জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
মাইয়্যিতের পক্ষ থেকে তার ছুটে যাওয়া রোযা আদায় করা জায়েজ নেই।
এক্ষেত্রে মাসয়ালা হলো প্রত্যেক রোযার বিনিময়ে একটি করে ফিদইয়াহ আদায় করা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
موطا امام مالک
"أن عبد الله بن عمر كان يسأل: هل يصوم أحد عن أحد أو يصلي أحد عن أحد؟ فيقول: «لا يصوم أحد عن أحد ولا يصلي أحد عن أحد»."
(كتاب الصيام، باب النذر في الصيام والصيام عن الميت، ج: 1، ص: 303، ط: دار إحياء التراث العربي)
সারমর্মঃ-
আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ কে এক ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করিলো,কেউ কি কাহারো পক্ষ থেকে (ফরজ) রোযা রাখতে পারবে? কেউ কি কাহারো পক্ষ থেকে (ফরজ) নামাজ আদায় করতে পারবে?
তিনি জবাব দিয়েছেন যে,কেউ কাহারো পক্ষ থেকে ফরজ রোযা,ফরজ নামাজ আদায় করতে পারবেনা।
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ-
فتاوی شامی
"الأصل أن كل من أتى بعبادة ما،له جعل ثوابها لغيره وإن نواها عند الفعل لنفسه لظاهر الأدلة۔۔۔ (العبادة المالية) كزكاة وكفارة (تقبل النيابة) عن المكلف (مطلقا)۔۔۔ والبدنية) كصلاة وصوم (لا) تقبلها."
(كتاب الحج، باب الحج عن الغير، ج: 2 ص: 595-598، ط: دار الفكر بيروت)
সারমর্মঃ-
মূলনীতি হলো,প্রত্যেক যেই বস্তু ইবাদত বলে গন্য হবে,তার ছওয়াব নিজের জন্য, অপরের জন্যেও পাঠাতে পারবে। যেমন,যাকাত,কাফফারা,নামাজ,রোযা।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত বাবা মা তাদের মৃত সন্তানের জন্য রোজা রাখতে পারবে।
এই রোজা নফল রোযা বলে গন্য হবে।
এক্ষেত্রে তাদের সন্তান সেই রোযার ছওয়াব পাবে।