জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
গীবতের গুনাহ খুবই মারাত্মক,এই নিম্নোক্ত আলোচনা গুলো শুনিয়ে পরিবারের বড়দের গীবত করা থেকে ফিরিয়ে আসার দিকে দাওয়াত দিতে হবে
আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِّنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ ۖ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَب بَّعْضُكُم بَعْضًا ۚ أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَن يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۚ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَّحِيمٌ [٤٩:١٢]
মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। {সূরা হুজুরাত-১২}
,
وتنحصر في ستة أسباب الأول : التظلم فلمن ظلم أن يشكو لمن يظن له قدرة على إزالة ظلمه أو تخفيفه .
ছয়টি কারণে গীবত করা জায়েজ আছে। যথা-
জুলুম থেকে নিচে বাঁচতে, অন্যকে বাঁচাতে। এমন ব্যক্তির কাছে গীবত করতে পারবে, যে একে প্রতিহত করতে পারবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَن عَائِشَةَ رَضِيَ الله عَنهَا : أَنَّ رَسُولَ الله ﷺ، قَالَ: «مَنْ ظَلَمَ قَيدَ شِبْرٍ مِنَ الأرْضِ، طُوِّقَهُ مِنْ سَبْعِ أرَضِينَ». مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
বাংলা অনুবাদ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কারো জমি এক বিঘত পরিমাণ অন্যায়ভাবে দখল করে নেবে, (কিয়ামতের দিন) সাত তবক (স্তর) জমিন তার গলায় লটকে দেওয়া হবে।’’ [বুখারি২৪৫৩, ৩১৯৫, মুসলিম ১৬১২, আহমদ ২৩৮৩২, ২৫৬১২, ২৫৬৯২]
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু তারা আপনাদের উপর জুলুম করছে,তাই তাদের উক্ত কাজের গীবত এমন ব্যাক্তির কাছে করা যাবে,একে প্রতিহত করতে পারবে,বা সমাধান বলে দিতে পারে,বা আপনাদের সাহায্য করতে পারে।
,
তবে সীমাতিরিক্ত বলা যাবেনা।
এক্ষেত্রে আপনারা আইনী ভাবে মোকাবেলা করলেই সবচেয়ে উত্তম হবে।