ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফুকাহায়ে কেরাম গণের উপরোক্ত আলোচনার নিমিত্তে আমরা নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তে উপনীতে হতে সক্ষম হবো যে,
(১)
বাংলাদেশ ৯০ ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ। -যেহেতু অনৈসলামিক উৎসবে মুসলমানদের জন্য পরস্পর হাদিয়া দেওয়া-নেওয়া হারাম,তাই
(ক)এদিনে সরকারী ছুটিসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা প্রদাণ করা কোনো মুসলিম রাষ্ট্রর জন্য জায়েয হবে না।
(খ)এবং এদিনে কোনো মুসলিম কম্পানি বা অধিকাংশ শেয়ারহোল্ডার মুসলিম -এমন কম্পানি কর্তৃক ছাড় দেওয়া জায়েয হবে না।এবং সেই কমিশনকে গ্রহণ করা জায়েয হবে না।
(গ)এদিনে উৎসবমূখর পরিবেশ সূষ্টি ও তাতে আনন্দ বিনোদন জায়েয হবে না।
(ঘ)যথাসম্ভব সেই আনন্দ স্রোতের উল্টা চলাই তখন ঈমানের দাবী বলে পরিগণিত হবে।
(২)
(ক)অমুসলিম রাষ্ট্রে অবস্থানরত মুসলিম নাগরিকদের জন্য অনৈসলামিক উৎসব উপলক্ষ্যে সেই রাষ্টের ভাতা গ্রহণ করা যদিও জায়েয হবে। তবে গ্রহণ না করাই তাকওয়ার দাবী।
(খ)মুসলিম রাষ্ট্রে অমুসলিম কম্পানি কর্তৃক ছাড়/কমিশন গ্রহণ বৈধ। তবে পরিত্যাগই শ্রেয়। আল্লাহ-ই ভালো জানেন।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1382
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পূজার অফারে মুসলিম দোকানদারের কাছ থেকে কসমেটিকস কিনে ফেলা জায়েয হবে না।তবে অমুসলিম তথা হিন্দুদের কাছ থেকে ক্রয় করা অবশ্যই জায়েয হবে। যদি আপনি মুসলমান কারো কাছ থেকে ডিস্কাউন্টে মাল ক্রয় কর থাকেন, তাহল ডিস্কাউন্ট মূল্য সদকাহ করে দিবেন।