আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
289 views
in পবিত্রতা (Purity) by (20 points)
আসসালামুআলাইকুম।

কোনো মেয়েলোকের হায়েজের সময়সীমা যদি সাধারণত ৫-৭ দিনের ভেতর থাকে। এবং প্রথম ২-৩ দিন লালবর্ণের হায়েজ আসার পর হায়েজ অফ হয়ে যায় এবং হালকা ঘিয়ে বা বাদামী বর্ণের হায়েজ আসতে থাকতে এক্ষেত্রে যতদূর জানি পরিপূর্ণ সাদা না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করা যাবেনা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে উল্লেখিত সর্বোচ্চ সময়সীমা ৫-৭ দিনের পরও যদি সাদাস্রাবের রঙ ঠিক না হয় সেক্ষেত্রে বিধান কি?

আর পরিপূর্ণ সাদা হয়েছে কিনা তা টিস্যু দিয়ে চেক করলে হবে? সন্দেহ থাকলে করণীয় কি?
আর যদি সাদা ছাড়া অন্যবর্ণের সাদাস্রাব ভেতরেই থাকে শেষের দিকে বাইরে না আসে এক্ষেত্রে বিধান কি?


একটু ক্লিয়ারলি জানাবেন পুরো বিষয়টা

1 Answer

0 votes
by (589,230 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
اذا عاودها الدم في العشرة بطل الحكم بطهارتها مبتدأة كانت او معتادة و كأنها لم تطهر اصلا
হায়েয বন্ধ হওয়ার পর দশ দিনের ভিতর আবার যদি হায়েয চলে আসে,তাহলে পূর্বের পবিত্রতার বিধান খতম হয়ে যাবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।যেমন ঐ মহিলা পূর্বে পবিত্রই হয়নি।
(ফাতাওয়ায়ে তাতারখানিয়া-১/৪৮৫, যাকারিয়া)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭
কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮
কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২

প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
নয়দিন পর যদি দেখেন যে কোনো প্রকার স্রাব আসছে না,তাহলে আপনি পবিত্র।কিন্তু যদি কালার বদলে যায়,তাহলে আপনার হায়েয এখনো অবশিষ্ট আছে বলে ধরে নিতে হবে।

হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬)তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।আরো জানুন-৭৮

কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে।এই চার বা পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে।অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে।(আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নয়দিন পর যদি সাদাস্রাব আসে,তাহলে সেটা যদি অনবরত বের হতে থাকে,তাহলে সেটা হায়েয নয়।কিন্তু কালো,হলুদ ইত্যাদি আসলে সেটা হায়েয হিসেবেই গন্য হবে।

এই সময়ে কাপড় বা শরীর ধৌত করে নামায আদায় করতে হবে।যদি নামায পড়া না হয়,তাহলে সেই নামাযকে কা'যা করতে হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/6962

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ৫-৭ দিনের পরও যদি স্রাবের রঙ পরিপূর্ণ সাদা না হয়,তাহলে  এক্ষেত্রে বিধান হল,দশদিন পর্যন্ত আপনার হায়েয গণ্য হবে।দশদিন পরও যদি স্রাব বন্ধ না হয়,তাহলে এই স্রাব বা রক্তকে ইস্তেহাযা গণ্য হবে।

পরিপূর্ণ সাদা হয়েছে কিনা তা টিস্যু দিয়ে চেক করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।যদি সাদাস্রাব দেখা যায়,তাহলে বুঝতে হবে যে,হায়েয শেষ।

যদি সাদা ছাড়া অন্যবর্ণের স্রাব ভেতরেই থাকে শেষের দিকে বাইরে না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে বিধান হল,
প্রথমে টিস্যু ইত্যাদি দ্বারা চেক করতে হবে,যদি চেক করার পরও বুঝা না যায় যে,সাদাস্রাব না অন্য স্রাব,তাহলে আপাতত নিজেকে পবিত্র হিসেবে গণ্য করা হবে,যদি পরবর্তীতে সাদা ব্যতীত ভিন্ন কোনো কালারের স্রাব দেখা যায়,তাহলে তখন আবার হায়েয কিংবা ইস্তেহাযার বিধান চলে আসবে।

মোটকথাঃ
১০দিনের ভিতর সাদা ব্যতীত যেকোনো কালারের স্রাবকে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে।আর ১০ দিনের অতিরিক্ত সময়ে সাদা ব্যতীত যেকোনো কালারের রক্তকে ইস্তেহাযা গণ্য করা হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 377 views
0 votes
1 answer 140 views
...