আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
224 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
edited by

আস্সালামুআলাইকুম হুজুর ক্ষমা করবেন হয়তো লিখাটা বড় হবে ,দয়া করে উত্তর দ্বিবেন ,আল্লাহ আপনাকে আপনার কষ্টের জন্য উত্তম প্রতিদান দিক ,আমিন ! আমার accunt এ ৪ টা প্রশ্ন হয়ে গিয়েছে ,তাই আমি এটাতে প্রশ্নটা করছি ,
১)কোনো দ্বীনদার বক্তির জন্য তার অজান্তে ইস্তেখারা করা (স্বপ্ন দেখা,স্বপ্নের ব্যাখ্যা(আমি তাঁর মতো অতটা দ্বীনদার না,কিন্তু এখন অনেক চেষ্টা করছি তাকওয়াবান হতে,এবং আমি দ্বীনের পথে দৃঢ় থাকার জন্যই তাকে চাই যেখানে তাকে পাওয়া প্রায় অসম্ভব!)আমার কি করা উচিত?
আমার এরূপ চাওয়া /দোয়ার জন্য কি আল্লাহ রাগ করবেন ?

কিছুদিন আগে বাধ্য হয়ে আমার এক নন মাহরাম সহপাঠীর কাছে আমি পড়া বিষয়ে হেল্প নেই(অনলাইন কোর্স সহপাঠী ),সে আমাকে কোনোদিন দেখেনি,তারমধ্যে দীনের বুঝ আছে এটা জেনেই আমি তাকে নক দেই ,তারপর না চাইতেও আমরা একে ওপরের সাথে ২ দিন অনেক কথা বলে ফেলি,আমরা দুজনেই বুঝতে পারছিলাম যে আমরা পাপ করছি (আমাদের কথোপকথন গুলো বেশিরভাগ দ্বীনের বিষয় ছিলো,জীবন ,মৃত্যু ,পরকাল। একপর্যায়ে তিনি বলেন যে দ্বীনদার কাওকে ছাড়া কোনোদিন বিয়ে করবেন না,আমি তাকে আমার জীবনের অনেক কথা বলে ফেলি এবং তিনিও অতি আবেগে তার জীবনসঙ্গীকে সে কিভাবে রাখবেন,কতটা যত্ন করবেন,এবং নিজের সম্পর্কে বলেন।তার চারিত্রিক ,এবং ব্যবহার আমার  অনেক ভালো লেগেছে,, তারপর আমি খুবই দুর্বল হয়ে পড়ি ঠিক সেই সময়ে তিনি আমাকে বলে দেন যে আপনি আমার নন মাহরাম ,আপনার সাথে আমার কথা বলা  হারাম ,আর আমি একজায়গায় মেয়ে দেখতেসি তাড়াতাড়ি বিয়ে করে নিবো কোনো ভালো মেয়েকে,আপনি র কখনো আমার সাথে যোগাযোগ করবেন না,তারপর আমি মেনে নিতে না পেরে অতি আবেগে বলে ফেলেছি যে " আপনি আমাকে ধ্বংস করে দিলেন" আমার মন ভেঙে গিয়েছিলো তাই আমি তাকে এভাবে বলেছিলাম,সে আমার কথাটা মাইন্ড করে এবং বলে যে আমার জায়গায় অন্যকেও থাকলে আপনাকে ব্লক দিতো,তার এই কথায় আমার খুব কষ্ট লাগে,তারপর আমাদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় ,একটা কারণে আমার ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছা যে আমি কোনোদিন বিয়েই করবোনা,কিন্তু তার দিনের বুঝ দেখে এবং তার কথা শুনে জান্নাতের লোভে তাকে পাবার অনেক ইচ্ছে হয়,আমি তারসাথে থাকতে পারলে হয়তো তার মতোই দৃঢ়ভাবে দিনের পথে থাকতে পারবো,এমন মনে হয়েছিল,,যারকারণে আমি কথা বলেছিলাম,আমি তার অজান্তেই প্রতিদিন ইস্তেখারা করি এবং আজানের সময় সহ যখনি দোয়াকরি ,তখনি আল্লাহকে বলি যে 'আল্লাহ উনি যদি আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য উত্তম হয় তাহলে যেভাবেই হোক তারসাথেই আমাকে তুমি মিল করে দাও,আর যদি না হয় ,তাহলে তার সমস্ত স্মৃতি সমস্ত কিছু আমাকে ভুলিয়ে দাও ',
সে অনেকভালো ছাত্র ,অনেক দ্বীনি ,এবং অনেক ভালো জব ও করেন, আমিতো তারমতো দ্বীনদার না,(কিন্তু আমি অনেক চেষ্টা করছি দিনের পথএ থাকার),তবুও আমি এই অসম্ভব জিনিসটা চাই এবং দৃঢ় বিশ্বাস রাখি যে আল্লাহ আমাকে অবস্যই দিবেন যদি  তিনি আমার জন্য আসলেই উত্তম হন.

