ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শর্তের মাধ্যমে তালাক প্রদাণের জন্য নিম্নোক্ত হরফ ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যথা-
(১)إنْ-যদি
(২)َإِذَا-যখন
(৩)َإِذْمَا-যখন
(৪)َكُلُّ-সব
(৫)َكُلَّمَا-যখনই
(৬)مَتَى-যখন
(৭)مَتَى مَا-যখন
বাক্যর প্রারম্ভে এ সকল শব্দ প্রয়োগ করে কোনো কাজের সাথে সম্পর্কিত করে তালাক প্রদাণ করলে যখনি উক্ত শর্ত পাওয়া যাবে,তখন তাৎক্ষণাৎ তালাক পতিত হয়ে উক্ত শর্তযুক্ত বাক্য বিনষ্ট হয়ে যাবে।পরবর্তীতে একাজের পূনরাবৃত্তি ঘটলে আর তালাক পতিত হবে না।তবে শুধুমাত্র ৫ নং বাক্য এর বিপরিত।এটা ব্যবহার করলে যখনই শর্ত পাওয়া যাবে তখনই তালাক পতিত হতে থাকবে।যতক্ষণ না উক্ত বিয়ে বন্ধন শেষ হচ্ছে।শরীয়া মোতাবেক দ্বিতীয়বার উক্ত স্বামী উক্ত স্ত্রীকে বিয়ে করলে তখন আর তালাক পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪১৫) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/10666
সু-প্রিয় দ্বীনী প্রশ্ন কারী ভাই।
(১) “তোমার সাথে অন্য ছেলে দেখলে সাথে সাথে তালাক”
এখানে স্বামীর উদ্দেশ্য কি ছিলো? তা স্বামীকে জিজ্ঞেস করে নিতে হবে।যদি উদ্দেশ্য থাকে অন্তরঙ্গ, তাহলে শুধুমাত্র অন্তরঙ্গ অবস্থায় পাওয়া গেলেই তালাক হবে।নতুবা স্বাভাবিক অবস্থায় পাওয়া গেলেও তালাক হয়ে যাবে।
(২)কারো যদি তার পুরাতন কোনো ঘটনা মনে পরে যা অনলাইনে বা ম্যাসেজে তার স্ত্রীকে বলেছে , সেই ঘটনায় যদি তার ৮০%-৮৫% মনে হয় এমন কিছু বলে নি যাতে শর্ত বা তালাক হয়ে যায়, কিন্তু তাও মনে শুধু সন্দেহ কাজ করে , তাহলে সেই পুরোনো ম্যাসেজ খোজ করার কোনো দরকার নাই। সে আশ্বস্থ থাকবে যে, তার কিছুই হয়নি।
(৩) কেউ যদি তার অস্থায়ী নিবাস থেকে সফর শুরু করে,এবং ৭৭ কিলোর অধিক দূরত্বের সফর হয়, তাহলে যতদিন না কোথাও ১৫ দিন অবস্থানের নিয়ত করছে, বা অস্থায়ী বা স্থায়ী নিবাসে ফিরে আসছে,ততদিন সে কসর করবে।
(৪)তালাকের মজলিস থেকে স্বামী স্ত্রীর যে কেউ একজন উঠে গেলে বা অন্য কাজে লেগে তখন মজলিস শেষ বলে ধরে নেয়া হবে।