আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
136 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম। আমার কয়েকটা প্রশ্ন ছিলো শাইখ।অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন আশা করি।

১.প্রায় পূর্ণ নকল করে পাশ করা সার্টিফিকেট দিয়ে ভার্সিটি বা কলেজে ভর্তি হওয়া যাবে?আমি একটা ফতোয়াতে দেখেছিলাম যে ভর্তি হলে ওই ব্যাক্তির গুনাহ হবে।এটা কি কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত?
২.যেই ব্যক্তি এভাবে পূর্ণ নকল করে পাশ করেছে সে যদি এইরকম নিয়াত করে যে, "পড়াশোনা পূর্ণ চালিয়ে যেতে পারলে করবো আর কোনো কারণে ছেড়ে দিতে হলে ছেড়ে দিবো "। মানে ওই ব্যাক্তি পড়াশোনা কন্টিনিউ করবে বলে স্থির কোনো মতামত দিতে পারছে না।এমন হল ওই ব্যাক্তির জন্য ভর্তি হওয়া জায়েজ হবে?

৩.ধরুন কোনো ব্যক্তি ২নং প্রশ্নে উল্লিখিত মনোভাব নিয়ে বা কোনোরুপ কোনো নিয়াত (পড়াশোনা কন্টিনিউ করবে কি করবে না)ছাড়াই ভর্তি হয়ে গেলো এবং পরবর্তীতে সে পড়াশোনা কন্টিনিউ করবে বলে নিয়াত করলো তাহলে তো জায়েজ হবে তাই না?

৪।আমার ইদানীং পবিত্রতা রিলেটেড একটা সমস্যা হচ্ছে।বাহ্যিকভাবে যেই বস্তুগুলোকে মনে হয় পানি শোষণ করার ক্ষমতা রাখে না ওইগুলো আমি না ডলে বা না ঘষে শুধু এমনিতে পানিতে ধুয়ে নি।যেহেতু আমি নিশ্চিত নই আসলেই কি ওই বস্তুটা পানি শোষণ করে কিনা তাই এভাবে পাক করাটা ঠিক হচ্ছে?(বারবার বিভিন্ন বস্তুর জন্য মুফতিদের জন্য ফতোয়া চাওয়াও হয়ত বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।)

৫।আমি সাদাস্রাব রিলেটেড ভীষণ  জটিলতায় ভুগছি।বলে রাখি আমি মাজুর নই।আমাকে সহজ পন্থা বলে দিন শাইখ যাতে আমি সহজ-সুন্দরভাবে এট লিস্ট ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে পারি।(বিস্তারিত বলে দিলে খুব ই উপকার হবে)

৬। সাদাস্রাব যাতে এক জায়গায় স্থির থাকে এই জন্য আমি টিস্যু পেপার ইউস করি।টিস্যু শরীরের তুলনায় তরলকে ভালোভাবে শুষতে পারে।যদি এমন হয় যে এক দিরহামের বেশি পরিমাণ দাগ দেখতে পাচ্ছি টিস্যুতে তাহলে কি ধরে নেবো শরীরেও এক দিরহামের বেশি লেগে গিয়েছে?

৭।পূর্বের আমার একটা প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর পাই নি।একটু যদি বলতেন।প্রশ্নটা ছিলো সাদাস্রাব বা পেশাব যদি শরীরে লেগে শুকিয়ে যায় এবং পরবর্তীতে ওই স্থানে পানি লাগে। তাহলে কি পানি যতটুকু ছড়াবে নাপাকও ততটুকু ছড়াবে?

৮।অজু করার পর যদি লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশ ধোয়া হয় তাহলে কি অজু ভেঙে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
পরীক্ষায় নকল করা এটি ধোকার শামিল,বিধায় তাহা জায়েজ নেই।

হাদিস শরীফে এসেছে
আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত: রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়; আর যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেবে সেও আমাদের দলভুক্ত নয়। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৯৪)

ইবনে মাসউদের (রা.) হাদিসটি যা নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন: যে ব্যক্তি আমাদের ধোঁকা দেয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং ষড়যন্ত্রকারী ও প্রতারক জাহান্নামে যাবে না।  এবং আবু বকর সিদ্দিক রা. থেকে বর্ণিত ‘অভিশপ্ত সে যে কোনো মুসলমানের ক্ষতি করে বা তার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে।’ তিরমিজি বর্ণনা করেছেন। (জামিউল উলুম ওয়াল হিকামি: ৯/৩৫)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নকলকারী ব্যাক্তি
এই সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ভার্সিটিতে ভর্তি হলে সে গুনাহগার হবে। 
বান্দার হকও নষ্ট হবে। 

তার কবিরা গুনাহ হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ- 

(২.৩)
সে যেহেতু পূর্ণ নকল করে পাশ করেছে,তাই সে কোথাও ভর্তি হলে, গুনাহগার হবে। 

(০৪)
এক্ষেত্রে নাপাকি শক্ত হলে সর্বাবস্থায় ডলে মলে ধোয়া আবশ্যক, নতুবা পাক হবেনা।

আর নাপাকি তরল হলে তাহা শুকিয়ে গিয়ে থাকলে এক্ষেত্রে ডলে না ধোয়ার দরুন সেই বস্তুটি পাক হবেনা।

আর তরল নাপাকি শুকিয়ে না গেলে থাকলে সেক্ষেত্রে ভালোভাবে পানি দিলে নাপাকি চলে যাওয়া সম্পর্কে প্রবল ধারণা হলে সেই বস্তু পাক বলে বিবেচিত হবে। 

(০৫)
আপনি অপেক্ষা করতে থাকবেন।
যখন সাদা স্রাব আসবেনা,তখন নামাজ আদায় করে নিবেন।

নামাজের জন্য আলাদা পবিত্র পায়জামা পরিধান করবেন।

(০৬)
এক্ষেত্রে কাপড়ে এক দিরহামের বেশি লেগে গিয়েছে বলে ধরে নিবেন।

উল্লেখ্য যে সাদা স্রাব বের হলেই অযু ভেঙ্গে যাবে,চাই এক দিরহাম থেকেও কম হউক না কেনো।

(০৭)
হ্যাঁ, আপনি ধরে নিবেন যে পানি যতটুকু ছড়াবে নাপাকও ততটুকু ছড়াবে।

(০৮)
এতে অযু ভেঙ্গে যাবেনা। 
তবে শরীরের ভিতর থেকে নাপাকি বের হলে অযু ভেঙ্গে যাবে। 

তাই অযু করার আগেই লজ্জাস্থানের ভিতরের অংশ ধোয়ার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...