বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/55479/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ
রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান হলো
যদি কারো শরীরের অধিকাংশ জায়গা ক্ষত হয়, তাহলে সে তায়াম্মুম
করবে। আর ক্ষত জায়গায় মাসাহ
করবে। (মাসাহ করাটাও) সমস্যা হলে সেই জায়গা
ছেড়ে দিবে।
যদি অধিকাংশ জায়গা
ভালো থাকে,তাহলে তায়াম্মুম করিবেনা, বরং ধৌত করিবে।
ক্ষতস্থানের জায়গা যদি শরীরের অন্যান্য অঙ্গ মলে মলে ধোয়ার মতো এই
জায়গা ধোয়া না যায়, তাহলে শুধু পানি প্রবাহিত
করে দিবে। যদি পানি প্রবাবিত করে দেওয়া ক্ষতিকর হয়, তাহলে মাসাহ করে নিবে অর্থাৎ সামান্য ভেজা আঙ্গুল হালকা ভাবে যখমের স্থানের
উপর ফিরিয়ে নিবে।
যদি মাসেহ করাটাও
ক্ষতিকর হয়, কঠিন হয়, তাহলে সেই অঙ্গ আপন অবস্থায় ছেড়ে দিবে,
বাকি অঙ্গ ধুয়ে ফেলবে। সেই স্থান এমতাবস্থায় শুকনো রাখা যাবে। (কিতাবুন নাওয়াজেল ৫/৩০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ جَابِرٍ، قَالَ خَرَجْنَا فِي
سَفَرٍ فَأَصَابَ رَجُلاً مِنَّا حَجَرٌ فَشَجَّهُ فِي رَأْسِهِ ثُمَّ احْتَلَمَ
فَسَأَلَ أَصْحَابَهُ فَقَالَ : هَلْ تَجِدُونَ لِي رُخْصَةً فِي التَّيَمُّمِ؟
فَقَالُوا مَا نَجِدُ لَكَ رُخْصَةً وَأَنْتَ تَقْدِرُ عَلَى الْمَاءِ فَاغْتَسَلَ
فَمَاتَ، فَلَمَّا قَدِمْنَا عَلَى النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم أُخْبِرَ
بِذَلِكَ فَقَالَ : " قَتَلُوهُ قَتَلَهُمُ اللهُ أَلَّا سَأَلُوا إِذْ لَمْ
يَعْلَمُوا فَإِنَّمَا شِفَاءُ الْعِيِّ السُّؤَالُ إِنَّمَا كَانَ يَكْفِيهِ أَنْ
يَتَيَمَّمَ وَيَعْصِرَ " . أَوْ " يَعْصِبَ " . شَكَّ مُوسَى
" عَلَى جُرْحِهِ خِرْقَةً ثُمَّ يَمْسَحَ عَلَيْهَا وَيَغْسِلَ سَائِرَ جَسَدِهِ
" .
জাবির (রাঃ) সূত্রে
বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা কোন এক সফরে বের
হলে আমাদের মধ্যকার একজনের মাথা পাথরের আঘাতে ফেটে যায়। ঐ অবস্থায় তার স্বপ্নদোষ হলে
সে সাথীদের জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি আমার জন্য
তায়াম্মুমের সুযোগ গ্রহণের অনুমতি পাও? তারা বলল, যেহেতু তুমি পানি ব্যবহার করতে সক্ষম, তাই তোমাকে তায়াম্মুম করার সুযোগ দেয়া যায় না। অতএব
সে গোসল করল। ফলে সে মৃত্যুবরণ করল। আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট
আসলে তাঁকে বিষয়টি জানানো হলো। তিনি বললেনঃ এরা অন্যায়ভাবে তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ
এদের ধ্বংস করুন। তাদের যখন (সমাধান) জানা ছিল না, তারা কেন জিজ্ঞেস
করে তা জেনে নিল না। কারণ অজ্ঞতার প্রতিষেধক হচ্ছে জিজ্ঞেস করা। ঐ লোকটির জন্য তায়াম্মুম
করাই যথেষ্ট ছিল। আর যখমের স্থানে ব্যান্ডেজ করে তার উপর মাসাহ্ করে শরীরের অন্যান্য
স্থান ধুয়ে ফেললেই যথেষ্ট হত। (আবু দাউদ ৩৩৬.বায়হাক্বী (১/২২৮), দারাকুতনী (১/১৯০)
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/8828/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১.
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি অন্যের সাহায্য নিয়ে অর্থাৎ আপনার বেডের পাশে বালতি ধরে তাতে অন্যের সাহায্য নিয়ে অযু করে নিবেন। আর যেই হাতে টেপ থাকবে সেই হাতের যতটুকু ধৌত করা সম্ভব ততটুকু ধৌত করবেন এবং বাকী অংশটা অর্থাৎ সেই অংশে পানি পৌছানো সম্ভব হয়নি সেখানে সামান্য ভেজা হাত
দিয়ে টেপের বা ব্যান্ডেজের উপর ফিরিয়ে নিবেন।
২. প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ ক্রমে স্যালাইন কিছু সময়ের জন্য
খুলে রেখে স্বাভাবিক ভাবে নামাজ পড়বেন। আর যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে স্যালাইন
হাতে নিয়ে বসে বসে ইশারাতে রুকু-সেজদা করে নামাজ পড়ে নিবেন।
আরো বিস্তারিত
জানুন- ifatwa.info/23187/