জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাযি-থেকে বর্ণিত তিনি বলেন-
ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ اﻟﻠَّﻪِ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲَ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻬُﻤَﺎ ﻗَﺎﻝَ: ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ اﻟﻠَّﻪِ - ﺻَﻠَّﻰ اﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ -( «ﻛَﺘَﺐَ اﻟﻠَّﻪُ ﻣَﻘَﺎﺩِﻳﺮَ اﻟْﺨَﻼَﺋِﻖِ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﻳَﺨْﻠُﻖَ اﻟﺴَّﻤَﺎﻭَاﺕِ ﻭَاﻷَْﺭْﺽَ ﺑِﺨَﻤْﺴِﻴﻦَ ﺃَﻟْﻒَ ﺳَﻨَﺔٍ)ﺭَﻭَاﻩُ ﻣُﺴْﻠِﻢٌ.
আল্লাহ তা‘আলা প্রত্যেক মানুষের তাক্বদীর লিপিবদ্ধ করেছেন আসমান-যমীন সৃষ্টির ৫০ হাজার বছর পূর্বে এবং তিনি যার ভাগ্যে যা লিপিবদ্ধ করেছেন তাই ঘটবে।(ছহীহ মুসলিম, মিশকাত হাদীস নং/৭৯)।
একদিন ছাহাবায়ে কেরাম তাকে কেবল তাক্বদীরের উপর ভরসা করে সকল আমল ছেড়ে দেওয়ার আবেদন জানালে রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমরা সৎকর্ম করে যাও। কেননা যাকে যেজন্য সৃষ্টি করা হয়েছে, তার পক্ষে সে কাজ সহজসাধ্য হবে। যারা সৌভাগ্যবানদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের জন্য সেরূপ আমল এবং যারা দুর্ভাগাদের অন্তর্ভুক্ত তাদের জন্য সেরূপ আমল সহজ করে দেওয়া হয়েছে।
(বুখারী হা/৪৯৪৯)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/58
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
যদি আপনার কোনো টাকা চুরি হয় যায়, চেষ্টা করেও সেই টাকা যদি আপনি আর না পান, তাহলে এই চুরি হয় যাওয়া টাকাটা আপনার রিযিকের ভোগকৃত অংশ হিসেবে পরিগণিত হবেনা।
এই টাকা আপনার রিযিকে ছিলোনা বলেই চুরি হয়েছে।
(০২)
কোনো ব্যবসায় করতে গিয়ে যদি লস হয়, তাহলে এই লস হওয়ার টাকার পরিমাণ আপনার রিযিকের ভোগকৃত অংশ হিসেবে পরিগণিত হবেনা। এই লস হওয়া টাকা আপনার রিযিকে ছিলোনা বলেই লস হয়েছে।
ভবিষ্যতে এই লসের টাকা আবার কোনো না কোনোভাবে ফিরে পাবেন বলে পরিগণিত হবেনা।