ক।
আমার দ্বারা একটি শপথ ভঙ্গ হয়েছে, কাফফারা সরুপ আমি ১০৫ টাকা ধরে ফিতরা একজনকে ১০ দিনে দিবো নিয়ত করেছি, আজকে দ্বিতীয় দিনের হিসাবে দিয়েছি।যাকে দিছি সে অসুস্থ, তাকে ফোন দিয়ে বলেছি যাকাত গ্রহন করে, কি না বলেছে করে, তাকে বলেছি আমি যা দিতে চাচ্ছি তা গরিব কে না দিলে আদায় হবে না তাও বলেছে সে যাকাত খায়, তাই তাকে দিচ্ছি, ফ্রেশ পেকেট আটা ৬৫ টাকা কেজি বিবেচনায় ১ কেজি ৬ শ গ্রামে ১০৪ টাকা হয় আমি ১০৫ ধরে তাকে বিকাশে দিচ্ছি। তাকে বলি নি যে তুমি দুই বেলা খাবে, বা এরকম কিছু,শুধু এটা বলেছি এটা কাফফারার টাকা, যে বুঝেছে কি না জানিনাই
১. আমার কাফফারা আদায় হবে কি? তার ক্যাশাউট চার্জ তো দিচ্ছি না। আদায় না হলে কি করনীয় দুই দিনে ১০৫+১০৫ দিয়েছি
২. এর মাঝে যাদি আটার দাম বাড়ে তবে কি আমার কাফফারা আবার পুনরায় শুরু থেকে দিতে হবে? না কি আরো নিন্ম মানের খোলা আটা বিবেচনায় তা ১ কেজি ৬ শ গ্রাম এর উপরে থাকায় আদায় হয়ে যাবে, প্রতিদিন আটার দামের খোজ রেখে দিতে হবে?
খ।
শায়েখ আমি একটা পেরেশানিতে আছি, আমি একটা সময় মানসিক ভাবে কিছুটা অস্বাভাবিক ছিলাম,অনেক আজব ভাবনা, আর কাজ করতাম,ডেথ ফোবিয়া(মৃত্যু ভয়ে আক্রান্ত)ছিলো, তখন মনে হতো এটা না করলে মরে যাবো, ওইটা না করলে মরে যাবো, এই রোগ অনেক দিন থেকেছে,তার পরে রোগ আলহামদুলিল্লাহ মুক্ত হলেও কিছু আসর রয়ে গেছিলো।পরে রোগ মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপনের পরেও আমি ছোট ছোট কাজের জন্য বিভিন্না মানত শপথ করার অভ্যাস তৈরী হয়। যেমন প্রতিদিন এতো রাকাত নামাজ পরবো,এতো বার সুরা ইখলাস পরবো ইত্যাদি,মনে হচ্ছে এসব বেশি অংশই মনে মনে শপথ করতাম, এর পরে মনে মনে শপথের/মান্নতের বাক্য বলে মুখে বলতাম এটা মেনে নিলাম। মুখে শপথ করলেও কি কি মুখে করেছি কিছুই মনে নাই। এর মাঝে কিছু আবার আরো ভয়ংকর, কিছু হয়তো এভাবেও বলেছিলাম যে " এই কাজ আবার করলে যেনো জাহান্নামে যাই/জান্নাতুল ফিরাদাউস না পাই ইত্যাদি " এখন এগুলোও কিছু মনে মনে করেছিলাম না মুখে বলেছিলাম তাও মনে নাই, কিছু লিখে রেখে ছিলাম, যা যা লিখা তার কপিও কই হারাইছি কে জানে। এখন কোন কাজের জন্য কি শপথ/মানত করেছিলাম, তা মুখে না মনে মনে বলেছিলাম তাও মনে নাই, মোট কথা সব ছেড়াবেরা অবস্থা। এখন শায়েখ বড় বড় পেরেশানিতে পরেছি।
এতো বছর তো এসব ভাবি নাই, মাঝে ক বছর এসব নিয়ে হিসাব নিকাশ ও করি নাই। এখন হঠাৎ মনে পরলো পুরাতন কথা, এখন কি করবো টেনশনে মাথা যায় দশা...একবার একজন আলেমের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম, উনি জবাব লিখে দিয়েছিলেন সেটাও হারিয়ে গেছে, একদু বার পরেছিলাম, যা মনে হয় উনি লিখে দিয়েছিলেন, আমার কিছুই করতে হবে না,যোহেতু কিছুই মনে নাই। তাও ইয়াকিন আসছে না মনের প্রতি,
১. আমি এখন কি করবো শায়েখ একটু বলে দিন, এমন কাজ যদি করে ফেলি যার জন্য বলেছিলাম এই কাজ করলে যেনো জাহান্নামে যেতে হয় তা যদি, হয়ে যায় আমার কি হবে শায়েখ...আমার কি হবে?আমি কি করবো আমার কোন কাজের জন্য কি বলেছি আর কিভাবে বলেছি কিছুই তো মনে নাই।
২. কিছু কাজ আছে এই গুলো করবো না বলে কিছু বলেছি তা মনে আছে হয় মুখে, বা মনে মনে, বা লিখে। কিন্তু কি লিখেছিলাম তা মনে নাই, হয়তো "জাহান্নামে যাবো, বা জান্মাতুল ফিরদউস পাবো না এমন কিছু, এখন এই কনফিউশান নিয়ে যদি কাজ টা করেই ফেলি, তখন কি হবে
সর্বোপরি আমাকে একটু সমাধান দিন, কতো আগের করা কথা, তখন জানতাম ও না মনে মনে বললে শপথ মানত হয় না, এখন সব ভুলে বসে আছি
৩. কিছু আল্লাহর নামে শপথ ও করেছিলাম (২০১৪-১৬/১৭),হবে হয়তো সেই সময় যা রাখতে পারি নাই, সেগুলোও মনে মনে না মুখে বলে করেছিলম মনে পরতাছে না, মুখেও করতে।পারি মনে মনেও করতে পারি যেহেতু অনেক কথাই মনে মনে বলতাম,এগুলোর সংখ্যা কিছুই মনে নাই, তাও ২০১৯/২০ এ তিনটা রোজা রেখেছিলাম টানা, এখন এগুলোর কি করবো??? আমাকে দিকনির্দেশনা দিন প্লিজ...