بسم الله الرحمن الرحيم
জবাবঃ-
কাউকে ধোঁকা দেওয়া,
ঠকানো, কিংবা অন্য কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে শপথ করা গর্হিত কাজ। এমন
কাজ কেউ করে থাকলে আল্লাহ তাআলা তাকে শাস্তি দেবেন। কারণ,
মিথ্যা শপথ কবিরা গুনাহ। এছাড়া মিথ্যা
শপথ করা বা শপথ করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা বড় ধরনের পাপ।
আবদুল্লাহ বিন আমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে
রাসুল (সা.) বলেন, ‘কবিরা গুনাহগুলো হচ্ছে, আল্লাহ
তাআলার সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া, অবৈধভাবে কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা শপথ করা।’ (বুখারি,
হাদিস : ৬৬৭৫)
মানুষকে ঠকানোর জন্য যে শপথ করা হয়,
তার পরিনাম ভয়াবহ। এমনকি হাদিস অনুযায়ী,
ওসব মানুষের জন্য জাহান্নাম অবধারিত হয়ে
যায় এবং জান্নাত হারাম করে দেওয়া হয়।
হজরত আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত,
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেন, ‘কেউ
(মিথ্যা) শপথের মাধ্যমে কোনো মুসলিমের অধিকার হরণ করলে আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত
করে দেন। এবং তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন।’ (মুসলিম: ১৩৭)
আবু জর রা. থেকে বর্ণিত,
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন ‘তিন ব্যক্তির সাথে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা কথা বলবেন না,
তাদের পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য
কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের একজন হলো মিথ্যা শপথ করে যে ব্যক্তি পণ্যসামগ্রী
বিক্রি করে।’(মুসলিম, তিরমিজি)
তবে কেউ যদি শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কখনো মিথ্যা
কসম করে ফেলে এবং পরে খাঁটি মনে তওবা করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দেবেন।
কারণ তওবার মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বড় থেকে বড় গুনাহ মাফ করে দেন। - আসসুনানুল কুবরা
১০/৩৮; বাদায়েউস
সানায়ে ৩/২৭; ফাতহুল
কাদীর ৪/৩৪৮; খুলাসাতুল
ফাতাওয়া ২/১২৩
একজন মুসলিম যখন গুনাহ করে ফেলে,
তখন তার প্রথম কাজ হলো— তওবা করা। তওবা মানে গুনাহ থেকে প্রত্যাবর্তন করা। আল্লাহর
কাছে ফিরে আসা। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,
‘তোমরা যদি পাপাচার করতে,
এমনকি তোমাদের পাপ আকাশের সীমা পর্যন্ত
পৌঁছে যেত, অতঃপর
তোমরা তওবা করতে; তাহলে
আল্লাহ অবশ্যই তোমাদের তওবা কবুল করবেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ,
হাদিস : ৪২৪৮)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি
ভাই/বোন!
খাঁটিভাবে
তাওবা করলে আল্লাহ্ তাআলা অতীতের ছোট বড় সমস্ত গোনাহ মাফ করে দেন। তবে বান্দার কোন
হক নষ্ট করে থাকলে তাওবার পাশাপাশি তাকে তার হক তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া
জরুরী।
তওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
(বান্দার হক থাকলে আগে সেটি আদায় করে আসতে হবে, েবা তার
কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে আসতে হবে।)
এক. পূর্বের
গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা
মাফ চেয়ে নেওয়া।
দুই. ভবিষ্যতে
গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।
তিন. আল্লাহ্
তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/7936/