আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম।হুজুর আমার কিছু জরুরি প্রশ্ন জানা একান্ত প্রয়োজন একটু উত্ত্র দিয়ে উপক্তিত করবেন।

১।সুদ গ্রহনকারি ব্যাক্তির কি নামাজ,রোজা ও দোয়া কবুল হবে।তেমনিভাবে একজন যিনি সুদ দেন মানে সুদে টাকা ধার নিয়ে এরপর সুদ দেন মানে সুদ দাতা ও গ্রহীতার কি একই নামাজ,দোয়া কি কবুল হবে?

২।নামাজের নিয়ত কি বাংলায় করলে হবে?নাকি নিয়ত মুখ্র বলার দরকার নাই মনে মনে রাখলেই হল

৩।হুজুর আমি মেয়ে।আমি নার্সিং এ ভর্তি হই লুন নিয়ে।সেখানে ৫বছর পড়াশোনা করার পর আমাকে ৩বছর তাদের মেডিকেল এ কাজ করা লাগবে। আর কাজ না করলে আমাকে সেই লুনের উপত সুদ দিতে হবে।ত যখন আমি এই লুন নিয়েছি তখন সে আমার হাব্যনাড এর সাথে ডিভোর্স হয়ে যাবে একটা পর্যায় ছিল।কিন্তু এখন সব ঠিক হয়্র গ্রছে কিন্তু সে এখন প্রবাসে এখন ৫বছর পড়াশোনা করে আবার ৩বছর চাকরি করলে হয়ত আমার সংসার সেস হয়্র যাবে।আবার এই মুহুরতে পড়াশোনা ছেড়ে দিলে হাসব্যান্ড যদি আবার আগের মত হয়ে যায় তখন আমি মানসিক ডিপ্রেশনে ভুগব আমার মাও নাই।এখন আমার করনীয় কি?আর নিজ টাকায় নার্সিং পড়ার মত সাধ্য আমাত নাই তাই আমি এই লুন নিয়্র পড়লে এই শর্তে সুদ দিলে কি আমার গুনাহ হবে?যদি একান্তই সংদার টিকানোর জন্য আমি সুদ দিয়ে কাজ না করে বের হয়্র যাই।আমার মি গুনাহ হবে?আর পড়াশোনা কেন ছাড়তে পারতাছুনা সেটাত বল্লাম হুজুত আর আমার লুন ছাড়া পড়ার সামর্থ্য নাই।

৪।আমি যদি হুজুত এখন মুখে বলি আমি সুদ দিয়ে৷ এর হয়্র যাব কাজ না করে তবে এখন থেকেই কি আমার নামাজ দোয়া কবুল হব্র না নাকি যখন দেব তখন থেকে দোয়া নামাজ কবুল হব্র নাম

৫।আর যদি রিন ধার করে সুদ দিয়ে বের হই সুদ পরিশোধ করার জন্য যার কাছ থেকে টাকা নিয়্রছি সেখানে সুদের চুক্তি করি নাই তবে তার থেকে রিন নিয়েই সুদের টাকা পিরিশোধ করেছি ত যতদিন সেই লুকের রিন সুদ না করতে পারব তত দিন কি আমার নামাজ দোয়া কবুল হবে না যদি তার সাথে সুদের চুক্তি না থাকে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত, 
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﻗﺎﻝ ﻗﺎﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃﻳﻬﺎ ﺍﻟﻨﺎﺱ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻃﻴﺐ ﻻ ﻳﻘﺒﻞ ﺇﻻ ﻃﻴﺒﺎ ﻭﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﺃﻣﺮ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﺑﻤﺎ ﺃﻣﺮ ﺑﻪ ﺍﻟﻤﺮﺳﻠﻴﻦ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎ ﺃﻳﻬﺎ ﺍﻟﺮﺳﻞ ﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﺍﻟﻄﻴﺒﺎﺕ ﻭﺍﻋﻤﻠﻮﺍ ﺻﺎﻟﺤﺎ ﺇﻧﻲ ﺑﻤﺎ ﺗﻌﻤﻠﻮﻥ ﻋﻠﻴﻢ ﻭﻗﺎﻝ ﻳﺎ ﺃﻳﻬﺎ ﺍﻟﺬﻳﻦ ﺁﻣﻨﻮﺍ ﻛﻠﻮﺍ ﻣﻦ ﻃﻴﺒﺎﺕ ﻣﺎ ﺭﺯﻗﻨﺎﻛﻢ ﺛﻢ ﺫﻛﺮ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﻳﻄﻴﻞ ﺍﻟﺴﻔﺮ ﺃﺷﻌﺚ ﺃﻏﺒﺮ ﻳﻤﺪ ﻳﺪﻳﻪ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﺴﻤﺎﺀ ﻳﺎ ﺭﺏ ﻳﺎ ﺭﺏ ﻭﻣﻄﻌﻤﻪ ﺣﺮﺍﻡ ﻭﻣﺸﺮﺑﻪ ﺣﺮﺍﻡ ﻭﻣﻠﺒﺴﻪ ﺣﺮﺍﻡ ﻭﻏﺬﻱ ﺑﺎﻟﺤﺮﺍﻡ ﻓﺄﻧﻰ ﻳﺴﺘﺠﺎﺏ ﻟﺬﻟﻚ

