আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম , বাবার সাথে দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ নাই । সে কয়েকবছর আগে আমার দায়িত্ব বহন করতে অপরাগ জানায় , আমি তখন কলেজের ছাত্র , সে কোনো টাকা পয়সা আমাকে দেয় নাই বরং তার ভাই বোন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে খরচ করেছে। এতে আমার অনেক ভোগানন্তির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে । এখন সে আমার কাছে আসতে চায় যেখানে আমি নিজে এখন দিন আনি দিন খাই । আমি তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি । তাছাড়া তার আখলাকে অনেক ত্রুটি যেমন: মিথ্যাচার করা ,  গান বাজনায় শামিল হওয়া ও বাদ্যযন্ত্র বাজানো ইত্যাদি । তাই আমি তাকে আমার থেকে দূরে রেখেছি । ফোনেও কথা বলছি না কারন তার কথা শুনলে প্রচন্ড রাগ উঠে । প্রায় ২ বছর ধরে কথা বন্ধ । আমি জানি এর জন্য আমি গোনাহকার । কিন্তুু আমি মাত্রই তার আপাতত যোগাযোগ রাখাতে পারছি না , সম্ভব হচ্ছে না ।কিন্তুু কোথাও হয়তো পড়েছি যে কবিরা গোনাহে স্থীর থাকা কুফরি  । তাই শংঙ্কায় আছি যে এতে কি আমি কুফরিতে লিপ্ত হচ্ছি যা আমার ঈমানের জন্য হুমকি ? এ প্রশ্নের উত্তর দিবেন ।

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ " لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعُ رَحِمٍ " . - صحيح

জুবাইর ইবনু মুত্বঈম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।

.(বুখারী ৫৯৮৪, মুসলিম ১৯-(২৫৫৫), আবূ দাঊদ ১৬৯৬, তিরমিযী ১৯০৯, সহীহুল জামি‘ ৭৬৭১, সহীহ আত্ তারগীব ওয়াত্ তারহীব ২৫৪০ সহীহ আল আদাবুল মুফরাদ ৪৫, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ২০২৩৪, মুসনাদুল বাযযার ৩৪০৫, আহমাদ ১৬৭৩২, মুসনাদে আবূ ইয়া‘লা ৭৩৯২, সহীহ ইবনু হিব্বান ৪৫৪, শু‘আবুল ঈমান ৭৯৫২, ‘ত্ববারানী’র আল মু‘জামুল কাবীর ১৪৯১, আর মু‘জামুল আওসাত্ব ৯২৮৭।)
.
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَنَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ، وَسَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَدْخُلُ الْجَنَّةَ قَاطِعٌ " . قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ قَالَ سُفْيَانُ يَعْنِي قَاطِعَ رَحِمٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

মুহাম্মাদ ইবনু জুবাইর (রাহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (জুবাইর) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ  কর্তনকারী (আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী) জান্নাতে যেতে পারবে না।
(সহীহ, গাইয়াতুল মারাম (৪০৮), সহীহ আবূ দাউদ (১৪৮৮), বুখারী, মুসলিম।
ইবনু আবী উমার বলেন, সুফিয়ান বলেছেন, অর্থাৎ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
(তিরমিজি ১৯০৯) 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কবীরা গুনাহ হচ্ছে।
তবে এক্ষেত্রে আপনি  কুফরিতে লিপ্ত হয়েছেন বিষয়টি এমন নহে।
,
আপনার জন্য জরুরি হলো আপনার বাবার সাথে যোগাযোগ, তার হক ইত্যাদি আদায় করা।
,
তার খরচ আপনাকে দিতে হবে কিনা,সেক্ষেত্রে আমরা বলবোঃ 
★মা বাবা নিজেদের ভরনপোষণের ক্ষেত্রে অসমর্থ হলে সন্তানদের জন্য তাদের ভরনপোষণের খরচ দেওয়া শুধু শরীয়তেই নয়  এটা মানবতার দিক লক্ষ্য করেও জরুরি।

হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মানুষের সর্বোত্তম মুদ্রা সেটি, যা সে তার পরিবারের খরচে ব্যয় করে।’ (মুসলিম : হাদিস ৯৯৪) 

অন্য একটি হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো ব্যক্তি তার পরিবারে যে খরচ করে তা-ও সদকাস্বরূপ, অর্থাৎ এতেও সে সদকার সওয়াব পাবে।’ (বুখারি : হাদিস ৪০০৬)
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সন্তান তার বাবাকে খরচ দেওয়া জরুরি হওয়ার জন্য  ২ টি শর্ত রয়েছেঃ 

(০১) এক্ষেত্রে বাবা যদি এমন দরিদ্র হতে হবে যে তাঁরা নিজের মালিকানার সম্পদে চলতে অক্ষম।

(০২) এবং সন্তান-সন্ততি সামর্থ্যবান ও উপার্জনে সক্ষম হতে হবে। এবং তাদের স্বাভাবিক ভরণ-পোষণের পর অতিরিক্ত সম্পদ থাকতে হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...