উল্লেখিত ক্রিমে কোনো হারামের মিশ্রণ যদি না থাকে,তাহলে তার ব্যবহার জায়েয হবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻗُﻞ ﻻَّ ﺃَﺟِﺪُ ﻓِﻲ ﻣَﺎ ﺃُﻭْﺣِﻲَ ﺇِﻟَﻲَّ ﻣُﺤَﺮَّﻣًﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻃَﺎﻋِﻢٍ ﻳَﻄْﻌَﻤُﻪُ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﻳَﻜُﻮﻥَ ﻣَﻴْﺘَﺔً ﺃَﻭْ ﺩَﻣًﺎ ﻣَّﺴْﻔُﻮﺣًﺎ ﺃَﻭْ ﻟَﺤْﻢَ ﺧِﻨﺰِﻳﺮٍ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﺭِﺟْﺲٌ ﺃَﻭْ ﻓِﺴْﻘًﺎ ﺃُﻫِﻞَّ ﻟِﻐَﻴْﺮِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﺑِﻪِ ﻓَﻤَﻦِ ﺍﺿْﻄُﺮَّ ﻏَﻴْﺮَ ﺑَﺎﻍٍ ﻭَﻻَ ﻋَﺎﺩٍ ﻓَﺈِﻥَّ ﺭَﺑَّﻚَ ﻏَﻔُﻮﺭٌ ﺭَّﺣِﻴﻢ
আপনি বলে দিনঃ যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ; যবেহ করা জন্তু যা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গ করা হয়। অতপর যে ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে এমতাবস্থায় যে অবাধ্যতা করে না এবং সীমালঙ্গন করে না, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা ক্ষমাশীল দয়ালু।সূরাঃআন আ'ম-১৪৫;
সুরা মায়েদার ৯০ নং আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اِنَّمَا الۡخَمۡرُ وَ الۡمَیۡسِرُ وَ الۡاَنۡصَابُ وَ الۡاَزۡلَامُ رِجۡسٌ مِّنۡ عَمَلِ الشَّیۡطٰنِ فَاجۡتَنِبُوۡہُ لَعَلَّکُمۡ تُفۡلِحُوۡنَ ﴿۹۰﴾
হে মুমিনগণ, নিশ্চয় মদ, জুয়া, প্রতিমা-বেদী ও ভাগ্যনির্ধারক তীরসমূহ তো নাপাক শয়তানের কর্ম। সুতরাং তোমরা তা পরিহার কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।
সুরা মায়েদার ০৩ নং আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন
حُرِّمَتۡ عَلَیۡکُمُ الۡمَیۡتَۃُ وَ الدَّمُ وَ لَحۡمُ الۡخِنۡزِیۡرِ وَ مَاۤ اُہِلَّ لِغَیۡرِ اللّٰہِ بِہٖ وَ الۡمُنۡخَنِقَۃُ وَ الۡمَوۡقُوۡذَۃُ وَ الۡمُتَرَدِّیَۃُ وَ النَّطِیۡحَۃُ وَ مَاۤ اَکَلَ السَّبُعُ اِلَّا مَا ذَکَّیۡتُمۡ ۟ وَ مَا ذُبِحَ عَلَی النُّصُبِ وَ اَنۡ تَسۡتَقۡسِمُوۡا بِالۡاَزۡلَامِ ؕ ذٰلِکُمۡ فِسۡقٌ ؕ اَلۡیَوۡمَ یَئِسَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا مِنۡ دِیۡنِکُمۡ فَلَا تَخۡشَوۡہُمۡ وَ اخۡشَوۡنِ ؕ اَلۡیَوۡمَ اَکۡمَلۡتُ لَکُمۡ دِیۡنَکُمۡ وَ اَتۡمَمۡتُ عَلَیۡکُمۡ نِعۡمَتِیۡ وَ رَضِیۡتُ لَکُمُ الۡاِسۡلَامَ دِیۡنًا ؕ فَمَنِ اضۡطُرَّ فِیۡ مَخۡمَصَۃٍ غَیۡرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثۡمٍ ۙ فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۳﴾
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ভিন্ন কারো নামে যবেহ করা হয়েছে; গলা চিপে মারা জন্তু, প্রহারে মরা জন্তু, উঁচু থেকে পড়ে মরা জন্তু অন্য প্রাণীর শিঙের আঘাতে মরা জন্তু এবং যে জন্তুকে হিংস্র প্রাণী খেয়েছে- তবে যা তোমরা যবেহ করে নিয়েছ তা ছাড়া, আর যা মূর্তি পূঁজার বেদিতে বলি দেয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা বণ্টন করা হয়, এগুলো গুনাহ। যারা কুফরী করেছে, আজ তারা তোমাদের দীনের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
হযরত সালমান ফারসী রাযি. থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺳﻠﻤﺎﻥ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ : ﺳﺌﻞ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻋﻦ ﺍﻟﺴﻤﻦ ﻭﺍﻟﺠﺒﻦ ﻭﺍﻟﻔﺮﺍﺀ ﻓﻘﺎﻝ : ( ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻣﺎ ﺃﺣﻞ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﻣﺎ ﺣﺮﻡ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺑﻪ ، ﻭﻣﺎ ﺳﻜﺖ ﻋﻨﻪ ﻓﻬﻮ ﻣﻤﺎ ﻋﻔﺎ ﻋﻨﻪ )
সারমর্মঃ
নবীজী সাঃ কে ঘি,পণীর,এবং জঙ্গলি গাধা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃহালাল সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা উনার কিতাবে হালাল করে দিয়েছেন।এবং হারাম সেগুলাই যা আল্লাহ তা'আলা তার কিতাবে হারাম করে দিয়েছেন।আর যেগুলোর বিধি-বিধান বর্ণনা করেননি,তা হালাল বিধানের-ই অন্তর্ভূক্ত। (জা'মে তিরমিযি-১৭২৬)
,
আরো জানুনঃ
প্রশ্নে উল্লেখিত ক্রিমের উপাদানের মধ্যে যদি শূকরের চর্বি (Pig fat) আছে বলে জানা না যায়, তাহলে তা হারাম হওয়ার আপাতত কোনো কারণ নেই। হারাম প্রমাণিত না হলে যেহেতু প্রত্যেক জিনিষের মৌলিকত্ব বৈধ,বিধায় সেটাও বৈধ হবে।
তবে উল্লেখিত ক্রিমের উপাদানের মধ্যে যদি শূকরের চর্বি (Pig fat) আছে বলে নিশ্চিত হয়,সেক্ষেত্রে তার ব্যবহার জায়েজ হবেনা।
★এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত বোন যেহেতু হারাম উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত নয়,তবে ক্রিমের উপাদানের মধ্যে শূকরের চর্বি (Pig fat) ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে,বলে সন্দেহ করছেন,তাই সতর্কতামূলক সেটির ব্যবহার পরিহার করাই উত্তম হবে।