বের হয় এ কারণে অযু ভেঙ্গে যায়, প্রবেশের দ্বারা ভঙ্গ হয় না। (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকী ৫৬৮)

https://www.ifatwa.info/2142 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
হানাফি মাযহাবের নির্ভরযোগ্য কিতাব ফাতাওয়ায়ে শামীতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা বর্ণিত রয়েছে।
في الدرالمختار-ج:١ـص:١٣٤
(وينقضه) خروج منه كل خارج (نجس) بالفتح ويكسر (منه) أي من المتوضئ الحي معتادا أو لا، من السبيلين أو لا (إلى ما يطهر) بالبناء للمفعول: أي يلحقه حكم التطهير. ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا، كما لو سال في باطن عين أو جرح أو ذكر ولم يخرج،

জীবিত পবিত্রতম কোনো ব্যক্তির প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে অথবা শরীরের অন্যান্য অঙ্গ দিয়ে কোনো নাজাসত বের হলে অজু ভঙ্গ হয়ে যাবে।চায় স্বাভাবিক কিছু বের হোক বা অস্বাভাবিক কিছু বের হোক।প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে যৎ সামান্য কিছু বের হলেই অজু চলে যাবে।আর অন্যান্য অঙ্গ থেকে শুধুমাত্র নাজাসত প্রবাহিত হলেই অজু ভঙ্গ হবে।চায় জোরে হোক বা আস্তে।কেননা ফুকাহায়ে কিরাম লিখেন,যদি কেউ রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না।তবে যদি রক্ত যখমের ভিতর দৌড়াদৌড়ি করে ,অথবা চোখ কিংবা পুরুষাঙ্গের ভিতরে দৌড়াদৌড়ি করে,কিন্তু বাহিরে আসে না,তাহলে এমন রক্তের কারণে অজু ভঙ্গ হবে না।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

এখানে সাদা স্রাব বাহিরে আসার দ্বারা লজ্জাস্থানের যে ছিদ্র আছে সেই ছিদ্রের বাহিরে বেরিয়ে আসাটা উদ্দেশ্য। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সাদা স্রাব গোপনাঙ্গের বাহিরে নের হয়ে আসলে অর্থাৎ লজ্জাস্থানের যে ছিদ্র আছে সেই ছিদ্রের বাহিরে বেরিয়ে আসলেই অযু ভেঙ্গে যাবে।

(০২)
জরায়ুর মুখ থেকে স্রাব বের হলেই ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবেনা। 
বরং জরায়ুর মুখ থেকে  স্রাব বের হয়ে বাহিরে আসলে ওযু ভঙ্গ হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি যত বার ই ওযুর আগে লজ্জাস্থান ধৌত করি না কেন ভিতরে হালকা আংগুল দিয়ে ডললে দেখা যায় আংগুলে হালকা স্রাব লেগে আছে যেটা চোখে এমনি দেখা যায় না। এভাবে দেখলে দেখা যায় ঘোলা হয়ে আছে। এরকম করে যতক্ষণ পরিষ্কার না হয় আমি ধুতেই থাকি। এতে তো নামাযের ওয়াক্ত চলে যায় বা অনেক দেরি হয়ে যায় এক ওযু করতে। এতে আমার নামায পড়তে অনেক সমস্যা হয়। 
উপরোক্ত ফতোয়ায় দেখলাম সাদা স্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে আসলেই কেবল ওযু ভাংগে। তাহলে ওযু করার আগে যখন লজ্জাস্থান ধুই তখন কয়েকবার ধুইলেই হবে? যদি আংগুল দিয়ে লজ্জাস্থানে ঘষে এভাবে দেখে ঘোলা লাগে তাও? এভাবেই ওযু করে বের হয়ে যাব? আর ওযু করার পর যদি সাদা স্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে না আসে, শুধু জরায়ু থেকে হালকা বের হয়ে ভিজে থাকে যেটা আংগুল বা টিস্যু দিয়ে চেক করলে ভেজা দেখা যায় ওই অবস্থায় সেই ওযু দিয়ে পরের ওয়াক্তের নামায ও পড়তে পারব? প্লিজ উত্তর জানাবেন। আমি প্রতি ওয়াক্তে ওযু করি এই জরায়ু থেকে বের হয়ে হালকা ভিজে থাকার কারণে। অনেক সমস্যা আর সময় চলে যায়
by (573,870 points)
এই ভাবে অযু করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। ওযু করার পর যদি সাদা স্রাব লজ্জাস্থানের বাইরে না আসে, সেক্ষেত্রে আপনার অযু ভেঙ্গে যাবেনা।
আপনি ঐ অযু দিয়ে যত ইচ্ছা নামাজ আদায় করতে পারবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 181 views
...