আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম,,মুফতি মুজিবুল ওস্তাদ ক্লাসে আমাদেরকে একটা আমল শিখিয়ে দিয়েছিলেন।দ্রুত বিয়ের আমল।এই আমলটা কি হায়েজ অবস্থায় করা যাবে?

আমলটা হচ্ছে এই-

দ্রুত বিয়ের আমল-
১/দুরুদ শরীফ ৩ বার।
২/সূরা কাসাস ২৪ নং আয়াত ৭ বার।
(রব্বী ইন্নী থেকে)
৩/সূরা তাওবা ১২৯ নং আয়াত ৭ বার।
(হাসবি আল্লাহু থেকে)
৪/اللَّهُمَّ خِرْ لِي وَاخْتَرْ لِي

উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা খিরলি ওয়াখতার লি’
৭ বার।
৫/দুরূদ শরীফ ৩ বার।

আরেকটা বিষয় জানার ছিল সেটা হচ্ছে এই আমলটা আমরা অনেকেই ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম যেন অনেকেই উপকৃত হয়।তো অনেকেই বলতেছে এটা বিদআত।IOM বিদআত ছড়াচ্ছে এটার রেফারেন্স কই?এই ব্যাপারে কিছু বলুন।কারণ আমরা তাদের অনেক বার বুঝিয়েছি যে এটা বিদআত কেনো হবে আমরা তো এটাকে নফল ভেবে করতেছি সুন্নাহ ভেবে করতেছিনা।আর এটা তো কুরআনের আয়াত।কুরআনের আয়াত আমল করলে কেন বিদআত হবে?এটা নিয়ে কিছু বলুন ওস্তাদ।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যে বস্তুর ফলাফল মৃত্যুর পর মানুষ পেতে চায়, তার নাম দ্বীন। আর যে বস্তুর ফলাফল মানুষ মৃত্যুর আগেই পেতে চায়, তাই হল দুনিয়া।
বিদআতের সম্পর্ক হল দ্বীনের সাথে। দুনিয়ার সাথে নয়। তা’ই দুনিয়াবী কোন বস্তুর ক্ষেত্রে বিদআত শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন চেয়ার টেবিল, কম্পিটউটার ইত্যাদি।
কারণ এসব কোনটিই মৃত্যুর পরের ফলাফলের জন্য কেউ নির্মিত করেনি।
কিন্তু প্রচলিত পদ্ধতিতে মিলাদ পড়া, মিলাদে কিয়াম করা ইত্যাদি বিদআত। কারণ এসবের দ্বারা মৃত্যুর পর প্রতিদান পাবার আশা করা হয়, আর এসবের প্রমাণ কুরআন হাদীস ও সাহাবা তাবেয়ীদের জমানায় ছিল না।
আর যেসব বিষয় দ্বীনী বিষয় নয় বরং দুনিয়াবী বিষয়, সেসব ক্ষেত্রে যদি সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীস বিরোধী না পাওয়া যায়, কিংবা শরীয়ত বিরোধী আর কোন কারণ না পাওয়া যায়, তাহলে উক্ত কাজটি বৈধ হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1286

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
মুহতারাম উস্তাদ যেই আ'মল দিয়েছেন, এটা অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করেই দিয়েছেন। এই আ'মল ব্যক্তিগত পর্যায়ে যাকে বলা হয়েছে, তিনিই করবেন। এটাকে ব্যাপক প্রচার প্রসার না করাই উচিৎ। কেননা সরাসরি কুরআন হাদীসে এই আ'মলের কথা স্পষ্ট আসেনি।হ্যা, কুরআন হাদীস থেকে বিভিন্ন বিষয়ের উপর নির্ভর করে উক্ত আ'মলকে মানুষের ফায়দার জন্য চয়ন করা হয়েছে। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
দু'আর নিয়তে হায়েযের সময়ও উক্ত আমলগুলো করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (712,400 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...