আসসালামু আলাইকুম। আমার শশুরবাড়িতে জয়েন্ট ফ্যামিলি। আমি ছাড়াও আরো দুই ছেলের বউ আছে। শশুর নেই, শাশুড়ী আছেন। সমস্যা উনাকে নিয়েই। উনি ছেলের বউদের উপর বেশ মানসিক নির্যাতন করেন। কিছু হলেই বলেন তোমাদের বাবা মা তোমাদের কিছু শিখায় নাই। ছেলেদের কানে বউদের নামে অভিযোগ করে কান ভারী করেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কথাও আমার হাজব্যান্ড এর কানে তুলেছেন, এরপর আমার হাজব্যান্ড আমার সাথে যা তা ব্যবহার করেছে। যদিও অভিযোগ টা বানানো ছিল। উনি নানাবিধ খোটা দেন। যেমন বুয়াই তো সব কাজ করে দেয়, আমাদের সময় আমরা কত কষ্ট করেছি তোমাদের তো কিছুই করা লাগে না। অথচ বাসায় ভোর হতে রান্না শুরু করে কাজের কমতি নাই। আমার নিজের কাপড় বাচ্চার কাপড় নিজেই ধুই।জয়েন্ট ফ্যামিলির এতগুলো মানুষের প্রতিদিনের রান্না, তাও ৫-৬ পদের প্রতিদিনের রান্না, অফিসএর রান্না, বাচ্চা সামলানো, শাশুড়ী স্বামীর খেদমত, মেহমান লেগেই থাকে সেসব মেহমানদারি সব আমরা বউরাই করি। তাও এত কথা শোনা লাগে। হাজব্যান্ড রা কখনো আমাদের ঘরের কাজে সাহায্য করতে আসলে তাদেরকেও বকাবকি করেন। এত খোটা দেন আর এত কথা শোনান। মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে। দুই বউ কথা বললেও উনি সন্দেহ করেন আমরা উনার নামে বদনাম করছি এবং সেটা নিয়ে চার্জ ও করেন। উনি উনার ছেলেকে এটাও বলেছেন, ছেলের বউএর সামনেই, যে মা র চোখ থাকে ছেলের পেটের দিকে, আর বউএর নজর থাকে ছেলের পকেটের দিকে। এভাবে উনি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক বিষিয়ে তোলেন। উনার অনুমতি ছাড়া বাসার মনে হয় একটা ধুলাও নড়ানো যায় না। সবমিলিয়ে দমবন্ধকর পরিস্থিতি।
এখন মাঝে মাঝে অসহ্য হয়ে আমরা তিন বউ উনার করা এসব জুলুমের কথা নিজেরা আলোচনা করে দু:খের কথা একে অপরের সাথে শেয়ার করি। কারন আর কাউকে বলা যায়না। স্বামীরাও মা র কথা অন্ধের মত মানে, উনার আজেবাজে কথা মিথ্যা কথাও সাপোর্ট করে। আর বাবার বাড়িতেও আমরা শশুরবাড়ির এসব কথা আলোচনা করিনা।
তাই একটু হালকা হতে আমরা তিন বউ উনার যুলুমের কথা নিজেদের মধ্যেই বলে চোখের পানি ফেলি।
এখন প্রশ্ন হল এসব যুলুমের কথা আলোচনা করলে কি গীবত হবে?
((এত বেশি মানসিক নির্যাতন করেন যে সহ্য করা যায় না মাঝে মাঝে। আবার ছেলেদের সামনে আরেক অভিনয় করেন,ছেলেরা সামনে থাকলে বউদের সাথে ভাল ব্যবহার করেন।))