বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নারীর জন্য পর্দা করা ফরয।পর্দার সারমর্ম হল,ফি মিক্সিং পরিবেশ থেকে যথাসম্ভব নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা।গায়রে মাহরাম পুরুষ থেকে সর্বদা নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা।পর্দা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-
বেগানা নারী-পুরুষ খালওয়াত তথা নির্জনে একাকী অবস্থান করতে পারবে না। হাদীসে একে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে.......
ﻻَ ﻳَﺨْﻠﻮﻥَّ ﺭَﺟُﻞٌ ﺑِﺎﻣْﺮَﺃﺓٍ ﺇِﻻَّ ﻭَﻣَﻌَﻬﺎ ﺫُﻭ ﻣَﺤْﺮَﻡ )
কোনো পুরুষ কোনো মহিলার সাথে মহিলার মাহরাম না থাকা অবস্থায় নির্জনে একাকী বসবাস করতে পারবে না।(সহীহ বুখারী-৫২৩৩;সহীহ মুসলিম-১৩৪১)
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
পুরুষ শিক্ষক তিনি ছাত্রকে প্রাইভেট পড়াবেন।ছাত্রীদেরকে নারী শিক্ষকই প্রাইভেট পড়াবেন।যদি কোথাও পুরুষ শিক্ষক, ছেলে শিক্ষার্থীকে না পান,এবং মেয়ে শিক্ষার্থীরা, নারী শিক্ষিকা-কে না পায়।
এমন পরিস্থিতে শিক্ষার স্বার্থে কয়েকটি শর্তে বিপরিত লিঙ্গের কাউকে পড়ানোর ব্যাপারটা অনুমোদনযোগ্য হতে পারে।
(১)ফিতনার অাশংকা থাকতে পারবে না।যখনই শয়তান মনের মমধ্যে কিছু আনয়ন করবে,সাথে সাথেই তখন পড়ানোকে বাদ দিতে হবে।
(২)যতক্ষণ পড়াবেন ততক্ষণ মেয়ে শিক্ষার্থীর একজন মাহরাম পুরুষ সেখানে উপস্থিত থাকবেন।বা এক সাথে কয়েকজন মেয়ে শিক্ষার্থীকে পড়াবেন।
(৩)মেয়ে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ হেজাব পড়ে ক্লাস নিবেন।
(৪)মেয়ে শিক্ষার্থীর সাথে নরম ভাষায় কথা বলা যাবে না।
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি প্রথমে একজন ভিজ্ঞ-অভিজ্ঞ মেয়ে শিক্ষিকার খোঁজ নিবেন।যদি পেয়ে যান তাহলে এটাই আপনাদের জন্য কল্যাণকর হবে।আপনার অন্তর শয়তানের ধোকা থেকে নিরাপদে থাকবে।
তবে যদি ভিজ্ঞ কোনো শিক্ষিকার খোঁজ না পান,তাহলে আপনি ততক্ষণই পড়তে পারবেন,যতক্ষণ অন্তরে কোনো ফিতনার উদ্রেক হবে না।যখন সামান্যতম ফিতনার উদ্রেক হবে,সাথে সাথেই এমন শিক্ষা থেকে নিজেকে অনেক দূরে রাখবেন।