ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
বিবাহ শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইজাব কবুল হওয়া শর্ত।
لما في الفتاوي الهندية ج ١- ص:٢٧٠
ينعقد بالإيجاب والقبول وضعا للمضي أو وضع أحدهما للمضي والآخر لغيره مستقبلا كان كالأمر أو حالا كالمضارع،
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত আছে....
(ومنها) سماع الشاهدين كلامهما معا هكذا في فتح القدير فلا ينعقد بشهادة نائمين إذا لم يسمعا كلام العاقدين،
দুনু সাক্ষীকে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুল শুনতে হবে,(ফাতহুল ক্বাদীর)সুতরাং না শুনার ধরুণ ঘুমন্ত ব্যক্তির সাক্ষ্য দ্বারা বিবাহ সংগঠিত হবে না।(১/২৬৮;)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)বিবাহের ইজাব কবুলের পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্নভাবে হতে পারে-
(ক) পাত্র সাক্ষীর উপস্থিতিতে পাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর পাত্রী কর্তৃক কবুল করে নেওয়া।
(খ) পাত্রী পাত্রকে সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পর পাত্র কর্তৃক কবুল করে নেওয়া।
(গ)উকিল বা অভিভাবক পাত্রীর কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে এসে সাক্ষীর সামনে পাত্রকে প্রস্তাব দেয়া,অতঃপর পাত্র কর্তখ কবুল করে নেওয়া।
উপরোল্লিখিত যেকোনো পদ্ধতিতেই বিবাহ শুদ্ধ হবে।
(২) যে নারীর অভিভাবক কেউ নেই।সে চাইলে সরাসরি ছেলেকে প্রস্তাব দিতে পারবে,অথবা উকিলের মাধ্যমেও দিতে পারবে।
(৩) যে কথা বলতে পারে না, সে ইশারায় ইজাব কবুল করবে। এবং প্রয়োজনে ইশারায় তালাক দিবে।
(৪)যদি এমন হয় মেয়ে অন্য দেশের।আর ইজাব কবুল ছেলের দেশের ভাষায় হয়।মেয়ে ভাষা না বুঝলেও এটা বিবাহের আকদ জানে আর সে সম্মতি দেয়, তাহলে বিবাহ হবে।