আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
275 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (35 points)
১।আসসালামু আলাইকুম হুজুর আমার আর আমার স্বামির মধ্য ফেসবুক নিয়ে কথাবার্তা হয়।এভাবে কি নিয়ে ঝগড়া হয়। তখন সে বলে তুমিত স্বাধীন এরপর আরও কি কি কথা বলেছিল আমার মনে পরতছে না।বা ঝগড়া করে এই কথা বলেছিল কিনা তাও মনে নাই।তবে এই কথাটা বলছে তা মনে আছে।তবে আমি গতকাল তাকে জিগাস করেছিলাম যে তুমি কি আমাকে ডিভোর্স দিয়া দিছ এই নিয়তে এসব বলছ? তখন সে বলে না কখনই না।আমি সেই উদ্দেশ্য করে বলেছি যে তুমি ফেসবুকের কথা বললেই কেমন কর সেটা বুজাতে।কিন্তু তুমাকে ডিভোর্স বা তলাক্ব দিতাছি তা উদ্দেশ্য করেত বলি নাই তুমি কি পাগল তুমি ঘুমাওত।কথা একভাবে বললে বুজে আরেকভাব্র বুজে পাগল কোথাকার। এখানে কি হুজুর আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে?নাকি জামাইকে জিগাস করব সে কি ঝগড়া করে বলেছিল কিনা?আমি ভয়ে জিগাস করি নাহ যদি আবার তলাক্ব জাতিয় কিছু বলে ফেলে?তাকে কি জিগাস করব?

২।হুজুর কুরবানির ইদে হাসব্যান্ড প্রবাসে থাকে তাই আমাকে বলেছিল তার মা বাবার সাথে ইদ করতে।কিন্তু তার মা বাবা আমাকে পছন্দ করে না কথাও বলেও না।আমার মা মারা গেছে এ বছর তাই আমি আমার হাসব্যান্ড কে না জানিয়্র ছুট ছুট ভাই বুন নিয়ে আমার নানির বাড়ি ইদ করতে চলে যাই।কারন আমার ভাই বুনের আর কেউ নাই।এরপর আমার জামাই স কল।দিলে আমি সত্যি কথা বলি।এভাবে এক কথা দুই কথায় আমাদের অনেক  ঝগড়া হয়।ঝগড়ার মাঝখানে এক পর্যায়ে সে বলে তুমি একেবারে স্বাধীন বা তুমাকে স্বাধীন করে দিলাম কি বলেছ্র সঠিক মনে নাই তবে এই  দুইটা কথাটার একটাই বলেছে এটা শিউর।এরপর আমি তাকে একটা স্কিনশর্ট দেই যে বউকে এসব বললে সে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।তুমি কুন নিয়তে বলছ সে বলেছে না আমি তুমাকে ডিভোর্স দেওয়ার নিয়তে বলি নাই।বা আমি এই জন্য বলেছি তুমি আমাকে না বলে গেছ মানে তুমার যা খুশি তুমি তাই করতে পার এখন থেকে সেটা বুজাতে বলেছি তুমি  তুমাকে সাধিন করে দিলাম বা তুমি সাধীন ।এখন এখানে কি তার কথাই সত্যি?প্লিজ জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী)(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1049


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) স্বামীর এই কথা দ্বারা কোনো তালাক হবে না।
(২) স্বামীর নিয়তে তালাক ছিলনা, তাই তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...