আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
186 views
in সালাত(Prayer) by (6 points)
السلام عليكم و رحمة الله و بركاته

একজন নারীর তার স্বামীর মৃত্যুর পর ঢাকায় সন্তান নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। তিনি প্রায় ৩০০+ কি'মি দূরে (বাবার বাড়ি, বোনের বাড়ি এবং শশুড় বাড়িতে) মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন। শশুড়বাড়িতে তার নিজের একটা ঘর আছে আর নিজেদের জমিজমা আছে কিছু।
আমার প্রশ্ন হল শশুড়বাড়িতে ৭ দিনের জন্য বেড়াতে আসলে এখানে সালাত কসর করতে হবে কিনা। এটা কি তার জন্য ওয়াতনে আসলী থাকবে?

আগে যদি বাবার বাড়িতে যায় এরপর সেখান থেকে ৪৮ মাইলের কম দূরত্ব শশুড় বাড়িতে যায় তাহলে কিভাবে কসর করবে?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/40461/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

শরীয়তের বিধান হলো কোনো ব্যাক্তি যদি ৭৮ কিলোমিটার বা তার থেকে বেশি দুরত্বে কোথাও সফর করে সেখানে ১৫ দিনের চেয়ে কম থাকার নিয়ত করে, তাহলে সে মুসাফির বলে গন্য হবে।

 

সফরের নিয়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে কসর করতে হবে।

মুসাফিরের জন্য যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া  (কসর) ওয়াজিব; চার রাকাত (পূর্ণ পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে কারণ মুসাফিরের নামাযের বিধান হল কসর।

 

আয়েশা রাযি. বলেন,

فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ

মুকিম ও মুসাফির অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)

 

অপর হাদিসে এসেছে,

عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ – قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ – ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ

ইবনে উমর রাযি. বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আমি  উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেনআমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ এর মাঝে রেখেছি উত্তম আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)

 

বিস্তারিত জানুনঃ

https://ifatwa.info/7129/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু শশুড়বাড়ীতে উক্ত মহিলার এখানো তার ঘর ও জমিজমা আছে তাই এখনো শশুড়বাড়ী তার ওয়াতনে আছলী হিসেবে থাকবে অর্থাৎ সেখানে গেলে কসর করবে না 

প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যতটুকু বুঝে আসছে যে, শশুর বাড়ী ও বাবার বাড়ী খুব একটা দূরে না। তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ মহিলা বাবার বাড়ীতে গেলেও কসর করবে না। তবে যদি বাবার বাড়ী আরেক এলাকাতে হয় তাহলে ঢাকা থেকে সরাসরি বাবার বাড়ী গেলে তখন কসর করবে। (যদি উক্ত মহিলা বাবার বাড়ী আবাসস্থল হিসেবে না বানায়)।

বিয়ের পর মেয়েরা বাবার বাড়ীতে কসরের নামাজ পড়বে কি না বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/81697/  https://ifatwa.info/58289/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...