জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
স্বামী স্ত্রীর কেহ মুরতাদ হয়ে গেলে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
,
সুরা মায়েদার ৫৪ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا مَنۡ یَّرۡتَدَّ مِنۡکُمۡ عَنۡ دِیۡنِهٖ فَسَوۡفَ یَاۡتِی اللّٰهُ بِقَوۡمٍ یُّحِبُّهُمۡ وَ یُحِبُّوۡنَهٗۤ ۙ اَذِلَّۃٍ عَلَی الۡمُؤۡمِنِیۡنَ اَعِزَّۃٍ عَلَی الۡکٰفِرِیۡنَ ۫ یُجَاهِدُوۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ لَا یَخَافُوۡنَ لَوۡمَۃَ لَآئِمٍ ؕ ذٰلِکَ فَضۡلُ اللّٰهِ یُؤۡتِیۡهِ مَنۡ یَّشَآءُ ؕ وَ اللّٰهُ وَاسِعٌ عَلِیۡمٌ ﴿۵۴﴾
হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি তার দীন থেকে ফিরে যাবে তাহলে অচিরেই আল্লাহ এমন কওমকে আনবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুমিনদের উপর বিনম্র এবং কাফিরদের উপর কঠোর হবে। আল্লাহর রাস্তায় তারা জিহাদ করবে এবং কোন কটাক্ষকারীর কটাক্ষকে ভয় করবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি তাকে তা দান করেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।
হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছেঃ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَجُلاً، جَاءَ مُسْلِمًا عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ جَاءَتِ امْرَأَتُهُ مُسْلِمَةً بَعْدَهُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّهَا قَدْ كَانَتْ أَسْلَمَتْ مَعِي . فَرَدَّهَا عَلَيْهِ .
উসমান ইবন আবূ শায়বা ........ ইবন আববাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে প্রথমে এক ব্যক্তি ইসলাম গ্রহণ করে, পরে তার স্ত্রী ইসলাম কবূল করে। সে ব্যক্তি বলে, হে আল্লাহর রাসুল! সে তো আমার সাথেই ইসলাম কবূল করেছে। তিনি তাকে (স্ত্রীকে) তার নিকট ফিরিয়ে দেন।
(আবু দাউদ ২২৩২)
বিস্তারিত জানুনঃ-
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত মেয়ের মা বাবার বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তাদের মাঝে বিচ্ছেদ হয়েছে।
এখন উক্ত মেয়ে যদি বালেগাহ হয়,সেক্ষেত্রে তার দাদা/চাচা তাকে বিবাহ দিতে পারবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।
এমনকি উক্ত মেয়ে যদি অভিভাবক ছাড়া নিজেই কোথাও বিবাহ বসে,তবুও সেই বিবাহ হয়ে যাবে।
আর যদি উক্ত মেয়ে নাবালেগাহ হয়,সেক্ষেত্রে যেহেতু তার বাবা আছেই,তাই এক্ষেত্রে তার দাদা/চাচা তাকে বিবাহ দিলে বাবা অনুমতির উপর মওকুফ থাকবে।
বাবা অনুমতি দিলে বিবাহ হবে,অন্যথায় হবেনা।
এক্ষেত্রে মেয়ের বাবা যদি অনুমতি না দেয়,সেক্ষেত্রে মেয়ের বিবাহের জন্য তার বালেগাহ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষার পরামর্শ থাকবে।