আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
edited by

১. আমাদের  অফিসে ইন-হাউজ ট্রেনিং (২/৩ ঘন্টার) হয়। আমরা মাসে ১/২ টা ট্রেনিং পাই। এসব ট্রেনিং এ প্যাড/কলম দেয়। কলম আমি এ কলমগুলো এতদিন ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করি নি। এখন বেশ কয়েকটা কলম জমে গেছে। এগুলো কি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতে পারবো? অফিসের কাজে ব্যবহারের জন্য আমাদের আলাদা কলম নেয়ার ব্যবস্থা আছে। তবে আমি ট্রেনিং এর কলমগুলো থেকেই ব্যবহার করি। তাও থেকে যায়। 

২. অনলাইন বিভিন্ন সময়ে অফারে কম মূল্যে পণ্য বিক্রয় করে। যেমন- দারাজে ১১.১১ অফারে কম দামে বিভিন্ন জিনিস বিক্রয় করছে। এগুলো কেনা কি জায়েজ আছে? আর এগুলো বিধর্মীদের উৎসব বা ইংরেজি নববর্ষের সময় দিলে কি জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ النَّاسَ، كَانُوا يَتَحَرَّوْنَ بِهَدَايَاهُمْ يَوْمَ عَائِشَةَ، يَبْتَغُونَ بِهَا ـ أَوْ يَبْتَغُونَ بِذَلِكَ ـ مَرْضَاةَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم.

আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, লোকেরা তাদের হাদিয়া পাঠাবার জন্য ‘আয়িশা (রাঃ) এর নির্ধারিত দিনের অপেক্ষা করত। এতে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করত। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৪]

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “إِذَا أُتِيَ بِطَعَامٍ سَأَلَ عَنْهُ أَهَدِيَّةٌ أَمْ صَدَقَةٌ فَإِنْ قِيلَ صَدَقَةٌ. قَالَ لأَصْحَابِهِ كُلُوا. وَلَمْ يَأْكُلْ، وَإِنْ قِيلَ هَدِيَّةٌ. ضَرَبَ بِيَدِهِ صلى الله عليه وسلم فَأَكَلَ مَعَهُمْ

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে কোন খাবার আনা হলে তিনি জানতে চাইতেন, এটা হাদিয়া, না সাদকা? যদি বলা হতো, সাদকা তা হলে সাহাবীদের তিনি বলতেন, তোমরা খাও। কিন্তু তিনি খেতেন না। আর যদি বলা হল হাদিয়া। তাহলে তিনিও হাত বাড়াতেন এবং তাদের সাথে খাওয়ায় শরীক হতেন। [বুখারী, হাদীস নং-২৪০৬]

https://ifatwa.info/28588/  নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ

শরীয়তের বিধান হলো কোন মুসলিমের জন্য কুফরী আচারানুষ্ঠানের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করা কিংবা এ উপলক্ষে অন্যকে বোনাস গ্রহন,অফার গ্রহন করা হারাম।  কেননা আল্লাহ তাআলা কুফরীর প্রতি সন্তুষ্ট নন।

 তিনি বলেন: “যদি তোমরা কুফরী কর তবে (জেনে রাখ) আল্লাহ্ তোমাদের মুখাপেক্ষী নন। আর তিনি তাঁর বান্দাদের জন্য কুফরী পছন্দ করেন না। এবং যদি তোমরা কৃতজ্ঞ হও; তবে (জেনে রাখ) তিনি তোমাদের জন্য সেটাই পছন্দ করেন।” [সূরা যুমার, আয়াত: ৭]

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন: “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নেয়ামত সম্পূর্ণ করলাম, আর তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” [সূরা মায়েদা, আয়াত: ৩]

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ عَبْدِ اللهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهُ قَالَ:: ” الْمَرْءُ مَعَ مَنْ أَحَبَّ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসঈদ রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, ব্যক্তি [কিয়ামতের দিন] তার সাতে থাকবে যাকে সে মোহাব্বত করে। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৩৭১৮, বুখারী, হাদীস নং-৬১৬৮, ৫৮১৬}

عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ

হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪০৩১}

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. সাধারণত ট্রেনিংয়ের সময় অফিস কর্তৃপক্ষ যেই প্যাড বা কলম দেয় তা এককালীন দিয়ে থাকে। যাকে দেওয়া হয় সেই মালিক হয়। সুতরাং আপনি আপনার মালিকানাধীন বস্তু যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে সতর্কতার জায়গা থেকে উত্তম হবে, আপনি কর্তৃপক্ষ থেকে নিশ্চিত হবেন যে, তারা প্যাড বা কলম এককালীন দেন নাকি শুধু ট্রেনিংয়ে ব্যবহারের জন্য। যদি সেগুলি ট্রেনিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট হয়ে থাকে তাহলে পরবর্তিতে তা ব্যবহার করা জায়েয হবে না।

২.পূজা উপলক্ষে অনলাইনে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসের উপর নানা রকম অফার দিয়ে থাকে এবং ডেলিভারি চার্জ ফ্রী থাকে। এই অফারে কেনাকাটা করা জায়েজ নেই। তবে সাধারণ ডিসকাউন্ট যেটি বিধর্মীদের উৎসব উপলক্ষে হয় না, যেমন: উইন্টার অফার, সামার অফার, বছর শেষ এর সেল (year end offer) ইত্যাদী এভাবে ডিসকাউন্ট যেহেতু কোনো নির্দিষ্ট দিবস উপলক্ষে না, তাই এসব অফার / ডিসকাউন্ট গ্রহন জায়েয হবে। কিন্তু যেই ডিসকাউন্ট পেতে গিয়ে শরীয়তের খেলাফ কোনো কাজ আপনাকে করতে হয়, উহা শরীয়তের বিধান অনুযায়ী আপনার জন্য জায়েজ হবে না।   

আরো জানুনঃ   https://ifatwa.info/1382/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (29 points)
সরকারি পে স্কেল অনুযায়ী মুসলিমরা দুই ঈদের সময় ঈদ বোনাস পায়। হিন্দুরা দূর্গা পূজায়, আর খ্রিস্টানরা বড়দিনে। এখন কেউ যদি এমন স্থানে চাকুরি করে যেখানে হিন্দু বা খ্রিস্টান আছে এবং তাকে ওই বোনাস এর হিসাব করতে হয়, তাহলে এর জন্য কি সে গুনাগার হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...