আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (35 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ,
মা বাবা আত্নীয়রা কোন মেয়েকে কি জোর করে তার মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে বিয়ে দিতে পারে?  ইসলাম কি বলে?  পাত্রকে মেয়ের একটুও পছন্দ হয়নি। একটুও ভালো লাগা কাজ করেনি। যদিও পাত্র MPO ভুক্ত একটি মাদ্রাসার Teacher এবং যথেষ্ট বয়স হয়েছে তবুও মুখে কোন দাড়ি রাখেনি, এমনকি চাপ দাড়িও রাখেনি। পাত্রকে দেখে বিন্দু পরিমাণ মায়াও লাগেনি। শুধু কি এই সমাজে ছেলেরা এবং ছেলের পরিবারই মেয়েদেরকে পছন্দ করতে পারবে কিংবা reject করতে পারবে?  একটা মেয়ে কি কোন ছেলেকে reject করতে পারে না?  মেয়ের বয়স বেড়ে যাচ্ছে দেখে কি তার মনের বিরুদ্ধে গিয়ে জোর করে তাকে বিয়ে দেয়া যায়? কই ছেলেটার বয়স ৪০ হলেও তো কেউ কিছু বলে না? ছেলেটা মেয়ের থেকে ১২/১৩ বছরের বড় হলেও কেউ কিছু বলে না। শুধু বলে আরে মেয়ের বয়স বেড়ে গেলে কেউ বিয়ে করবে না। এতো পছন্দ করে কি আর বিয়ে হয়? মেয়েটার মনের কস্টটা কি কেউ দেখে না? যেই মেয়ে জীবনে প্রেম করেনি সেই মেয়ে কি আল্লাহর কাছ থেকে সাহাবীর মতো কাউকে আশা করতে পারে না? শুধুমাত্র বয়স হয়ে যাচ্ছে দেখে কি তাকে জোর করে বিয়ে দিতে হবে? বেশির ভাগ পাত্র তাকে দেখে reject করে গেছে দেখে তাকে তার মনের ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে যে কারো সাথে কি বিয়ে দেয়া যায়? ইসলাম কি বলে?  ওই পাত্রকে তো সে husband হিসেবেই চিন্তা করতে পারতেছে না, বিয়ে করবে কি করে? ওই পাত্রের family এর সাথেও বিয়ের পর মেয়েটা adjust করতে পারবে না।  মা বাবার প্রতিও ওই মেয়ের ঘৃণা আর বিদ্ধেষ তৈরি হয়েছে। এই সমাজ এমন কেন শায়েখ? একটা মেয়ের কি কোথাও কোন মূল্য নেই? একটা মেয়ে কি শান্তিমতো থাকতে পারেনা? ওই মেয়ের বুকটা ফেটে যাচ্ছে কস্টে। আল্লাহ কি তার কস্ট বোঝেন না? শায়েখ কি আমল করলে, কি দোয়া করলে কিংবা কি নামাজ পড়লে শীঘ্রই ভালো কোন জায়গা থেকে ভালো বিয়ের প্রস্তাব আসবে। তাড়াতাড়ি একটা ভালো Islamic mind এর সাহাবীর মতো জীবনসংগী পাওয়া যাবে?  যাতে করে মেয়েটা তার পছন্দ মতো মানুষকে বিয়ে করতে পারে, যে হবে সাহাবীর মতো যাকে দেখলেই অন্তর প্রশান্তিতে পূর্ণ হয়ে যাবে।
by (35 points)

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

لاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتَّى تُسْتَأْذَنَ وَلاَ الثَّيِّبُ حَتَّى تُسْتَأْمَرَ فَقِيلَ يَا رَسُولَ اللهِ كَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ إِذَا سَكَتَتْ

কুমারী নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার অনুমতি গ্রহণ করা হবে। আর বিধবা নারী বিয়ে দেয়া যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না তার মত গ্রহণ করা হবে। প্রশ্ন করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! তার অনুমতি কেমন করে? তিনি বললেন, যখন সে নীরব থাকে। (বুখারী ৬৪৯৭)


আপনি দ্বীনদার পাত্রের জন্য https://ordhekdeen.com/ এখানে দেখুন। 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ সালামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
مُعَاذُ بْنُ فَضَالَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ يَحْيٰى عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ حَدَّثَهُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ تُنْكَحُ الأَيِّمُ حَتّٰى تُسْتَأْمَرَ وَلاَ تُنْكَحُ الْبِكْرُ حَتّٰى تُسْتَأْذَنَ قَالُوا يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَيْفَ إِذْنُهَا قَالَ أَنْ تَسْكُتَ.
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) তাদের কাছে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন বিধবা নারীকে তার সম্মতি ব্যতীত বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মহিলাকে তার অনুমতি ছাড়া বিয়ে দিতে পারবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! কেমন করে তার অনুমতি নেয়া হবে। তিনি বললেন, তার চুপ থাকাটাই হচ্ছে তার অনুমতি।(সহীহ বোখারী-৫১৩৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সাবালক মেয়ে চায় বিবাহিত হোক বা অবিবাহিত, তাকে জোড় করে কোথাও বিয়ে দেয়া জায়েয হবে না। জোড় করার পর মেয়ে যদি কবুল বলে নেয়,তাহলে বিয়ে হয়ে গেলেও কিন্তু অভিভাবকরা গোনাহগার হবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...