নামাজের অন্যতম একটি শর্ত (ফরজ)হলো জায়গা পাক থাকা।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ اِذۡ جَعَلۡنَا الۡبَیۡتَ مَثَابَۃً لِّلنَّاسِ وَ اَمۡنًا ؕ وَ اتَّخِذُوۡا مِنۡ مَّقَامِ اِبۡرٰہٖمَ مُصَلًّی ؕ وَ عَہِدۡنَاۤ اِلٰۤی اِبۡرٰہٖمَ وَ اِسۡمٰعِیۡلَ اَنۡ طَہِّرَا بَیۡتِیَ لِلطَّآئِفِیۡنَ وَ الۡعٰکِفِیۡنَ وَ الرُّکَّعِ السُّجُوۡدِ ﴿۱۲۵﴾
আর স্মরণ করুন, যখন আমরা কাবাঘরকে মানবজাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের স্থানরূপে গ্রহণ করো। আর ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে আদেশ দিয়েছিলাম তাওয়াফকারী, ই’তিকাফকারী, রুকু’ ও সিজদাকারীদের জন্য আমার ঘরকে পবিত্র রাখতে।
(সুরা বাকারা ১২৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، قَالَ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ قَامَ أَعْرَابِيٌّ فَبَالَ فِي الْمَسْجِدِ فَتَنَاوَلَهُ النَّاسُ، فَقَالَ لَهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم " دَعُوهُ وَهَرِيقُوا عَلَى بَوْلِهِ سَجْلاً مِنْ مَاءٍ، أَوْ ذَنُوبًا مِنْ مَاءٍ، فَإِنَّمَا بُعِثْتُمْ مُيَسِّرِينَ، وَلَمْ تُبْعَثُوا مُعَسِّرِينَ ".
আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা জনৈক বেদুঈন দাঁড়িয়ে মসজিদে পেশা করল। তখন লোকেরা তাকে বাধা দিতে গেলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ তোমরা তাকে ছেড়ে দাও এবং ওর পেশাবের উপর এক বালতি পানি ঢেলে দাও। কারণ তোমাদেরকে কোমল ও সুন্দর আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়েছে, রূঢ় আচরণ করার জন্য পাঠানো হয়নি। (বুখারী ২২০.৬১২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২০)
★এক্ষেত্রে জায়গা পাক দ্বারা তত জায়গা পাক হওয়া উদ্দেশ্য,নামাজ আদায় করতে যতটুকু জায়গা শরীরের সরাসরি স্পর্শ হয়।
যেমন দাড়ানোর জায়গা,সেজদায় হাটু রাখার জায়গা,হাত, নাক,কপাল রাখার জায়গা।
বৈঠকের সময় বসার জায়গা পাক হতে হবে।
উক্ত বিছানার উপর নামাজ পড়া জায়েজ হবেনা। তবে সেই বিছানার উপর জায়নামাজ বিছিয়ে সেই জায়নামাজ এর উপর নামাজ পড়া জায়েজ হবে।