ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কেরাতে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা যেমন সূরা কাফিরূন পড়ার নিয়ত থাকে কিন্তু ভুলে অন্য কোন সূরা পড়া শুরু করে এ সূরা শেষ বা ৩ আয়াত না পড়ে নিয়ত করা সূরা দিয়ে নামাজ শেষ করলে নামাজ আদায় হবে।এক্ষেত্রে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
তবে এমনটা করা মাকরুহ। যদি তিন তাসবিহ সমপরিমাণ দেড়ী করা না হয়, তাহলে এতে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 547):
"وفي الخلاصة افتتح سورة وقصده سورة أخرى فلما قرأ آية أو آيتين أراد أن يترك تلك السورة ويفتتح التي أرادها يكره اهـ. وفي الفتح: ولو كان أي المقروء حرفًا واحدًا."
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 93)
(২)কেরাত পড়া শুরুর পর হঠাৎ মনে হয় সূরা ফাতিহা পড়া হয় নি। এমতাবস্থায় ঐ রাকাতে আবার সূরা ফাতিহা থেকে কেরাত শুরু করা যাবে না, বরং তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করতে হবে। গভীর চিন্তাভাবনার পর যে দিকে মন সায় দিবে, সেই অনুযায়ী নামায পড়তে হবে। যদি এক্ষত্রে তিন তাসবিহ পরিমাণ সময় ব্যয় হয়, তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে।
(৩)ফজরে উঠতে দেরি হয়ে গেলে নামাজ পড়া শেষ করে যদি দেখা যায় চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরও ১ বা ২ মিনিট আগে ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে গেছে, এক্ষেত্রে উক্ত নামাজকে কাযা করতে হবে।