আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in সালাত(Prayer) by (5 points)
আমি হানাফি মাজহাব অনুসরণ করি।
১. আমি নামাজে হাত নাভির একটু উপরে পেটের ওপর বাঁধি।
এটা কি করা যাবে?? নাকি নফসের অনুসরণ হবে? (যেহেতু একটা মাজহাব-ই মানতে হবে।) নাকি আমার জন্য নাভির নিচে হাত বাঁধতে হবে?

২. আমার তো অনেক জ্ঞান নেই। আমি কিভাবে বুঝব কোনটা হানাফি মাজহাব অনুযায়ী হচ্ছে, আর কোনটা হচ্ছেনা??

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


নামাজে তাকবিরে তাহরিমার পর, কিরাআত রত অবস্থায় হাত বাধা সুন্নাত।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عن وائل بن حجر : أنه رأى النبي صلى الله عليه وسلم رفع يديه حين دخل في الصلاة كبر، وصف همام حيال أذينه، ثم التحف بثوبه، ثم وضع يده اليمنى على اليسرى ...

হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকবীর দিয়ে দুই হাত তুললেন। রাবী বলেন, দুই কান বরাবর। এরপর পরিধানের চাদর গায়ে জড়িয়ে নিলেন, এরপর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখলেন ...।
(সহীহ মুসলিম ১/১৭৩)

كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يؤمنا فيأخذ شماله بيمينه. رواه الترمذي وقال : حديث حسن.

হযরত হুলব আতত্বয়ী রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের ইমাম হতেন এবং তাঁর ডান হাত দিয়ে বাম হাত ধরতেন।
(জামে তিরমিযী ১/৩৪; ইবনে মাজাহ ৫৯)

كان الناس يؤمرون أن يضع الرجل اليد اليمنى على ذراعه اليسرى في الصلاة. قال أبو حاتم : لا أعلمه إلا ينمى ذلك إلى النبي صلى الله عليه وسلم.

হযরত সাহল ইবনে সাদ রা. বলেন, লোকদেরকে আদেশ করা হত, পুরুষ যেন নামাযে ডান হাত বাম বাহুর উপর রাখে।’
(সহীহ বুখারী ১/১০৪)

হযরত জাবির রা. বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন নামাযরত ব্যক্তির নিকট দিয়ে গমন করছিলেন, যিনি ডান হাতের উপর বাম হাত রেখে নামায পড়ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত খুলে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখলেন।
(মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫০৯০)

★এখন প্রশ্ন হয় যে কোথায় হাত বাধতে হবে?
এর জবাব হলো, হাত বাধার ক্ষেত্রে নাভির নিচে হাত বাধা সুন্নাত।

এই বিষয়ে হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حدثنا وكيع، عن موسى بن عمير، عن علقمة بن وائل بن حجر، عن أبيه قال : رأيت النبي صلى الله عليه وسلم  يضع يمينه على شماله في الصلاة تحت السرة.

হযরত ওয়াইল ইবনে হুজর রা. থেকে বর্ণিত, ‘আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি, তিনি নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নীচে রেখেছেন।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৫১)

حدثنا يزيد بن هارون قال : أخبرنا الحجاج بن حسان قال : سمعت أبا مجلز ـ أو سألته ـ قال : قلت كيف أصنع؟ قال : يضع باطن كف يمنيه على ظاهر كف شماله ويجعلها أسفل من السرة.
বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. বলেন, ‘নামাযে ডান হাত বাম হাতের উপর নাভীর নিচে রাখবে।’
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৬০)

تحت السرة أقوى في الحديث تحت السرة أقوى في الحديث وأقرب إلى التواضع
 তাবেয়ী আবু মিজলায লাহিক ইবনে হুমাইদ রাহ.নামাযে কোথায় হাত বাঁধবে-এ প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘ডান হাতের পাতা বাম হাতের পাতার পিঠের উপর নাভীর নিচে রাখবে।’
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩৯৬৩)

তবে এই বিষয় নিয়ে ইমাম শাফেয়ী রহঃ সহ আরো কিছু ইসলামী স্কলারদের মতবিরোধ রয়েছে। 
সুতরাং তাদের মতানুসারী গন তাদের মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন। 

আরো জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1177

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু নাভির নিচে হাত বাধেননি,সুতরাং একাজটি সঠিক নয়।
সুন্নাতের খেলাফ হচ্ছে।

(০২)
আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
এর জন্য পরামর্শ থাকবে আহকামে জিন্দেগী গ্রন্থ সংগ্রহ করার।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
শায়েখ আসসালামু আলাইকুম আমার কিছু প্রশ্ন ছিল কিন্তু আপনাদের ওয়েবসাইট এ প্রশ্ন  করা যায় না।
by (675,600 points)
ইনবক্সে প্রশ্ন করতে পারেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...