ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فَإِنْ كَانَ الْأَكْثَرُ صَحِيحًا وَالْأَقَلُّ جَرِيحًا يُغْسَلُ الصَّحِيحُ وَيُمْسَحُ عَلَى الْجَرِيحِ إنْ أَمْكَنَهُ وَإِنْ لَمْ يُمْكِنْهُ الْمَسْحُ يَمْسَحُ عَلَى الْجَبَائِرِ أَوْ فَوْقَ الْخِرْقَةِ وَلَا يَجْمَعُ بَيْنَ الْغُسْلِ وَالتَّيَمُّمِ.
যদি শরীরের বা অজুর অঙ্গ সমূহের অধিকাংশ অংশ সুস্থ থাকে,এবং সামান্য অংশ যখমি থাকে,তাহলে সুস্থ অঙ্গ সমূহকে পানি দ্বারা ধৌত করা হবে,এবং যখমি স্থানকে মাসেহ করা হবে।যদি মাসেহ করাও সম্ভব না হয়, তাহলে ব্যান্ডেজের উপর মাসেহ করা হবে।তারপরও ধৌতকরণ এবং তায়াম্মুমকে একসাথে একই অজু বা গোসলে জমা করা যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) ক্যানুলা রাখার স্থানে ব্যান্ডজের উপর মাসেহ এবং বাকী অঙ্গ সমূহকে ধৌত করার দ্বারা আপনার ফরয গোসল অযু ঠিকমত আদায় হয়েছে।
(২) ক্যানুলা খুলে গোসল করতে হবে না।
(৩) ক্যানুলাটি ২ দিন পরে খুলবেন তখন আর গোসল দোহরাতে হবে না।
(৪) এ সময়ের মাঝের সালাত সমূহকে দোহরাতে হবে না।
(৫) এরকম ব্যান্ডেজের আঠা চামড়ায় পানি পৌঁছানোর ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক কি না? সেটা ডাক্তাদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন।যদি পানি প্রতিবন্ধক না হয়, তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই। তবে যদি পানি প্রতিবন্ধক হয়, তাহলে যে করেই হোক, সেই আঠালোকে দূর করতে হবে। নতুবা অজু গোসল কিছুই হবে না। আমাদের জানামতে সেটা পানি প্রতিবন্ধক নয়।