আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (53 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তাজ।
আমি এবং আমার হাজবেন্ড আলাদা থাকি, যতবার শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া হয় ততবার, শ্বাশুড়ি এবং তার মেয়ের কাছ থেকে অনেক অনেক গীবত শুনতে হয়, হোক তা সত্যি, কিন্তু অনেকের নামে গীবত শুনা হয়, আবার শ্বাশুড়ি আম্মা যখন আমাদের বাসায় আসেন তখন ও এর তার গীবত করেন প্রচুর, বুঝিয়ে বল্লে চুপ করেন, কিন্তু আবার শুরু হয়,
এমন অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া কমিয়ে দেওয়া কি ঠিক হবে?
এই সমস্যার জন্য ফোনেও কথা বলতে ইচ্ছা হয়না..
স্বামী ইদানিং চাচ্ছে শ্বাশুড়ি আম্মাকে আমাদের বাসায় পার্মানেন্টলি নিয়ে আসতে কারণ অন্য ছেলের বউ এর সাথে উনার সম্পর্ক ভালো নয়,
আমার খুব চিন্তা হচ্ছে কিভাবে গীবত মুক্ত পরিবেশ পাবো, উনি আসলে সারাদিন প্রচুর কাজ করা লাগে, যাতে করে নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায় বা একদম লাস্টে পড়া লাগে, সকাল সন্ধ্যার আমল ছেড়ে দিতে হয় কাজের জন্য,
আমি ছোট তাই কিছু বলতেও পারিনা, মেনে নেওয়া ছাড়া,
এমন অবস্থায় আমার কি গুনাহ হবে যদি আমি দুয়া করি,  শ্বাশুড়ি আম্মা উনার মেয়েদের কাছেই থাকুক( উনার মেয়েরা উনাকে নেওয়ার জন্য পাগল, উনি সারাদিন থাকেও, কিন্তু রাতে থাকবেনা, উনার কাছে ছোট লাগে নিজেকে তাই, উনার মেয়েরাও শ্বশুর বাড়ি ত্থেকে আলাদা বাসায় থাকে)
উস্তাদ আমি কি গুনাহগার হবো?  এমন দুয়া করলে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
أن رجلاً قال: يا رسول الله أردت أن أغزوَ، فقال له:” هل لك من أمٍّ”؟ قال نعم:قال” فالزمْها فإن الجنة تحت رجلِها”
একজন সাহাবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলেন অতঃপর বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমি যুদ্ধ করার ইচ্ছা পোষণ করছি, এ জন্যই আপনার নিকট পরামর্শ করতে এসেছি? তিনি বললেনঃ তোমার মা আছে কি? সে বলল হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি তার খেদমাতে ব্যস্ত থাক, কারণ তার দুই পায়ের নিচে জগন্নাত। (সুনানু নাসাঈ (২/৫৪)হাদীস নং ৩৯০৪) 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেভাবে গীবত থেকে বেঁচে থাকা আপনার জন্য জরুরী। তারচেয়েও বেশী জরুরী হল, আপনার স্বামীর আখেরাতের জন্য কল্যানময়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা। আপনার স্বামীর জান্নাত তার মায়ের তথা আপনার শাশুড়ীর পায়ের নীচে-ই। সুতরাং সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায় যে, আপনার শাশুড়ী আপনার বাসায় আসতে চাইলে আপনার বিরোধিতা না করাই উচিৎ।বরং আপনি মনেপ্রাণে শাশুড়ীকে গ্রহণ করে নিবেন। এবং গীবত থেকে বেঁচে থাকার পরিপূর্ণ চেষ্টা ও প্রচেষ্টা করবেন। প্রয়োজনে শুধুই শুনতেই থাকবেন।কিছু বলতে যাবেন না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...