বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)কারো কাছে ক্ষমা চাইলে যদি সে বলে 'ওসব আমি মনে রাখিনি', 'ওগুলো কোনো বিষয় না', 'ওসব কিছুইনা'
এ কথা গুলো দ্বারা ক্ষমা করেছে ধরে নেওয়া হবে। এখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
(২)যাদের বেপারে কেউ একজন নিজে গীবত করেনি কিন্তু অন্যরা করেছে,এবং ঐ ব্যক্তি সেটা শুনেছে,বা কোনো গীবতের মজলিশে কারো সম্পর্কে অন্যদের বলা গীবত উপভোগ করেছে,তাহলে এক্ষেত্রে শ্রুতাকে ক্ষমা চাইতে হবে না।
(৩)কেউ গীবত করেছে, এই গীবত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নিকট না পৌছালে তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে না।বরং শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেই হবে।তবে সংশ্লিষ্ট ঐ ব্যক্তির নিকট গীবত পৌছলে তখন তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।এজন্য ক্ষমা চাওয়ার মুহূর্তে এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, ভাই গীবত গীবত করেছি,এজন্য ক্ষমা করে দাও। বিস্তারিত বলার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।
(৪)বহু বছর আগের চুরি করার জন্য ক্ষমা চাইলে এবং চুরির টাকা ফিরিয়ে দিতে চাইলে যদি না নিতে চায় এবং ক্ষমা করে দেয় তাহলে ঐ টাকা নিজে ভোগ করা যাবে।
(৫)কাউকে যদি লোকজনের সামনে অপমানিত করা হয় বা কষ্ট দিয়ে কথা বলা হয়, তার কাছে ক্ষমা চাইতে হলে সবার সামনে চাওয়া জরুরী নয়। বরং একাকি মাফ চেয়ে নিলেও হবে যদি সে মাফ করে দেয়।হ্যা, সবার সামনে মাফ চাওয়াটাই উত্তম।