আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (67 points)

১. স্ত্রী একদিন তার স্বামীকে বলে আমার সাথে কোনো ছেলেকে দেখলে তুমি কি করবে ? (অন্তরঙ্গ ভাবে দেখা উদ্দেশ্য,স্বাভাবিক ভাবে দেখার নিয়েতে বলে নি )। তখন স্বামী যদি এরকম হলে তার বউকে তালাক দিয়ে দিবে এমন নিয়ত বুঝানোর জন্য  “তোমার সাথে অন্য ছেলে দেখলে সাথে সাথে তালাক” এতে কি শর্ত হয়ে যাবে??    মানে পরবতীতে বউকে স্বাভাবিক বা অন্তরঙ্গ ভাবে কোনো ছেলের সাথে দেখেলেই তালাক হয়ে যাবে?হলে কয় যতোবার দেখবে ততোবার হবে?না কি একবার হয়ে এই শর্ত শেষ হয়ে যাবে?


বিশেষ দ্রষ্টব্য:  স্বামীর তো শর্ত দেওয়ার কোনো ইচ্চা ও নাই আর সেই নিয়তে বলেও নি,বরয়ং এমন হলে কে্বল ভবিষ্যতে তালাক দিবে তা বুঝাানোর জন্য বলেছে ,আর তালাক দিবো এটা না বলে তালাক শব্দে বলা/ম্যাসেজ থামিয়ে দিয়েছে আর লাইনটা এমন হয়ে গেছে, এই কথোপকথন অনেক আগে তারা অনলাইনে করেছে বলে মনে হচ্ছে তখন সে স্বাভাবিক ভাবেই এতো কিছু ভাবে নি , এখণ হঠাৎ আসায় পেরেশানি তে পরেছে ,দয়া করে জানাবেন...এরুপ নিয়ত ছাড়া যদি কোনো মানুষ এমন কথা বলে যা শর্ত হয়ে গেছে মনে হয় তবেও কি শর্ত হয়ে যায়? 

২. কারো যদি তার পুরাতন কোনো ঘটনা মনে পরে যা অনলাইনে বা ম্যাসেজে তার স্ত্রীকে বলেছে , সেই ঘটনায় যদি তার ৮০%-৮৫% মনে হয় এমন কিছু বলে নি যাতে শর্ত বা তালাক হয়ে যায়, কিন্তু তাও মনে শুধু সন্দেহ কাজ করে , তার  কি সেই পুরোনো ম্যাসেজ খোজ করা দরকার? সে কি করবে??

৩. কেও যদি তার অস্থায়ী নিবাস থেকে সফর করে তখন কতো দিন সে কসর করবে  ? তিন দিনের বেশির জন্য সে যদি কোথাও সফর করে তবে কি কসর করবে না? 

৪. তালাকের মজলিশ কতো সময় স্থায়ী থাকে শায়েখ? স্ত্রী য়দি ম্যাসেজে তালাক আবেদন করে , আর স্বামী যদি  তখন কিছু না বলে বুঝায় এবয় পরে আবার কথা শুরু হলে(কিছু সময়/ঘন্টা/দিন পরে)  ভয় দেখানোর জন্য কেনায়া বাক্য বলে ম্যাসেজে ,তখন কি তা পতিত হবে ? কতো সময় পর তালাকের মজলিশ শেষ হয় জানতে চাচ্ছি 

জাজাকাল্লাহ শায়েখ

জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)َإِذَا-যখন
(৩)َإِذْمَا-যখন
(৪)َكُلُّ-সব
(৫)َكُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10666

সু-প্রিয় দ্বীনী প্রশ্ন কারী ভাই।
(১)   “তোমার সাথে অন্য ছেলে দেখলে সাথে সাথে তালাক” 
এখানে স্বামীর উদ্দেশ্য কি ছিলো? তা স্বামীকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে।যদি উদ্দেশ্য থাকে অন্তরঙ্গ, তাহলে শুধুমাত্র অন্তরঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গেলেই তালাক হবে।নতুবা স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গেলেও তালাক হয়ে যাবে।

(২)কারো যদি তার পুরাতন কোনো ঘটনা মনে পরে যা অনলাইনে বা ম্যাসেজে তার স্ত্রীকে বলেছে , সেই ঘটনায় যদি তার ৮০%-৮৫% মনে হয় এমন কিছু বলে নি যাতে শর্ত বা তালাক হয়ে যায়, কিন্তু তাও মনে শুধু সন্দেহ কাজ করে , তাহলে সেই পুরোনো ম্যাসেজ খোজ করার কোনো দরকার নাই। সে আশ্বস্থ থাকবে যে, তার কিছুই হয়নি।

(৩) কেউ যদি তার অস্থায়ী নিবাস থেকে সফর শুরু  করে,এবং ৭৭ কিলোর অধিক দূরত্বের সফর হয়, তাহলে যতদিন না কোথাও ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত করছে, বা অস্থায়ী বা স্থায়ী নিবাসে ফিরে আসছে,ততদিন সে কসর করবে।

(৪)তালাকের মজলিস থেকে স্বামী স্ত্রীর যে কেউ একজন উঠে গেলে বা অন্য কাজে লেগে তখন মজলিস শেষ বলে ধরে নেয়া হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 
by
শায়েখ আপনার সাথে কি একটু ফোনে কথা বলা যাবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...