আমি নিয়মিত ইস্তেখারা করছি দুইবার স্বপ্ন ও দেখছি ,এখন আমি শুনেছি অনেকসময় মানুষের ভাবনা থেকেও তো স্বপ্ন দেখে। ...প্রথমদিন আমি স্বপ্নে কি দেখেছি তা মনে করতে পারছিনা কিন্তু পসিটিভ ছিল এটাই মনে আছে ,আজকে আমি ফজরের আজানের ঠিক আগে একটা স্বপ্ন দেখি যে আমার জন্য অন্য একজন পাত্র এসেছে বিয়ের দিন বিয়ের ঠিক আগমুহূর্তে আমি আমার কাঙ্খিত বেক্তির ফেইসবুক proffile এ যাই এবং তার একটা পোস্ট দেখে বুঝলাম যে সে আমাকে অপেক্ষা করতে বলেছে।....কি পোস্ট/কি দেখেছি মনে নেই সুধু এটাই মনে আছে যে এমন কিছু দেখেছি যা আমাকে বুঝলো যে সে আমাকে তারজন্য অপেক্ষা করতে বলছে ,ঠিক তখনি আমি আমার ফ্রেন্ড দেড় বলি যে আমি এই বিয়ে করবোনা,অলোকিকভাবে আবার দেখলাম যে বিয়ের আগমুহূর্তে আমার পরিবারের সবাই বলছে যে আমাকে আপাদত বিয়ে দিবেন না ,এভাবে উক্ত পাত্রের সাথে বিয়ে ভেঙে যায় এবং আমি খুশি হয়ে যাই এটা ভেবে যে আমি আমার পছন্দের সেই বেক্তিকে পাবো। ...আযান শুনে আমার ঘুম ভেঙে যায় ,
১) তাকে আমি কোনোদিন প্রকাশ করতে পারবোনা যে আমি তার দীনদারিতার জন্য জান্নাতের লোভে তার সাথে থাকতে চাই। আমি তার যোগ্য না (সে অনেক ভালো জায়গায় পরে ,আমার থেকে অনেক বেশি রূপবান ,আমার ছবি চেয়েছিলো আমি বলে দিয়েছি যে আমি দেখতে খারাপ ,শ্যামলা (বাস্তবে আমার গায়ের রং উজ্জ্বল, তবে সাদা ফর্সা না,আর আমি চাইনা যে কেউ আমার রুপের জন্য আকৃষ্ট হয়ে আমাকে পছন্দ করুক),যদিও ততটাও খারাপ না ,আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ আমাকে যথেষ্ট রূপ দিয়েছেন ,আমরা মধ্যবিত্ত যদিও, কিন্তু আমাদের বংশ মর্যাদা অনেক আছে ,গ্রামের সবাই এক নাম চেনেন , পুরো এলাকাবাসী আমাদেরকে অনেক সন্মান করেন,(আমার মা,বাবা,নানুভাই ,নানী,মামা,খালা,সবাই উচ্চ শিক্ষিত ,ফুপি ডাক্তার ,সবাই দুনিয়াবী দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও ,কেউ পুরোপুরি দীন মেনে চলেনা,কিন্তু আমি দিনের পথে থাকার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি ) আমাকে আমাদের গ্রামের সবাই খুবই ভালোবাসেন এবং আমার ব্যবহারে আমাকে সবাই অনেক পছন্দ করেন ,আমি ছোটবেলা থেকেই সালাত আদায় করি,রোজা পালন করি ,সবসময় সৎ,পরোপকারী থাকার চেষ্টা করি,কিন্তু আমি তারমতো ভালো ছাত্র না ,এবং তার মতো অতটা আল্লাহর প্রিয় /দীনদর না,কিন্তু হবার প্রবল চেষ্টা করছি ,এছাড়াও তার দুনিয়াবী অনেক বড় বড় অর্জন আছে যা আমার নেই ,আমিতো তার যোগ্য না ,এবং সে আমাকে খারাপ ভেবে/রাগ করে যোগাযোগ ও বন্ধ্য করেছেন ,তারপরেও আমি শুধুমাত্র নিজের দুআ এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসের জোরে তাকে চেয়েই যাচ্ছি ,আল্লাহ তো অসম্ভবকেও সম্ভব করতে  পারেন ! আমার কি করা উচিৎ ? ইস্তেখারা চালিয়ে যাবো ? তারসাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে সে আমাকে আরো বেশি খারাপ/নোংরা ভেবে আমাকে রিজেক্ট করে দিবেন ,এমনিতেই আমি তার যোগ্য না। ..আমি জীবনের সব ভুলের জন্য তওবা করছি নিয়মিত এবং খুবই চেষ্টা করছি প্রতিটি বিষয়ে তাকওয়া অবলম্বন করার ,পাপ থেকে বেঁচে থাকার।
আমার কি তাকে এভাবে চাওয়া ঠিক হচ্ছে ?

