জবাবঃ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
স্বামী-স্ত্রী কর্তৃক সহবাসের সময়ে শয়তান উপস্থিত হয়ে থাকে।
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত।
عن ابن عباس قال ، قال رسول الله : لو أن أحدكم إذا أراد أن يأتي أهله قال اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتني فإن كان بينهما ولد لم يضره الشيطان ولم يسلط عليه
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন স্ত্রীর সাতে মিলিত হওয়ার ইচ্ছা করে এবং সে বলে আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ্! আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখুন এবং আপনি আমাদের যে রিযিক দেন তাত্থেকে শয়তানকে দূরে রাখুন এবং উভয়ের মাধ্যমে যদি কোন সন্তান নির্ধারণ করা হয় তাহলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারে না।সহীহ বোখারী-৭৩৯৬,সহীহ মুসলিম-১৪৩৪,সুনানে আবি দাউদ-২১৬১,ফাতহুল বারী-৯/২২৯)
হায়েয শয়তানের স্পর্শের কারণে হয়ে থাকে,এ সম্পর্কে হাদীসে বর্ণিত রয়েছে,
عن حمنة بنت جحش قالت : كنت أستحاض حيضة كثيرة شديدة فأتيت رسول الله أستفتيه وأخبره فوجدته في بيت أختي زينب بنت جحش فقلت يا رسول الله إني امرأة أستحاض حيضة كثيرة شديدة فما ترى فيها ؟ قد منعتني الصلاة والصوم ؟ فقال : أنعت لك الكرسف فإنه يذهب الدم ، قالت : هو أكثر من ذلك . قال : فاتخذي ثوبا ، فقالت : هو أكثر من ذلك إنما أثج ثجا ، قال رسول الله : سآمرك بأمرين أيهما فعلت أجزأ عنك من الآخر فإن قويت عليهما فأنت أعلم ، قال لها : إنما هذه ركضة من ركضات الشيطان ..فتحيضي ستة أيام أو سبعة أيام في علم الله تعالى ثم اغتسلي
হামনা বিনতু জাহশ রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুমা সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার অত্যন্ত বেশী ঋতুস্রাব হত। আমি আমার অবস্থা বর্ণনা ও মাসআলাহ জিজ্ঞেস করার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে আমার বোন যয়নাব বিনতু জাহশের ঘরে পেলাম। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমার অত্যন্ত বেশী রক্তস্রাব হয়। এ ব্যাপারে আপনি আমাকে (সালাত ইত্যাদি বিষয়ে) কি পরামর্শ দেন? আমার সালাত-(রোযা) সিয়ামও বন্ধ। তিনি বলেনঃ আমি তোমাকে তুলা ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে তোমার রক্ত বন্ধ হয়ে যাবে। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী।তিনি বলেন, কাপড়ের পট্টি বেঁধে নাও। হামনা বলেন, তা এর চেয়েও বেশী। আমার তো রীতিমত রক্ত প্রবাহিত হতে থাকে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তাহলে আমি তোমাকে দু’টি বিষয়ের নির্দেশ দিচ্ছি। তার কোন একটি অনুসরণ করলেই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে। উভয়টির উপর যদি ‘আমল করতে পার, তাহলে তা তুমিই ভাল জান। তিনি তাকে বললেনঃ এটা শয়তানের লাথি বা স্পর্শবিশেষ। কাজেই তুমি (প্রতি মাসে) নিজেকে ছয় অথবা সাতদিন ঋতুবতী ধরে নেবে। আর এর প্রকৃত বিষয় সম্পর্কে আল্লাহই ভাল অবগত।(সুনানে আবি-দাউদ-২৮৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে হাদদীসের কথা উল্লেখ করেছেন,সেটা সঠিক।হাদীসটি সনদ হিসেবে দুর্বল।এটা ইবনে আব্বাস রাযির এর আছার বা মতামত।সাহাবির কোনো কথা বা মতামত যদি জ্ঞান-বিজ্ঞানের উর্ধে হয়ে থাকে,তাহলে সেটাকে হুকমান হাদীসে মারফু বলা হয়।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
হিজড়া মূলত মহিলা।মহিলার বিধানই তাদের উপর প্রয়োগ হবে।হিজড়ারা মহালাদের মতই নামায পড়বে।
(২)
তাদের সাথে নারী পুরুষ উভয়কে পর্দা করতে হবে।
(৩)
হিজড়া মূলত আল্লাহর হুকুমেই হয়।