بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/50420/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ
রয়েছে,
শরীয়তের বিধান মতে সূদ দেওয়া,গ্রহন করা,তাতে সহযোগিতা
করা সবই হারাম।
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হচ্ছে-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا
اتَّقُوا اللَّهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِن كُنتُم مُّؤْمِنِينَ
[٢:٢٧٨]
হে ঈমানদারগণ,তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সুদের যে সমস্ত বকেয়া
আছে,তা পরিত্যাগ কর,যদি তোমরা ঈমানদার
হয়ে থাক। [সূরা বাকারা-২৭৮]
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا
تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُّضَاعَفَةً ۖ وَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ
تُفْلِحُونَ [٣:١٣٠]
হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ
খেয়ো না। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক, যাতে
তোমরা কল্যাণ অর্জন করতে পারো। [সুরা আলে ইমরান-১৩০]
হাদিস শরিফে এসেছে-
لَعَنَ رَسُولُ اللهِ ﷺ آكل الربا
وموكله وكاتبه وشاهديه، وقال : هم سواء.
আল্লাহর রাসূল ﷺ সুদখোর, সুদদাতা,
সুদের লেখক এবং তার উপর সাক্ষীদ্বয়কে অভিশাপ করেছেন, আর বলেছেন, ওরা সকলেই সমান। (মুসনাদে আহমাদ ৩৮০৯)
যদি ব্যাংকের এমন কোনো সেক্টরের কাজ হয়,যাতে সুদী কাজে জড়িত হতে হয় না।যেমনঃ ড্রাইভার,
ঝাড়ুদার, দারোয়ান, জায়েজ
কারবারে বিনিয়োগ ইত্যাদি সেক্টর হয়,তাহলে যেহেতু এসবে সরাসরি
সুদের সহায়তা নেই তাই এমন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ অবশ্যই রয়েছে।
ব্যাংকের অবস্থা এই যে, তার পূর্ণ সম্পদ কয়েকটি বিষয়ের সমষ্টি। যথা-
১-মূলধন।
২-সঞ্চয়কারীদের জমাকৃত টাকা।
৩-জায়েজ ব্যবসার আমদানী।
৪-সুদ এবং হারাম ব্যাবসার আমদানী।
এ চারটি বিষয়ের মাঝে কেবল ৪র্থ সুরতটি হারাম।
বাকিগুলো যদি কোন হারাম কাজ না হয় তাহলে মূলত জায়েজ।
যেসব ব্যাংকে প্রথম ৩টি বিষয়ের লেনদেন অধিক।
আর ৪র্থ বিষয়টি তথা হারাম লেনদেনের লভ্যাংশ কম সেসব ব্যাংকে সেসব ডিপার্টমেন্টে চাকরী
করা যাতে হারাম কাজ করতে না হয় তাহলে তা জায়েজ হবে। এবং বেতন নেওয়াও জায়েজ হবে। তবে
উত্তম হল এ চাকরীও ছেড়ে দেয়া।
কিন্তু যদি হারাম আমদানী বেশি হয় হালালের
তুলনায়, বা হারাম কাজে জড়িত হতে
হয় তাহলে উক্ত ব্যাংকে চাকরী করা জায়েজ নয়। এ থেকে বেতন নেওয়াও জায়েজ নয়। বেতন নিলে
তা হারাম হিসেবে গণ্য হবে। {ফাতওয়ায়ে উসমানী-৩/৩৯৪-৩৯৬}
ব্যাংকে চাকুরী সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
https://www.ifatwa.info/398
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু চাকুরীর
জন্য নয়, বরং গুনাহ থেকে বাঁচতে আপনি শুধু বাহ্যিক ভাবে পরিবারকে খুশী করার জন্য ব্যাংকে পরীক্ষা দিতে চাচ্ছেন, এক্ষেত্রে এভাবে পরীক্ষা
দেয়া যাবে। এতে গুনাহ হবে না। জায়েজ আছে। তবে মিথ্যা বলা যাবে না। আপনি
অন্য হালাল চাকুরীর জন্য প্রস্তুতি নিবেন এবং পরিবার যখন জানতে চাইবে আপনি “হ্যাঁ”
বলে অন্য বৈধ চাকুরী করার উদ্দেশ্য ও নিয়ত রাখবেন। যদিও তারা মনে করবেন আপনি ব্যাংক
জবের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এটি একটি বৈধ কৌশল। এতে কোন গুনাহ হবে না ইনশাআল্লাহ।