আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in সালাত(Prayer) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ।
১. জামাতে সালাত আদায়ের সময় যদি মাসবুক হয় এবং তখন যদি ভুলবশত ইমামের সাথে সালাম ফিরায়, তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

২. যদি "আসসালামু আলাইকুম" এতোটুকু বলে কিন্তু মুখ না ফিরায়, তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে? আর "আসসালামু আলাইকুম" বলার সাথে সাথে যদি মুখও ফিরায় তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?

৩. যদি "আসসালামু" এতোটুকু বলে কিন্তু মুখ ফিরায় তাহলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে? মুখ না ফিরালেও কি সাহু সিজদা দিতে হবে?


আফওয়ান এটা নিয়ে অনেক সন্দেহো সৃষ্টি হয় মাঝে মাঝে। তাই পরিপূর্ণ ফতোয়াটা চাচ্ছিলাম, জাযাকাল্লাহু খাইরান

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/6773/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,  

মাসবুক ব্যাক্তির নামাজের বিধান জানুনঃ যদি মাসবুক ইমামের সাথে ভুলে সালাম ফিরিয়ে দেয়, তাহলেও তার নামাজ হয়ে যাবে।

قال ابن عابدین :(قولہ والمسبوق یسجد مع إمامہ) قید بالسجود لأنہ لا یتابعہ فی السلام، بل یسجد معہ ویتشہد فإذا سلم الإمام قام إلی القضاء۔( الدر المختار مع رد المحتار : ۸۲/۲، کتاب الصلاة، باب سجود السہو ، ط: دار الفکر، بیروت )

সারমর্মঃ

মাসবুক ব্যাক্তি ইমামের সালামের অনুকরণ করবেনাবরং সে ইমামের সাথে সালাম ফিরাবে,তাশাহুদ পড়বে,তারপর যখন ইমাম সালাম ফিরাবে,তখন অবশিষ্ট নামাজ আদায়ের জন্য দাড়িয়ে যাবে।   

মাসবুক ব্যাক্তি যদি ইচ্ছাপূর্বক ভাবে ইমামের সাথে সালাম ফিরায়,তাহলে তার নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।

যদি মাসবুক ব্যাক্তি ভুলক্রমে এক দিকে সালাম ফিরায়,তারপর সাথে সাথে নিজের অবশিষ্ট নামাজ আদায় করার জন্য দাড়িয়ে যায়, তাহলে যদি হুবহু ইমামের সালামের সাথে সালাম ফিরিয়ে থাকে,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবেনা।

আর যদি ইমামের সালামের হুবহু সাথে সাথে না হয়ে কিছুটা পরে হয়,(যেমনটি সাধারণত হয়ে থাকে) তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।

যদি মাসবুক উভয় দিকেই ভুলক্রমে সালাম ফিরায়,এবং স্বরন আসা মাত্র নিজের অবশিষ্ট নামাজ আদায়ের জন্য দাড়িয়ে যায়, তাহলে যদি নামাজ ফাসেদ কারী কোনো কাজ (কথা বলা ইত্যাদি) না করে থাকে,তাহলে দাড়িয়ে নামাজ পূর্ণ  করবে।

শেষে সেজদায়ে সাহু আদায় করবে।

فتاوی شامی  :

"(قَوْلُهُ: وَالْمَسْبُوقُ يَسْجُدُ مَعَ إمَامِهِ) ... فَإِنْ سَلَّمَ فَإِنْ كَانَ عَامِدًا فَسَدَتْ وَإِلَّا لَا، وَلَا سُجُودَ عَلَيْهِ إنْ سَلَّمَ سَهْوًا قَبْلَ الْإِمَامِ أَوْ مَعَهُ؛ وَإِنْ سَلَّمَ بَعْدَهُ لَزِمَهُ لِكَوْنِهِ  مُنْفَرِدًا حِينَئِذٍ، بَحْرٌ، وَأَرَادَ بِالْمَعِيَّةِ الْمُقَارَنَةَ وَهُوَ نَادِرُ الْوُقُوعِ، كَمَا فِي شَرْحِ الْمُنْيَةِ. وَفِيهِ: وَلَوْ سَلَّمَ عَلَى ظَنِّ أَنَّ عَلَيْهِ أَنْ يُسَلِّمَ فَهُوَ سَلَامُ عَمْدٍ يَمْنَعُ الْبِنَاءَ". ( باب سجود السهو، ٢/ ٨٢ - ٨٣)

সারমর্মঃ মাসবুক ব্যাক্তি যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরায়, তাহলে ইচ্ছাপূর্বক ভাবে হলে এই নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।

الدر المختار  :

"وَلَوْ سَلَّمَ سَاهِيًا إنْ بَعْدَ إمَامِهِ لَزِمَهُ السَّهْوُ وَإِلَّا لَا".

যদি ভুলক্রমে ইমামের সাথে সালাম ফিরায়,তাহলে যদি ইমামের সালামের পর সালাম ফিরায়,তাহলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। অন্যথায় নয়।

رد المحتار  :

"(قَوْلُهُ وَلَوْ سَلَّمَ سَاهِيًا) قَيَّدَ بِهِ لِأَنَّهُ لَوْ سَلَّمَ مَعَ الْإِمَامِ عَلَى ظَنِّ أَنَّهُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَعَهُ فَهُوَ سَلَامٌ عَمْدٌ، فَتَفْسُدُ كَمَا فِي الْبَحْرِ عَنْ الظَّهِيرِيَّةِ، (قَوْلُهُ: لَزِمَهُ السَّهْوُ)؛ لِأَنَّهُ مُنْفَرِدٌ فِي هَذِهِ الْحَالَةِ ح. (قَوْلُهُ: وَإِلَّا لَا) أَيْ وَإِنْ سَلَّمَ مَعَهُ أَوْ قَبْلَهُ لَايَلْزَمُهُ لِأَنَّهُ مُقْتَدٍ فِي هَاتَيْنِ الْحَالَتَيْنِ". ( شامي، قبيل باب الاستخلاف، ١ / ٥٩٩)

সারমর্মঃ মাসবুক ব্যাক্তি ইচ্ছাপূর্বক ভাবে যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরায়, তাহলে এই নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. যদি অসর্তকতা বশত বা ভুলে ইমামের সাথে বা ইমাম সালাম ফেরানোর পূর্বে সালাম ফেলে তাহলে দেরি না করে সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যাবে এবং বাকি নামাজ আদায় করবে। সিজদা সাহু করতে হবে না। যদি ইমামের সালাম ফিরানোর পর দেরি করে সালাম ফিরায় তবে সিজদা সাহু করতে হবে। আর যদি উক্ত মাসবুক মনে করে যে, ইমামের সাথে সালাম ফিরাতে হবে তাই সে ইচ্ছা করেই সালাম ফেরায় তাহলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে।

২-৩. উভয় সুরতেই যদি ভুলক্রমে এমনটি করে তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। তবে ইমামের সালাম ফিরানোর পর দেরি করে "আসসালামু আলাইকুম" বলার সাথে সাথে যদি মুখও ফিরায় তাহলে সাহু সিজদা দিতে হবে 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 204 views
0 votes
1 answer 431 views
...