বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আকিকা করার পর এর গোশত স্বাভাবিকভাবে নিজেরাও খেতে পারেন এবং আত্মীয়স্বজন, পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, ফকির-মিসকিনদের মধ্যেও বণ্টন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম রাসুলের (সা.) হাদিসের মধ্যে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়নি। যেহেতু এটি সবাইকে নিয়ে উৎসবের মতো একটি বিষয়, আনন্দের বিষয়, সে ক্ষেত্রে একান্ত যেসব আত্মীয়স্বজন আছে, তাদের সঙ্গে গোশত ভাগাভাগি করাই হচ্ছে উত্তম। এ ক্ষেত্রে আপনি আকিকার গোশত ভাগ করে লোকদের মধ্যে বণ্টন করে দিতে পারেন।
আরেকটি কাজও করা যেতে পারে। সেটি হলো আকিকার গোশত রান্না করে সবাইকে খাওয়ানোর আয়োজন করতে পারেন।
কুরবানীর গোস্ত যেমন তিন ভাগ করে এক ভাগ, নিজের জন্য রাখা, এক ভাগ গরীবকে দেয়া, একভাগ আত্মীয়দের মাঝে বন্টন করা উত্তম। আবার ইচ্ছে করলে পুরোটাই নিজের জন্য রাখা জায়েজ আছে। তেমনি আকীকার গোস্তেরও একই বিধান।
তিন ভাগ করে নিজের, আত্মীয় ও গরীবদের দেয়া। বা নিজেই পুরোটা রেখে দেয়া। সবই জায়েজ।
আকীকার গোস্ত বন্টন নিয়ে আলাদা চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। এক সাথেই রাখা যাবে।(সংগৃহীত)
يصنع بالعقيقة ما يصنع بالأضحية (الى قوله) وفى قوله يأكل أهل العقيقة ويهدونها دليل على بطلان ما اشتهر على الألسن، أن أصول المولود لا يأكلون منها فإن أهل العقيقة هم الأبوان او لا ثم سائر أهل البيت (اعلاء السنن، فصل افضلية ذبح الشاة فى العقيقة-17/126-127)
قال الموفق فى المغنى: وسبيلها فى الاكل والهدية والصدقة سبيل الاضحية (اعلاء السنن -17/127)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোরবানির গোস্তের মত আকিকার গোস্তকে নিজে খেতে পারবেন,ফকির মিসকিনকে খাওয়াতে পারবেন আবার হাদিয়াও দিতে পারবেন।তবে পারিশ্রমিক স্বরূপ কাউকে কিছু দিতে পারবেন না।যদি পারিশ্রমিক স্বরূপ কাউকে কিছু দেয়া হয়,তাহলে আকিকাই আদায় হবে না।