بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ
ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ
ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ
ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ
শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য
হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত
রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭)
মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা
মূলত তিনটি মূলনীতির আলোকে হয়ে থাকে।
(১) তাদের আদেশ
কোনো মুবাহ বিষয়ে হতে হবে।কোনো ওয়াজিব তরকের ব্যাপারে হতে পারবে না।এবং কোন হারাম কাজের
জড়িত হওয়ার জন্যও হতে পারবে না।
(২)যে কাজের আদেশ
তারা দিবেন,এতে
তাদের ফায়দা থাকতে হবে,বা
শরীয়তের পছন্দসই কাজ হতে হবে।
(৩)যে কাজের আদেশ
দিচ্ছেন,তা তাদের সন্তানদের
জন্য ক্ষতিকারক হতে পারবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1707
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে
ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1722
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
প্রথমত আপনি কোন আলেম বা দ্বীনদার ব্যক্তির মাধ্যমে যৌতুকের অপরাধ
ও ভয়াবহতা সম্পর্কে আপনার বাবাকে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। তার অন্তরে দ্বীনের বুঝ আসার
জন্য অধিকহারে দোয়া করতে থাকবেন। পরিশেষে কোন ভাবেই যদি বাবা তার সিদ্ধান্ত থেকে সরে
না আসে তাহলে আপনার জন্য পিতার আনুগত্য
করা জায়েয হবে না। হারাম থেকে বেঁচে থাকার লক্ষ্যে
তাদের ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে দূরে কোথায় চলে যাওয়া আপনার জন্য নাজায়েয হবে
না। আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে পৃথকভাবে বসবাস করতে পারবেন। এতে মাতাপিতার অবাধ্যতা
হবে না। আল্লাহ তায়ালার উপর পূর্ণ ভরসা রেখে মেহনত চালিয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ
আল্লাহ তায়ালা আপনার রিজিকে বরকত দান করবেন।