আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (22 points)
আমার এক ফুপুর ছেলে ৩ বছর বয়সে অসুস্থ হয়ে প্যারালাইজড হয়ে যায়। পরে ৮ বছরে ইন্তেকাল করে।এখন ফুপু আমাকে বলতেছিল যে আল্লাহ ফুপুর ছেলেকে কেন কষ্ট ছাড়া নিয়ে গেলেন না।পরে আমি বুঝানোর জন্য বললাম যে আল্লাহ কাওকে কষ্ট দেন না।ফুপুর ছেলে দুনিয়ায় কষ্ট পেয়েছে কিন্তু যেহেতু ও প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই অসুস্থ হয়ে ইন্তেকাল করেছে তাই ইনশাআল্লাহ ও পরকালে জান্নাত পাবে। এখন ১.ছেলেটাকে জান্নাতি বলার কারণে কি শিরক হবে?

২. এক ব্যক্তি আযানের সময় অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছিল ।আমি আযানের সময় এভাবে কথা বলতে না করলাম।এতে কি শিরক হবে?

৩. আমার মনে প্রায় সারাদিন ই বিভিন্ন বিষয়ে শিরকি চিন্তা আসতে থাকে।এমন অবস্থা হয় যে আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না।আবার এমন মনে হয় আমি ইচ্ছা করে করছি এগুলা।এতে কি ইমান নষ্ট হয়ে যাবে? এই রোগ থেকে মুক্তির আমল উপায় কি?

জাঝাকাল্লহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (58,470 points)
edited by

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

** ১.

জ্বী না আপনার কথাটি শিরক হবে না। আপনি সঠিক কথাই বলেছেন। কারণ,  মুসলমানদের নাবালেগ বাচ্চা মারা গেলে তারা জান্নাতী হবে। কিছু বর্ণনায় এসেছে যে তারা জান্নাতের পাখি হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ، قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْعَبْسِيِّ قَالَ: مَاتَ ابْنٌ لِي، فَوَجَدْتُ عَلَيْهِ وَجَدَا شَدِيدًا، فَقُلْتُ: يَا أَبَا هُرَيْرَةَ، مَا سَمِعْتَ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا تُسَخِّي بِهِ أَنْفُسَنَا عَنْ مَوْتَانَا؟ قَالَ: سَمِعْتُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: صِغَارُكُمْ دَعَامِيصُ الْجَنَّةِ.

খালিদ আল-আবসী (রহঃ) বলেন, আমার একটি পুত্র সন্তান মারা গেলে আমি অত্যন্ত শোকাহত হলাম। আমি বললাম, হে আবু হুরায়রা! আপনি কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এমন কিছু শুনেছেন যা দ্বারা আমরা আমাদের মৃতদের মৰ্মবেদনায় সান্তুনা লাভ করতে পারি? তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের ছোট শিশুরা বেহেশতের পতঙ্গ (মুসলিম, মুসনাদ আহমাদ,আল আদাবুল মুফরাদ ১৪৪)।

والدعاميص جمع دعموص، والدعموص: ذويبة تبقى في الماء لا تنفك عنه، فالنبي صلى الله عليه وسلم يخبرنا أن صغارنا هم في الجنة يبقون فيها لا يخرجون منها كحال هذه الذويبة الصغيرة المعروفة عند العرب التي تبقى في الماء ولا تخرج منه،

সারমর্মঃ

 والدعموص মানে শূককীট, যেটি পনিতেই থাকে,পৃথক হয়না,পানিতেই বিদ্যমান থাকে,বের হয়না।

নবি করিম সাঃ বলেছেন যে মুসলমানদের বাচ্চা মারা গেলে তারা যে জান্নাতে যাবে,সেটিও এই কীটের মতো হবে,সেখানেই থাকবে,বের হবেনা।

في صحيح حديثه صلى الله عليه وسلم عن ابن حبان وغيره أنه قال: "أولاد المسلمين في جبل في الجنة يكفلهم إبراهيم وسارة"،

সারমর্মঃ রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন মুসলমানদের ছোট সন্তানেরা জান্নাতের পাহাড়ে থাকবে,তাদের অভিভাবক হব্র ইবরাহীম, সারা রাঃ

فصغار المسلمين في الجنة لأنهم غير مؤاخذون، فالقلم لا يجري عليهم إلا بعد البلوغ.

সারমর্মঃ সুতরাং বুঝা গেলো যে তারা জান্নাতে যাবে,কেননা তাদের কোনো মুয়াখাযা, হিসেব নেই। কাফেরদের নাবালেগ সন্তান মারা গেলে তার বিধান সম্পর্কে জানুনঃ  https://ifatwa.info/12149/

**২.

এতেও শিরক হবে না । বরং এটি সওয়াবের কাজ যে, মানুষকে আপনি গুনাহের কাজ থেকে নিষেধ করেছেন।

**৩.

এমন ভাবনা ওয়াসওয়াসার কারণেই আসে। ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (22 points)
কোর্সে যুক্ত হব কিভাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...