জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে পিরিয়ড এর ক্ষেত্রে নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
অর্থাৎ নামাজের শেষ সময়ে যদি কাহারো পিরিয়ড শুরু হয়,তাহলে তার উক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হবেনা।
,
কাহারো নামাজের শেষ সময়ে এসে পিরিয়ড শেষ হয়,
তাহলে যদি সেই সময় গোসল করে সেই নামাযের তাকবীর বাঁধার মত সময়ও বাকি থাকে, তাহলে উক্ত নামাযটি আদায় করা আবশ্যক হয়ে যায়। আর যদি গোসল করে তাকবীর বাঁধার মত সময় না পাওয়া যায়, তাহলে সেই নামায আদায় করা আবশ্যক নয়।
,
এখানেও নামাজের শেষ সময় ধর্তব্য।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، - وَهُوَ ابْنُ سَمَاعَةَ - قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .
ইমরান ইবনু ইয়াজিদ (রহঃ) ... উরওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, কুরাইশ বংশের আসা’দ গোত্রের ফাতিমা বিন্ত কায়স (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললেন যে, তার ইস্তিহাযা হয়। তিনি মনে করেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এ একটি শিরা (শিরার রক্ত) বিশেষ। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হবে তখন সালাত ছেড়ে দেবে। আর যখন তা বন্ধ হবে তখন গোসল করবে এবং তোমার ঐ রক্ত ধুয়ে ফেলবে। অতঃপর সালাত আদায় করবে।
সহিহ, বুখারি হাঃ ৩০৬, মুসলিম (ইসলামিক সেন্টার) হাঃ ৬৫৯।
أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، قَالَ حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ هَاشِمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِذَا أَقْبَلَتِ الْحِيضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي
হিশাম ইবনু আম্মার (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন হায়েয আসে তখন সালাত ছেড়ে দেবে, আর যখন তা বন্ধ হয়ে যায়, তখন গোসল করবে।
সহিহ, বুখারি ও মুসলিম।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কোনো মেয়ের যদি আজ ইশার ওয়াক্তে হায়েজ শেষ হয়ে যায়,তাহলে তাক আজ ইশার ওয়াক্ত থেকেই সালাত আদায় করতে হবে।
সুতরাং তাকে ইশার ওয়াক্তের মধ্যেই গোসল করে ইশার সালাত আদায় করতে হবে।
এটি তার উপর ফরজ।
সে যদি কাল জোহরের ওয়াক্তে গোসল করে জোহরের সালাত আদায় করে,সেক্ষেত্রে তাকে আগের দিনের ইশা ও ফজরের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
ইশা ও ফজরের নামাজ কাজা করা দরুন তার মারাত্মক ও কঠিন গুনাহ হবে।
(০২)
বালেগাহ হওয়ার পর থেকে নিয়ে অনাদায়ী পূর্বের সমস্ত সালাত ও রোযার কাজা আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে প্রবল ধারণার ভিত্তিতে নামাজ ও রোযার সংখ্যা নির্দিষ্ট করে নিয়ে আদায় করতে থাকবে।
(০৩)
এক্ষেত্রে কাজা রোযা এবং কাজা সালাত আদায়ের নিয়ত সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
ক,
হ্যাঁ, যাবে।
তবে শর্ত হলো ঐ ছবি প্রিন্ট করা যাবেনা।
ঐ ছবি প্রিন্ট করা হলে তাহা জায়েজ হবেনা।
খ,
উক্ত ওয়েবসাইট থেকে টাক ইনকামের ক্ষেত্রে যদি শরীয়াহ বিরোধী কোনো কাজ না করতে হয়,সেক্ষেত্রে ইনকাম হালাল হবে।
(০৫)
কাগজে রাখা কোনোভাবেই জায়েজ হবেনা।মাহরাম কাহারো ছবি ফোনে রাখার ব্যপারে উলামায়ে কেরামদের মতবিরোধ রয়েছে।
বিশেষ প্রয়োজনে ছাড়া ফোনে না রাখাই সতর্কতা।
(০৬)
গেম ডেভলপমেন্ট করা জায়েজ নেই।
হালাল ভিডিও ডেভলপমেন্ট করা জায়েজ আছে। তবে নাজায়েজ কোনো ভিডিও ডেভলপমেন্ট করা জায়েজ নেই।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৭)
আপনার ভরনপোষণ তো আপনার নিজের বাবার উপর আবশ্যক।
এভাবে সৎ বাবার হারাম টাকায় খাওয়া পড়াশোনা করলে,দোয়া ইবাদত কবুল হবেনা।
এক্ষেত্রে পরবর্তীতে সামর্থবান হওয়ার পর সমপরিমাণ টাকা ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
উল্লেখ্য আপনি নিজেই যদি বালেগাহ হয়ে থাকেন,নেসাব পরিমাণ সম্পদের যদি মালিক না হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে আপনি যেহেতু শরীয়িতের পরিভাষায় ধনী নন,ফকির বা দরিদ্র।
তাই আপনার জন্য আপনার সৎ বাবার হারাম টাকা গ্রহন জায়েজ আছে।
সুতরাং এক্ষেত্রে আপনার সৎ বাবার হারাম টাকায় খাওয়া পড়াশোনা করলে,দোয়া ইবাদত কবুল হবে।
আরো জানুনঃ-