২) আমি কি একদম নিঃশ্চুপ হয়ে শুধু দুআ আর  ইস্তেখারা করে যাবো এবং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করে যাবো ? যদিও তার এখনো বিয়ে হয়নি ,তবে সে বলেছে বিয়ে করে ফেলবেন শীঘ্রই !
৩)আমার পরিবারের সবাই অনেক আধুনিক এবং তারা চায় যে আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পর মানে আরো ৪/৫ বছর পরে বিয়ে দিতে,আমার পরিবারের সবাই আমাকে এখনো অনেক ছোট মনে করেন ,আমার বয়স ২০ ,আর আমি কাওকে কিছু বলতেও পারবোনা ,পরিবার আমাকে ভুল বুঝে /অনেক রাগ করবেন বিবাহের কথা বললে।....আর কাওকে দিয়েও যদি তাকে বলাই ,সে আমাকে অনেক নোংরা ভাববে !
আমার কি করা উচিত হুজুর...?  যখন বুঝলাম যে তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছি তখন অনেক চেষ্টা করেছিলাম দূরে থাকার কিন্তু যখন সে নিজের মুখে বললেন তখন খুব খারাপ লাগছিলো। .

৪)জন্ম ,মৃত্যু ,বিয়ে তো আল্লাহ নাকি আগে থেকেই লিখে রেখেছেন ,যার সাথে যার জুড়ি ,কিন্তু কোনো নারী/পুরুষ যদি নিজের ইচ্ছেতে হারাম রিলেশনশিপ এ যায় তারপর পালিয়ে বিয়ে করেন  আল্লাহ কি তাদের ভাগ্যে এরকমই লিখেছিলেন ? তারাতো নিজে নিজেই বেছে নিলো হারাম উপায়ে ,
৫) কেউ যদি আত্মহত্যা করে তাহলে কি আল্লাহ সেটাও লিখে রেখেছিলেন ? যে সেভাবেই তার মৃত্যু হবে ?
৬)দুয়ায় যে ভাগ্য পরিবর্তন হয় ,তাহলে কি দুআ দ্বারা জুটি ও বদলে দেন আল্লাহ। .?
তারসাথে যখন আমি কথা বলি ,আমি বুঝতে পারি যে তার সাথে আমার মন মানুষিকতার প্রায় ৯০% মিল আছে ,সে অনেকটা আমারেই মতো এটা আমাকে খুবই অবাক করে,আল্লাহ  মাফ করুক তার সাথে এভাবে কথা বলা উচিত হয়নি আমার!
আমি কিভাবে নির্লজ্জের মতো তাকে বলবো যে আমার তাকে পছন্দ হয়েছে!?

সে আমাকে দ্বীনের পথে চলার জন্য অনেক ভালো ভালো কথা বলেন অনেক অনেক রিসোর্স শেয়ার করেন ,এমনকি  IOM এর সন্ধানও আমি তার মাধ্যমেই পাই ,,,,আল্লাহ আমাকে তার অসীলায় আরও  অনেকটা পরিবর্তন করেছেন ,,আমি আগে পুরোপুরি পর্দা করতামনা ,হাত মুজা পা মুজা পরতামনা,কিন্তু আল্লাহর রহমতে আমি এখন অনেকটা দ্বীনের পথে থাকার/চলার চেষ্টা করছি ,তিনি আমার অনেক বড় অনুপ্রেরণা! তার উদ্দেশ্য ছিল আমাকে দিনের দাওয়াত দেওয়া ,,,খারাপ কোনো উদ্দেশ্য ছিলোনা,কিন্তু যখন বুঝলেন যে দুজনেই শয়তানের ধোকায় পরে যাচ্ছি তখনি তিনি সরে গিয়েছেন আলহামদুল্লিল্লাহ ! যেটা আমাকে আরো বেশি মুগ্ধ করেছে....
পুরোপুরি দ্বীনের বুঝ না থাকায় অনেক পাপ ও করেছি ,বাধ্য হয়ে ,আমি ইচ্ছে করে করিনি ,আমি নিজের পাপের জন্য সব সময় তওবা করি !
আমি তার সাথে ওভাবে কথা বলতে চাইনি ,,এমনিতেও আমি কোনো নন মাহরামের সাথে বাধ্য  না হলে কথা বলিনা ,যদিও আমি খুবই তুচ্ছ ইসলামিক জানি ,কিন্তু আমি মৃত্যু কবরের আজাব ,শাস্তিকে খুব ভয় পাই,এবং পুরোপুরি দিন পালন করে আল্লাহর শাস্তি থেকে মুক্তি পেতে চাই ,আল্লাহর প্রিয় হতে চাই !সেতো অনেক ভালো, অনেক দ্বীনদার ,আমিতো তার দাসী হবারও যোগ্যনা ! সে অনেক ভালো কাওকে ডিজার্ভ করে, আমি চাইনা আমার মতো পাপী তারমতো ভালো মানুষের জীবনে জড়াক, কিন্ত আমি কি করবো!?
**আমার দ্বীনের বুঝ অনেক কম ,চেষ্টা করছি দ্বীনি ইলম অর্জনের ,তাই ভুল করে যদি অনেক ভুল কথা বলে ফেলি ,দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন হুজুর,
আমার পূর্বের প্রশ্ন 1 : https://ifatwa.info/84519/

