আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (6 points)
আসসালামু আলাইকুম।
এক পোস্টে দেখলাম,  কারো কোন ভালো কিছু দেখলে মা শা আল্লাহ না বলে বারাক আল্লাহ বলতে হবে। মা শা আল্লাহ বলতে হবে নিজের ভালো কিছু হলে আর অন্যের বেলায় বারাক আল্লাহ।  মা শা আল্লাহ বলা নাকি সুন্নাহ না।
আমরা যাতে হিংসা ( হাসাদ) থেকে,  বদ নজর থেকে রক্ষার জন্য অন্যের ক্ষেত্রে মা শা আল্লাহ বলে থাকি। আর নিজেদের বেলায় আল হামদুলিল্লাহ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন দুয়াটা কোন ক্ষেত্রে বলবো?

সুন্নাহ র আলোকে কোনটা সহিহ?

জাযাক আল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


মাশা আল্লাহ (ما شاء الله ) শব্দের অর্থঃ আল্লাহ যেমন চেয়েছেন। 

যে কোনো সুন্দর এবং ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন, মাশা আল্লাহ তুমি তো অনেক বড় হয়ে গেছো।

তবে বিস্ময়কর কোনো কিছু দেখলে এই শব্দ বলা হয়। অর্থাৎ যেকোনো সুন্দর ও ভালো ব্যাপারে এটি বলা হয়। যেমন—মাশাআল্লাহ, তুমি তো অনেক বড় আলেম হয়ে গেছ।

‘মাশাআল্লাহ’ একটি দোয়া জাতীয় বাক্য। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে এই শব্দটি ব্যবহার করেছেন। এর অর্থ হচ্ছে, ‘আল্লাহ তায়ালা যা চান।’ কোনো ভালো জিনিস, পার্থিব লাভ, ধন-সম্পত্তি অর্জন ও উন্নতির পর এটা বলা হয়। এজন্য যখন কেউ অন্যের ভালো কোনো বিষয় ও উন্নতি দেখবেন তখন তার উচিত মাশাআল্লাহ বলা। এর মাধ্যমে ওই জিনিসটি অন্যের বদনজর থেকে রক্ষা পায়।

ভালো কিছু পেলে এর বিনিময়ে মাশাআল্লাহ বলার বিষয়টি আল্লাহ তায়ালা নিজেও পবিত্র কোরআনে শিক্ষা দিয়েছেন।

وَ لَوۡ لَاۤ اِذۡ دَخَلۡتَ جَنَّتَکَ قُلۡتَ مَا شَآءَ اللّٰہُ ۙ لَا قُوَّۃَ اِلَّا بِاللّٰہِ ۚ اِنۡ تَرَنِ اَنَا اَقَلَّ مِنۡکَ مَالًا وَّ وَلَدًا ﴿ۚ۳۹﴾ 

তুমি যখন তোমার বাগানে প্রবেশ করলে তখন কেন বললে না, আল্লাহ যা চান তা-ই হয়, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোন শক্তি নেই? তুমি যদি ধনে ও সস্তানে আমাকে তোমার চেয়ে নিকৃষ্টতর মনে কর।
(সুরা কাহাফ ৩৯)

অর্থাৎ “আল্লাহ যা চান তাই হবে। আমাদের যদি কোন কিছু চলতে পারে তাহলে তা চলতে পারে একমাত্র আল্লাহরই সুযোগ ও সাহায্য -সহযোগিতা দানের মাধ্যমেই। 

এ আয়াত থেকে সালফে সালেহীনের কেউ কেউ বলেনঃ কোন পছন্দনীয় বস্তু দেখার পর যদি (مَا شَاءَ اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ) বলে দেয়া হয়, তবে কোন বস্তু তার ক্ষতি করে না। [ইবন কাসীর] অর্থাৎ পছন্দনীয় বস্তুটি নিরাপদ থাকে বা তাতে চোখ লাগার মত ক্ষতি হয় না।

এই জন্যই হাদীসে এসেছে যে, ‘যাকে কারো মাল, সন্তান-সন্ততি অথবা অবস্থা ভাল লাগে, সে যেন বলে, ‘মা শাআল্লাহু লা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।’ (তাফসীর ইবনে কাসীর, মুসনাদ আবূ ইয়া’লা)

সহীহ হাদীসেও এ আয়াতের মত একটি হাদীস এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুকে বললেনঃ “আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি মূল্যবান সম্পদের সন্ধান দেব না? সেটা হলো: “লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।” [বুখারী: ৬৩৮৪, মুসলিম: ২৭০৪] আবার কোন কোন বর্ণনায় বলা হয়েছে, জান্নাতের সে মূল্যবান সম্পদ হলো: “লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”। [মুসনাদে আহমাদ: ২/৩৩৫]

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
কারো কোনো ভালো কিছু দেখলে মাশাআল্লাহ বলা সুন্নাহ। 
,
এক্ষেত্রে বারাকাল্লাহ (আল্লাহ তায়ালা তোমাকে বরকত দান করুন) বলা যাবে,তাতেও কোনো সমস্যা নেই। বিষয়টি এমন নয় যে এক্ষেত্রে উপরোক্ত কোনো একটি বাক্য বলা ওয়াজিব,না বললে গুনাহ হবে।

উপরোক্ত বাক্যগুলি বলা ওয়াজিব বা আবশ্যকীয় নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...