আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
১/ বাবার থেকে মিথ্যা বলে টাকা নেওয়া সেটা কি জায়েজ হবে?

২/নামাজে ৩ তসবিহ পরিমাণ চুপ থাকলে সেজদা দিতে হয়,কিন্তু যদি রুকু-সেজদায় যাওয়ায় ৩ তসবিহ চুপ থাকলে তাহলে কি করনীয়?
৩/বাচ্চাদের কি মারা যাবে,,পড়াশোনা না করলে বেয়াদবি করলে?

৪/অন্যকে উপদেশ দিয়ে সেটা পালন করা যদি আমার জন্য কষ্টদায়ক হয় তবে কি করনীয়?
৫/প্রয়োজনে অন্য পুরুষের দিকে তাকানো যাবে?

৬/মেঝেতে পিপড়ারা থাকে প্রায় তাহলে ঝাড়ু দেওয়ার বিধান কি?

৭/ কেউ সুন্দর বলবে এই ভেবে কি জামা পড়া যাবে?

৮/প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাওয়া  যাবে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১) বাবার থেকে মিথ্যা বলে টাকা নেওয়া জায়েয হবে না।

(২)নামাজে ৩ তসবিহ পরিমাণ চুপ থাকলে সেজদা সাহু দিতে হয়,তবে রুকু-সেজদায় যেতে যেতে ৩ তসবিহ পরিমাণ চুপ থাকলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। হ্যা, রুকু বা সিজদায় গিয়ে ৩ তাসবিহ পরিমাণ চুপ থাকলে তখন সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।

(৩)
শিক্ষা অর্জনের প্রতি বাচ্ছা/ছাত্রদেরকে মনযোগী করতে বা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার পরও যদি বাচ্ছা/ ছাত্রটি মনযোগী হয়না,তখন তাকে সরি বা বেত দ্বারা অবস্থাবেধে সর্বোচ্ছ ১০টা বেত্রাঘাত  করা যাবে।যেমন হাদীস শরীফে এসেছে......
ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻻ ﻳﺠﻠﺪ ﻓﻮﻕ ﻋﺸﺮ ﺟﻠﺪﺍﺕ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺣﺪ ﻣﻦ ﺣﺪﻭﺩ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻛﻢ ﺍﻟﺘﻌﺰﻳﺮ ﻭﺍﻷﺩﺏ
তরজমা- নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-
শিষ্টচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্ছ দশটা বেত্রাঘাত করা যাবে তবে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রান্ত হওয়ার হলে এর থেকেও বেশী শাস্তি দেওয়া যাবে।(যেমন ব্যবিচারির শাস্তি ১০০বেত্রাঘাত)
**শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে বেত্রাঘাত ব্যতীত অন্যান্য সব রকম চেষ্টাই যখন ব্যর্থ হবে সব রকম চেষ্টাই বিফল যাবে,তখন বেত্রাঘাত করার হুকুম শরীয়ত কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে প্রদান করে।
(১)দশের উর্ধে হতে পারবে না।
(২)চেহারায় প্রহার করা যাবে না।

নবীজি সাঃ বলেনঃ-
ﺇﺫﺍ ﺿﺮﺏ ﺃﺣﺪﻛﻢ، ﻓﻠﻴﺠﺘﻨﺐ ﺍﻟﻮﺟﻪ، ﻭﻻ ﻳﻘﻞ ﻗﺒﺢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺟﻬﻚ " ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ، ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ ﺑﺄﻟﻔﺎﻅ ﺃﺧﺮﻯ
তরজমা- যখন শরয়ী প্রয়োজনে কেউ প্রহার করবে তখন সে যেন চেহারায় প্রহার করা থেকে বিরত থাকে,এবং সে যেন তাকে (রাগবশত)এ কথা না বলে যে,আল্লাহ তোমার চেহারাকে (সমস্ত বরকত থেকে বঞ্চিত করে)অমঙ্গল করুক।
(৩)বিশেষ এমন কোন স্থানে প্রহার করা যাবে না যেখানে বেশী ব্যথা পাওয়া যায় বা অন্য কোন সমস্যার সম্ভাবনা থাকে,যেমনঃ পেট,লজ্জাস্থান,ইত্যাদি।
(৪)রাগান্বিত অবস্থায় প্রহার করা যাবে না।


(৪)অন্যকে উপদেশ দিয়ে সেটা পালন করা যদি কষ্টদায়ক হয়, তাহলে যথাসম্ভব সেই উপদেশ অনুযায়ী নিজে আ'মল করার চেষ্টা করা উচিত। 

(৫)বিশেষ প্রয়োজনে পুরুষের দিকে তাকানো যাবে।নতুবা জায়েয হবে না।

(৬)মেঝেতে পিপড়ারা থাকলে ঝাড়ু দিবেন।


(৭)কেউ সুন্দর বলবে এই ভেবে জামা পড়া উচিৎ না।

(৮)প্রয়োজনে অতিরিক্ত খাওয়া যাবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3799


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...