আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (91 points)
edited by
আমি ওয়ালী ছাড়া এক মেয়েকে বিয়ে করি ২ বছর আগে, সে তার বাসায় থাকে,তার বাবা জানেন না, তার ও আমার পরিবার জানে আমরা বয়ফ্রেন্ড-গালফ্রেন্ড, শীগ্রই চেষ্টা করছি  আনুষ্ঠানিক ভাবে নিয়ে আসবো। তবে ইদানিং কুফু বিষয়টা নিয়ে বড় চিন্তায় আছি, একেক জন একেক বিষয়ে কুফু মানদন্ড একেক ভাবে বিবেচনা করেন বিধায় আমার আর তার কুফু নিয়ে আমি বড় পেরেশানিতে আছি, এতো দিন আমরা একে অপরের সাথে বিভিন্ন সময় কাটাচ্ছি, বিয়ের সময় এটা দেখেই বিয়ে করেছিলাম যে কুফু না হলে ওয়ালী আদালত এর মাধ্যমে বিয়ে ভাঙ্গতে পারেন।কিন্তু অনেকে বলেন না কি কুফু না মিললে বিয়েই হয় না, এটাই পেরেশানির মূল বিষয়।

১. এখন জানতে চাচ্ছি কোনো বিবেচনায় যদি আমাদের কুফু  মিলে নাই এমটাও ধরা হয়। তবে আমাদের এতো দিনের ঘনিষ্ঠতা কি গুনাহ হিসাবে ধরা হবে যেহেতু তার বাবা জানেন না, নাকি সবাইকে জানিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করার আগে পর্যন্ত আমরা এখনের মতো চলতে পারবো?  মোটকথা আমাদের বিয়ে কি শুদ্ধ হয়েছে?চাইলে এই বিয়ে দিয়েই সংসার করতে পারবো?

ইনশাআল্লাহ বেশি দিন হয়তো লাগবো না কয়েক মাস.যদিও সবাইকে জানিয়েই আবার আকদ পরবো, তাও এতো দিন আছি আরো ক'মাস থাকা লাগতে পারে. একটু পেরেশান মুক্ত করবেন।

বিয়ের সম্পুর্ন কথোপকথন দিলাম:

বিবাহ পড়ানোর সময় (কাজী,বর, কনে, সাক্ষি এক মজলিসে)

কাজীঃ (জায়গার নাম) নিবাসী অমুকের ছেলে অমুকের সাথে বিবাহের পয়গাম এনেছি রাজি থাকলে বলুন আলহামদুলিল্লাহ
কনেঃ আলহামদুলিল্লাহ
কাজী (বরকে বলতেছে): (জায়গার নাম) নিবাসী অমুকের মেয়ে অমুকের সাথে  এতো টাকা দেনমোহরে বিবাহের পয়গাম এনেছি রাজি থাকলে বলুন কবুল.

বরঃকবুল

(দুই সাক্ষি ছিলো, কাজি সাহেব ও ছিলেন, ছেলে মেয়ে সামনাসামনি ছিলো, মেয়েকে এজিন নেওয়ার সময় মোহর উল্লেখ করা হয় নি, তবে বর কনে দুজনেই মোহরের কথা জানতো, কারণ নিজেরাই ঠিক করেছিলাম। ইজাব কবুলের সময় কনের  উকিল হিসাবে আসলাম, বা উকালতিতে এইরুপ বাক্য বলা হয় নি)

২. https://ifatwa.info/85521/ কমেন্টটা দেখলে উপকাট হবে

জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান হলো যদি দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সমঝদার সাক্ষ্যির সামনে প্রাপ্ত বয়স্ক পাত্র ও পাত্রি যদি প্রস্তাব দেয় এবং অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে নেয়, তাহলে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক। অভিভাবক জানুক বা না জানুক।

 তবে যদি গায়রে কুফুতে বিবাহ করে, তথা এমন পাত্রীকে বিবাহ করে, যার কারণে ছেলে বা মেয়ের পারিবারিক সম্মান বিনষ্ট হয়, তাহলে পিতা সে বিয়ে আদালতের মাধ্যমে ভেঙ্গে দিতে পারে। যদি কুফুতে বিবাহ করে, তাহলে পিতা এ অধিকারও পাবে না।
,
রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেনঃ
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনারা উভয়ে যদি প্রাপ্ত বয়স্ক অবস্থায় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষ্যির উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব ও প্রস্তাব গ্রহণ সম্পন্ন করে থাকেন, তাহলে আপনাদের বিয়ে ইসলামী শরীয়াহ মুতাবিক শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
যদিও আপনাদের পরিবার কিছুই না জানে বা রাজি না থাকে। কিংবা তারা অনুমতি নাও দিয়ে থাকে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহের সময় মেয়ে বালেগাহ হয়ে থাকলে উক্ত বিবাহ পরবর্তী এতো দিনের ঘনিষ্ঠতা গুনাহ হিসাবে ধরা হবেনা।

সবাইকে জানিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করার আগ পর্যন্ত আপনারা এখনের মতো চলতে পারবেন।
এতে কোনো গুনাহ হবেনা।

মোটকথা আপনাদের বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে।চাইলে এই বিয়ে দিয়েই সংসার করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...