بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1495
নং
ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
সব রকম লটারী হারামের অন্তর্ভুক্ত
না।বরং ঐ সমস্ত লটারী-ই হারামের অন্তর্ভুক্ত,
যা দ্বারা কোনো হক্ব বা যোগ্যতা কিংবা মালিকানাকে নির্ধারণ করা হয়।
কিন্তু যদি পূর্ব থেকেই হক্ব
বা অধিকার প্রতিষ্টিত থাকে।কিন্তু উভয় সমান সমান হওয়ার ধরুণ কাউকে অগ্রাধিকার দেওয়া
যাচ্ছেনা-এমতাবস্তায় একজনকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য লটারির মাধ্যমে তাকে নির্ধারণ করা
হয়,তাহলে এ প্রকার লটারী অবৈধ
হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1505
কিন্তু আমাদের সমাজে সাধারণত
কুপন কেটে যে লটারী দেয়া হয়, সেটা নিম্নোক্ত আয়াতের অধীনে থাকার ধরুণ পরিস্কার হারাম বলেই সাব্যস্ত হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﺍﻟْﺨَﻤْﺮُ ﻭَﺍﻟْﻤَﻴْﺴِﺮُ ﻭَﺍﻷَﻧﺼَﺎﺏُ ﻭَﺍﻷَﺯْﻻَﻡُ ﺭِﺟْﺲٌ
ﻣِّﻦْ ﻋَﻤَﻞِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥِ ﻓَﺎﺟْﺘَﻨِﺒُﻮﻩُ ﻟَﻌَﻠَّﻜُﻢْ ﺗُﻔْﻠِﺤُﻮﻥَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া,
প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো
নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা
মায়েদা-৯০)
এবং প্রাইজবন্ড ও হারাম।কেননা
এখানে ঋণের বিপরিতে প্রাইজবন্ড দেয়া হচ্ছে,
যদিও লটারীর মাধ্যমে দেয়া হোক না কেন? সুতরাং ঋণের
বিপরিতে পুরুস্কার যাকে প্রাইজবন্ড বলা হয়,সেটা হারাম হিসেবেই
সাব্যস্ত করা হবে।
কারো কাছে প্রাইজবন্ডের কোনো
কুপন থাকলে, তিনি তারাতারি
সেটাকে টাকায় রূপান্তরিত করে নেবেন।টাকায় রূপান্তরিত করার পূর্বে যদি কোনো পুরুস্কার
লেগে যায়,তাহলে উক্ত পুরুস্কারকে গ্রহণ করা যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
১. আমাদের দেশে প্রচলিত দশ টাকা/বিশ
টাকার মূল্যের যে লটারী কুপুনেরর প্রচলন রয়েছে,
এগুলো পরিস্কার হারাম। প্রাইজবন্ডও হারাম। চায় লটারী বা প্রাইজবন্ড গুলো
একা একা কেউ ক্রয় করুক বা অনেকজন মিলে ক্রয় করুক। সর্বাবস্থায় হারামই হবে। প্রাইজবন্ড
থেকে প্রাপ্ত পুরস্কার / টাকা গ্রহণ করাও বৈধ নয়।
২. হুন্ডি বা চোরাই পথে
লেনদেন না করে, ব্যাংকের
মাধ্যমে লেনদেন করতে উৎসাহিত করতে সরকার এই ৫% বোনাসের সিস্টেম জারি করেছে। এতেকরে রেমিটেন্স তথা বৈদেশিক মুদ্রার সুষ্ট
হিসাব রাখা সম্ভব হবে।যদ্ধরূণ ভবিষ্যতে দেশের টাকার মান বাড়বে।সুতরাং সরকারি এ উদ্যোগ
প্রশংসনীয়।
এখন ফেকহী দিক নিয়ে আমরা একটু
চিন্তাভাবনা করি।প্রশ্ন হল, এই
২% কি সুদ হবে?
প্রতিউত্তরে বলা যায় যে,
সুদ হলো,ঋণ দিয়ে বিনিময়ে কিছু গ্রহণ করা।যেমন উসূলে ফিকহের সুপ্রসিদ্ধ
মূলনীতি
كل قرض جر
نفعا فهو ربا
প্রত্যেক ঐ ঋণ যা মুনাফাকে
টেনে নিয়ে আসে সেটাই সুদ।
এখানে কিন্তু ব্যাংকে ঋণ রাখা
হচ্ছে না। বরং বৈধ পদ্ধতিতে লেনদেনের জন্য সরকার পুরুস্কার দিচ্ছে। আর সরকারি পুরুস্কার
বৈধ। কেননা সরকারী আয়ের সকল উৎস হারাম নয়। বরং বলতে অধিকাংশ উৎসই হালাল। সুতরাং ব্যাংক
মারফত বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আনতে সরকার যে ৫% বোনাস দিচ্ছে সেটা জায়েযই হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1384
মুসলিম অমুসলিম যে কারো নিকট
থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা যাবে। হাদিয়ার ফযিলত সম্পর্কে হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে
ﻭﻋﻦ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﺭﺿﻲ
ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗﺎﻟﺖ : « ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳَﻘﺒﻞُ ﺍﻟﻬﺪﻳﺔ ﻭﻳُﺜﻴﺐُ ﻋﻠﻴﻬﺎ »
তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাঃ হাদিয়া গ্রহণ করতেন।এবং তার বিনিময়/প্রতিদান
ও দিতেন।(সহীহ বুখারী-২৪৪৫)