بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছাপূর্বক
ভাবে নিজেকে নিজে কাফের বলে পরিচয় দেওয়া কুফরী।
সূরা নাহলের ১০৬ নম্বর আয়াতে
বলা হয়েছে-
مَنْ كَفَرَ
بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ
بِالْإِيمَانِ وَلَكِنْ مَنْ شَرَحَ بِالْكُفْرِ صَدْرًا فَعَلَيْهِمْ غَضَبٌ مِنَ
اللَّهِ وَلَهُمْ عَذَابٌ عَظِيمٌ (106)
“কেউ বিশ্বাস স্থাপনের
পর আল্লাহকে অস্বীকার করলে এবং প্রত্যাখ্যানের জন্য হৃদয় মুক্ত রাখলে তার উপর আল্লাহ
ক্রোধ পতিত হবে এবং তার জন্য রয়েছে মহাশাস্তি। তবে তার জন্য নয়,
যাকে (সত্য প্রত্যাখ্যানে) বাধ্য করা হয়,
কিন্তু তার অন্তর বিশ্বাসে অটল।” (১৬:১০৬)
আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের
আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,
وَلاَ
يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-
‘আল্লাহ ও তাঁর
রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে
গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।
অন্যত্র তিনি বলেন,
قُلْ
أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ
حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-
‘আপনি বলুন,
আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন,
তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও
কতক হালাল করে নিয়েছ, তা
কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি
বলুন, আল্লাহ
কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. যদি সুস্পষ্ট ভাবে কেউ
তার কুফরী বা শিরকী আক্বীদা নিয়ে (যা ঈমান ভঙ্গের কারণ) কোন ফরজ বিধান আদায় করে তাহলে
তা সহিহ হবে না। খালেস দিলে তওবা করতে হবে ও উক্ত ইবাদতগুলি কাযা করবে।
২. কোন সন্দেহকে প্রশ্রয় দেওয়া
যাবে না। সামান্য সন্দেহের কারণে নিজেকে কাফের মনে করা যাবে না। বরং তাত্ক্ষণিক ভাবে
ইস্তেগফার করতে হবে ও শয়তান থেকে পানাহ চাইতে হবে। ইবাদত কন্টিনিউ করতে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।