بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
https://ifatwa.info/8928/
ফতোয়ায় উল্লেখ করা হয়েছে যে,নটরডেম কলেজ, যদিও এটি মিশনারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এখানে
পড়ার ফলেও ভবিষ্যতের উপার্জন হারাম হবে না। উক্ত কলেজে আকীদা বিশুদ্ধ রেখে নিয়ত ঠিক
রেখে পড়া জায়েজ আছে।
তবে গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি বিষয়
হলো,উক্ত কলেজের ড্রেস এর মনোগ্রামেও
খ্রিস্টান ধর্মের ক্রস চিন্হ রয়েছে, শরীয়য়ের বিধান হলো যদি ড্রেস
এর লোগো,মনোগ্রামে ক্রুশ চিহ্ন অংকিত হয়ে থাকে, তাহলে কোন মুসলমানের জন্য উক্ত ড্রেস পরিধান করা জায়েজ নয়।
কোন মুসলমানের জন্য বিধর্মীদের
ধর্মীয় প্রতীক বা ধর্মীয় ইউনিফর্ম ব্যবহার সম্পূর্ণ হারাম। সেই হিসেবে খৃষ্টানদের ধর্মীয়
প্রতীক যেহেতু ক্রুশ তাই। তাই ক্রুশ চিহ্নিত কোন পোশাক পরিধান করা মুসলমান সন্তানের
জায়েজ হবে না। বিধর্মীদের ধর্মীয় প্রতীক ব্যাবহারের প্রতি হাদীসের মাঝে কঠোর হুশিয়ারী
উচ্চারিত হয়েছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ
عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা.
থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত
হবে। (আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-৪০৩৩,
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং-২৯৬৬, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-২০৯০৮৬)
যে কাপড়ে অমুসলিমদের কোন ধর্মীয়
প্রতীক (যেমন ক্রুশ, শঙ্খ প্রভৃতি)
থাকে, সে কাপড় (ও অলঙ্কার) ব্যবহার বৈধ নয়।
★সুতরাং প্রশ্নে
উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ড্রেস পরিধান করা জায়েজ নেই। হ্যাঁ যদি উক্ত চিহ্ন কেটে
ফেলা হয়,তাহলে সেই ড্রেস পরিধান করা জায়েজ আছে।
বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/7104/
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. আপনার বাবার উক্ত কথাটি ওয়াদার অন্তর্ভূক্ত।
বাবার কৃত ওয়াদা পূর্ণ করা তার দায়িত্ব। তবে আপনার বয়স ও স্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়টি
সামনে রেখে পারিবারিক ভাবে আলোচনা করে কোন সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া উচিত। মনে রাখবেন
মা বাবার অবাধ্য হওয়া মোটেও উচিত হবে না। তাদের পরামর্শ নিয়েই সামনে অগ্রসর হবেন ইনশাআল্লাহ।
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে
মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর
উপর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)
অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে,
আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাহলে
এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে, তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায়
বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ। বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2276
অবস্থাভেদে বিয়ে করা ফরয,
ওয়াজিব, সুন্নত ও হারাম হয়।
২. নটরডেম কলেজের ড্রেসে
যদি ক্রুশ চিন্হ থাকে, যাহা বুঝা যায়, তাহলে
কর্তৃপক্ষ যদি এহেন ড্রেস পরিধান করতে বাধ্য করে, তাহলে সেই ড্রেস পড়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানে
পড়াশোনা করা মুসলমানদের জন্য জায়েজ হবে না।