আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ, শাইখ।
আমি অনেক ব্যস্ত ছিলাম,পরীক্ষাও ছিলো,কিন্তু জাওয সাহেবের নাস্তা রেডি করতে হয়েছে,আমি এতে রেগে যাই। জাওয সাহেব আমাকে বলতেছিলেন,আরে তুমি এ কাজগুলো করলে তো তোমার সওয়াব হচ্ছে,পাল্লা ভারী হবে(হাশরের ময়দানে নেকির পাল্লা বুঝিয়েছেন)।আমি বলে ফেলি,"পাল্লা ভারী হবে না"। আমি জানি যে সওয়াব হবে,নেকির পাল্লা। নিজের কাজ তো ইবাদাত এর মধ্যেই পড়ে। আমি পাল্লা ভারী হবে না এটা আসলে কেন যে বলে ফেললাম,এমন না যে আমি ইসলামের কোনো বিধান অস্বীকার করি। আমি আসলে এমন বিধান বা আয়াত জানি না,যে স্বামীর কাজ করলে নেকির পাল্লা ভারী হবে,এটা তো আমার দায়িত্ব আল্লাহ অবশ্যই ধরবেন না করলে। কিন্তু পাল্লা ভারী হবে কিনা এ নিয়ে আমি জানি না,তাই হুট করে এরকম মুখে বলেও ফেলেছি।কিন্তু যথাসাধ্য শরীয়াহ মেনে চলার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। একটু চিন্তা করেই বুঝতে পারি, আসলেও নেকি হবে,পাল্লা তো ভারী হবেই এটা ভালো কাজ।ইবাদাত এর মতো।কিন্তু ঐ সময় তাতক্ষণিক বলে ফেলেছি উনাকে। কি আমার ঈমান ছুটে গেছে?বিবাহের সম্পর্কও ছিন্ন হয়ে গেছে ঈমান চলে গিয়ে!? কি করবো শাইখ!!?
যখন বলতেছিলাম কথাটা,সাথে সাথেই আমার মনে হয়েছে,আমি ভেবে বললে কখনো এটা বলতাম না। রেগে ছিলাম বলে জাওযের কথার বিরোধিতা করতে গিয়ে এমন কথাটা বেরিয়ে গেছে হয়তো।এটা বলার পর সাথে সাথেই এখানে প্রশ্ন করেছি।