আমার পূর্বের প্রশ্ন 2: https://ifatwa.info/84994/

1 Answer

+1 vote
by (560,520 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/75182 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
.............. وَعَسَى أَن تَكْرَهُواْ شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ وَعَسَى أَن تُحِبُّواْ شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ وَاللّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لاَ تَعْلَمُونَ
..........পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না।(সূরা বাকারা-২১৬)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কে আপনার জন্য কল্যাণকর আর কে অকল্যাণকর? তা আল্লাহই ভালো জানেন।সুতরাং নির্দিষ্টকরে কাউকে পাওয়ার জন্য দু'আ না করে বরং যা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে, যিনি আপনার জন্য কল্যাণকর হবেন, তার জন্যই আপনি দু'আ করবেন।

আল্লাহর কাছে আপনি এভাবে দু'আ করবেন,
হে আল্লাহ!
যে আমার জন্য দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের জন্যই কল্যাণকর হবে,তাকেই আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে দিয়ে দেন। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

জ্বী, এভাবে দু'আ করা যাবে,

 ''হে আল্লাহ অমুক ব্যাক্তিটা আমার দুনিয়া আখিরাতের জন্য উত্তম হলে তাকে তুমি আমার জীবনসঙ্গী করে দিও,'' আর আমার জন্য উত্তম না হলে দিওনা।"


(০২)
পরামর্শ থাকবে, পারিবারিকভাবে তাকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়ার।

(০৩)
পরিবার না এগুলো আপনাকে না এগুনোরই পরামর্শ দিতে পারি।

(০৪)
এক্ষেত্রে বলতে হবে যে আল্লাহ তায়ালা তাদের ভাগ্যে এরকমই লিখেছিলেন।

(০৫)
হ্যাঁ, আল্লাহ তায়ালা তার তাকদিরে সেটাও লিখে রেখেছিলেন, যে সেভাবেই তার মৃত্যু হবে।

(০৬)
কার সাথে কার বিয়ে হবে সেটা পূর্ব থেকেই নির্ধারিত।
আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,

وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨

আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}

সুতরাং বুঝা গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন।নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বান্দা জানে না। তাই বান্দা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে ভাল পাত্রি/পাত্র দেখে বিবাহ করতে।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন- 

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.

আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)। 

https://ifatwa.info/25636/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
জন্ম মৃত্যুর মত বিয়ে শাদী ইত্যাদি সবকিছুই নির্ধারিত রয়েছে।তাকদীরে লিপিবদ্ধ রয়েছে।তাকদীরে যার সাথে বিয়ের কথা লিখিত রয়েছে,তার সাথেই বিয়ে হবে।হ্যা তাকদীরে যা লিখা রয়েছে,তা দু'আর মাধ্যমে পরিবর্তনও হয়ে যেতে পারে।

হযরত সালমান ফারসি রাযি থেকে বর্ণিত,

سَلْمَانَ رضي الله عنه ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا يَرُدُّ القَضَاءَ إِلَّا الدُّعَاءُ، وَلَا يَزِيدُ فِي العُمْرِ إِلَّا البِرُّ

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তাকদীরকে দু'আ ব্যতীত অন্যকিছু বদলাতে পারে না।আর নেকী ব্যতীত অন্যকিছু হায়াতকে বৃদ্ধি করবে না।(সুনানু তিরমিযি-২১৩৯)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এই হাদীসের ভিত্তিতে দুআর মাধ্যমে জুটির পরিবর্তন হওয়ার বিষয় ইসলামী স্কলারগন বলে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
edited by
.......................................................................................................

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...