নবীজী সাঃ বলেনঃ হে লোকসকল জেনে রাখ!আল্লাহ পবিত্র তিনি পবিত্র জিনিষ ছাড়া অপবিত্র জিনিষকে কবুল করেন না।আর আল্লাহ তা'আলা মু'মিনদেরকে সেই জিনিষ সমূহেরই আদেশ দিচ্ছেন যা তিনি নবীদেরকে দিয়েছিলেন।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ(হে রাসুল সাঃ তোমরা পবিত্র জিনিষ থেকে খাও,এবং নেক কাজ করো,নিশ্চয় তোমরা যা কিছু করো তা আমি জানি।)এবং বলেনঃ(হে ঈমানদারগণ! তোমরা আমার প্রদানকৃত পবিত্র জিনিষ থেকে খাও)
অতঃপর নবীজী সাঃ এমন এক মানুষের কথা আলোচনা করতে শুরু করলেনঃযে দ্বীনের রাস্তায় লম্বা সফর করেছে যদ্দরুণ তার চুল এলোমেলো,সে ধুলায় আচ্ছাদিত।এমতাবস্থায় সে দু'হাত আসমানের দিকে সম্প্রসারিত করে আল্লাহ কাছে রহমতের দু'আ  করছে।
বলছে হে আমার রব! হে আমার রব!অথচ তার অন্ন,বস্র ইত্যাদি হারাম।তাহলে তার দু'আ কিভাবে কবুল করা হবে?(কবুল হবে না)(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

ইমাম নববী রাহ বলেনঃ
ﺇﺫﺍ ﺣﺞ ﺑﻤﺎﻝ ﺣﺮﺍﻡ ﺃﻭ ﺭﺍﻛﺒﺎ ﺩﺍﺑﺔ ﻣﻐﺼﻮﺑﺔ ﺃﺛﻢ ﻭﺻﺢ ﺣﺠﻪ ﻭﺃﺟﺰﺃﻩ ﻋﻨﺪﻧﺎ , ﻭﺑﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺑﻮ ﺣﻨﻴﻔﺔ ﻭﻣﺎﻟﻚ ﻭﺍﻟﻌﺒﺪﺭﻱ , ﻭﺑﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﻛﺜﺮ ﺍﻟﻔﻘﻬﺎﺀ . ﻭﻗﺎﻝ ﺃﺣﻤﺪ : ﻻ ﻳﺠﺰﺋﻪ ﻭﺩﻟﻴﻠﻨﺎ ﺃﻥ ﺍﻟﺤﺞ ﺃﻓﻌﺎﻝ ﻣﺨﺼﻮﺻﺔ ﻭﺍﻟﺘﺤﺮﻳﻢ ﻟﻤﻌﻨﻰ ﺧﺎﺭﺝ ﻋﻨﻬﺎ
যদি কেউ হারাম মাল বা চুরিকৃত জন্তুর মাধ্যমে হজ্ব করে তাহলে বাহ্যিক দৃষ্টিতে তার হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।কিন্তু সে গুনাহগার হবে।তার হজ্ব হজ্বে মাবরুর হবে না,যে হজ্বের বিনিময় জান্নাত ব্যতীত আর কিছুই হতে পারেনা।ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রাহ ব্যতীত তিন ইমামের ইহাই সিদ্ধান্ত।ইমাম আহমদ রাহ বলেনঃ আদায় হবে না।(আল-মাজমু'-৭/৪০)



সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) সুদ দাত ও সুদ গ্রহীতা উভয় প্রকার ব্যক্তির নামাজ,রোজা দুনিয়ার নিয়ম অনুসারে তো আদায় হওয়ার কথা,পরবর্তীতে কাযা করার নির্দেশ আসবে না। তবে আল্লাহর নিকট কতটুকু কবুল হচ্ছে! তা আল্লাহই ভালো জানেন। উপরের হাদীসের আলোকে আমরা বুঝতে পারছি যে, কবুল না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

(২)নামাজের নিয়ত বাংলায় করলেও হবে। নিয়ত যদিও অন্তরের বিষয় তবে মুখ দ্বারা বলাটা মুস্তাহাব। 

(৩) এভাবে লোন গ্রহণ করে পড়াশোনা করাটা কখনো জায়েয হবে না। 

(৪) লোনকে পরিহার করাই আপনার জন্য কল্যাণকর।

(৫) আল্লাহর জমিন অনেক প্রশস্ত। লোন থেকে বেড়িয়ে আসুন, আল্লাহ অবশ্যই আপনার একটা বিহিত ব্যবস্থা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...