প্রশ্নপত্র যদি নিশ্চিত আকারে ফাঁস করে দেওয়া হয়,তাহলে সেটি গ্রহন করা যাবেনা।
কারন এটি অন্যায়।
,
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
,
এতে ধোকা দেওয়া হচ্ছে,আর ধোকা দেওয়া জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
★কিন্তু যদি হুবহু প্রশ্ন না বলে দেওয়া হয়,বরং গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো যেগুলো অনেকটাই বা কিছুটা সম্ভাব্য, সেটি কোনো শিক্ষক সকলকেই কোনো স্বার্থ (বিনিময়) ছাড়াই বলে দিলে,তাহা গ্রহন করা যাবে।
,
তবে যেহেতু পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য, শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাই, তাই শিক্ষার্থীদের উন্নতির স্বার্থে এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের বাছাইয়ের স্বার্থে শিক্ষকদের এহেন কাজ করা উচিত নয়।
,
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে টিচারগন যদি আপনাদের সকলকেই এইভাবে সাজেশন পড়তে বলেন,এর বিনিময়ে যদি কিছুই না নেন,তাহলে সকলের মতো আপনারও সাজেশন থেকে পড়া জায়েজ আছে।
তবে টিচারগন কোশ্চেন দেখেই সাজেশন দিচ্ছেন,এমনটি নিশ্চিত ভাবে জানলে সেই সাজেশন গ্রহন করা যাবেনা।