আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
198 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (34 points)

আসসালামু আলাইকুম।
 

আমি প্রিন্ট অন ডিমান্ড নিয়ে জানতে চাই। প্রিন্ট অন ডিমান্ড ইসলামে কি হালাল? প্রিন্ট  অন ডিমান্ড হলো এমন একটি বিজনেস মডেল যেখানে একজন কোনো টি-শার্ট এর ডিজাইন নিজে করে। পরবর্তীতে সে এই টি-শার্ট এর মার্কেটিং করে যেকোন প্লাটফর্মে আর কোন অর্ডার আসলে তখন ফুলফিলমেন্ট পার্টনার অর্ডার করা প্রোডাক্ট তৈরি করে কাস্টমার পর্যন্ত পৌছে দেয়। নিচে বুঝার সুবিধার্থে সাজিয়ে লেখা।


 

প্রিন্ট অন ডিমান্ডের দুইটি স্তর রয়েছে। একটি হচ্ছে সেলার এবং অন্যটি ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার। এখানে সেলার বলতে যে কিনা আপনার কাছে প্রোডাক্টের ডিজাইনগুলো তুলে ধরে প্রোডাক্টটি দেখতে কেমন তা ধারনা দিয়ে থাকে অপরদিকে ফুলফিল্মেন্ট পার্টনার এর দায়িত্ব হচ্ছে আপনার অর্ডার করা প্রোডাক্টটি তৈরি করে আপনার হাতে তুলে দেয়া পর্যন্ত। 


 

উল্লেখ্য ডিজাইনের/মূল বিষয়ের স্বত্ব সেলারের কাছে থাকে।  আর এক্ষেত্রে ফুলফিলমেন্ট পার্টনারের সাথে একটি চুক্তি হয় সেলারের।


 

শায়খ আসিম আল হাকিমের ফতোয়া এ নিয়ে https://youtu.be/9FS-L3CbQuI?si=UATalFwlsg-WBmAc 


 

এখন এ নিয়ে আপনাদের নিকট জানতে চাওয়া প্রিন্ট অন ডিমান্ড হালাল হবে? ব্যাখ্যাসহ শরয়ী সমাধান দিবেন। 


 

জাযাকাল্লাহু খাইরান। 

by (34 points)
উল্লেখ্য সেলার ডিজাইন ও মার্কেটিং এর বিষয় দেখে আর অর্ডার আসার পর প্রিন্টিং ও ডেলিভারির বিষয়ে দেখে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার। আর ফুলফিলমেন্ট পার্টনার তাদের কাজের বিনিময়ে প্রতি সেলে একটা অংশ বা লভ্যাংশ বা মুনাফা পায়। অর্ডার আনার কাজ সেলারই করে। 

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/4807/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
ইসলাম ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কে যে বিধি-বিধান দিয়েছে, এর অন্যতম একটি হচ্ছে, ব্যক্তি পণ্য ক্রয়ের পর কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রি করতে পারবে না। 

কবজা বলতে নিজের অধীনে নিয়ে আসাই নয় বরং পণ্যে যেকোনো ধরণের অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দেয়াও কবজার অন্তর্ভূক্ত। যেমন: একজন একটি পণ্য কেনার পর বিক্রেতার ঘরেই রেখে দিলো এবং বিক্রিতাও তাকে পণ্যের মধ্যে সর্বপ্রকার হস্তক্ষেপের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিলো তাহলে এটাও ক্রেতার কবজায় আছে বলে ধরা হবে। 

হাদিসে কবজার পূর্বে পণ্য অন্যত্র বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেন, কবজা করা ছাড়া যেন কোনো ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করে অন্যত্র বিক্রি না করে। (সহিহ মুসলিম-১৫২৫)।

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ طَاوُسٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ ابْتَاعَ طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ " . قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَأَحْسِبُ كُلَّ شَىْءٍ مِثْلَهُ .
ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, আবূ রাবী' আতাকী ও কুতাইবাহ্ (রহঃ) ..... ইবনু "আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে তা আয়ত্বে নেয়ার পূর্বে বিক্রি করতে পারবে না। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, আমি মনে করি সকল বস্তুর বেলায় এ একই নিয়ম।
 (মুসলিম শরীফ ৩৭২৮,ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৬৯৪, ইসলামিক সেন্টার ৩৬৯৪)

حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ اشْتَرَى طَعَامًا فَلاَ يَبِعْهُ حَتَّى يَسْتَوْفِيَهُ وَيَقْبِضَهُ " .
হারমালাহ্ ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি খাদ্যদ্রব্য ক্রয় করবে সে ততক্ষণ পর্যন্ত তা বিক্রি করতে পারবে না, যতক্ষণ না হস্তগত করে ও তাতে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করে। 
(মুসলিম শরীফ ৩৭৩৬ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭০১, ইসলামিক সেন্টার ৩৭০১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
"প্রিন্ট অন ডিমান্ড" বিষয়টি যদি এমন হয়,যেমনঃ- টি-শার্ট প্রিন্টিং এর ব্যবসা

কাস্টমার অর্ডার দেয়ার পর যারা টি-শার্ট তৈরি করবে তারা তখন ডিজাইন রেডি করে । তারপর প্রিন্ট করার পর কাস্টমার কে তারাই পাঠিয়ে দিবে। যিনি অর্ডার নিবেন, তিনি পণ্য হতে পাবেন না। সোজা কাস্টমার এর কাছে যাবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলোঃ-  যিনি অর্ডার নিবেন,তিনি যদি ঐ দোকান/কোম্পানি/টিশার্ট প্রস্তুত কারকদের পক্ষ হতে নিয়মতান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে কমিশন/বেতন ভিত্তিতে তার এভাবে অর্ডার নেয়া,কমিশন/বেতন সবই হালাল হবে।

অন্যথায় জায়েজ হবেনা।

তবে সর্বাবস্থায় দোকান/কোম্পানি/টিশার্ট প্রস্তুত কারকদের লভ্যাংশ হালাল হবে।

মোট কথা, আপনার নিকট পন্য না থাকাবস্থায় অন্যের সাথে বিক্রয় চুক্তি করতে পারবেন না। এবং মাল ক্রয় করে কবজা করার পূর্বে অন্যত্র বিক্রয় করতেও পারবেন না। 

হ্যা, আপনি কোম্পানির নিয়ম তান্ত্রিক এজেন্ট হয়ে কমিশন ভিত্তিতে তাদের মাল বিক্রয় করতে পারবেন যদি কোম্পানি আপনাকে তাদের এজেন্ট নিয়োগ করে।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,  আপনি ড্রপশিপিং এর আলোকে উত্তর দিয়ে দিছেন। কিন্তুু প্রিন্ট অন ডিমান্ড এটা ভিন্ন বিষয় । এখানে দুটি পক্ষ থাকে একজন সেলার এবং অন্যজন ফুলফিলমেন্ট পার্টনার। সেলার ডিজাইন ও মার্কেটিং এর বিষয় দেখে আর অর্ডার আসার পর প্রিন্টিং ও ডেলিভারির বিষয়ে দেখে ফুলফিলমেন্ট পার্টনার। আর ফুলফিলমেন্ট পার্টনার তাদের কাজের বিনিময়ে প্রতি সেলে একটা অংশ বা লভ্যাংশ বা মুনাফা পায়/নেয়। অর্ডার আনার কাজ সেলারই করে। আর যতটুকু বুঝতে পেরেছি যে সেলাররাই মূল্য নির্ধারণ করে ফেলে প্লাটফর্মে কত টাকা হবে প্রিন্ট অন ডিমান্ড প্রোডাক্টের।  প্রিন্ট অন ডিমান্ড নিয়ে শায়খ আসিম আল হাকিমের ফতোয়া এ নিয়ে https://youtu.be/9FS-L3CbQuI?si=UATalFwlsg-WBmAc।  এখন ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে সেলারের কাজ কি হালাল হবে? 
by (574,050 points)
হ্যাঁ, সেলারের কাজ হালাল হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...